শিক্ষিকার বেতনের টাকায় বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিচ্ছেন নাটোরের এক শিক্ষিকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিচ্ছেন নাটোরের এক শিক্ষিকা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সময়মত হাসপাতালে না নেওয়া হলে একজন সংকটাপন্ন রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকার গরীব-অসহায় মানুষরা যেখানে চিকিৎসা ব্যয় বহন করতেই হিমশিম খায়, সেখানে তাদের পক্ষে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। জরুরী অবস্থায় ভ্যান বা অন্য কোনো বাহনযোগে রোগীর যাতায়াতেও ঝুঁকি থেকে যায়।

নিজ উপজেলার এসব গরীব ও অসহায় রোগীদের বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিচ্ছেন শেফালী খাতুন নামে নাটোরের এক শিক্ষিকা। তিনি জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার নগর ইউনিয়নের মেরিগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তিনি ওই ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুজ্জোহার বোন। এক সন্তানের জননী শেফালী খাতুনের স্বামী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন।

রোগীদের দ্রুত চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দিতে নিজ বেতনের টাকা জমিয়ে তিনি কিনেছেন একটি অ্যাম্বুলেন্স। তার এই অ্যাম্বুলেন্সে স্থানীয় মনপিরিত, দোগাছী, দিঘলকান্দী, লক্ষীচামারী, মেরীগাছা, চুলকাটিয়া, কুজইলসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছে একবেলা খাবারের বিনিময়ে। উদ্যমী এ শিক্ষিকার ব্যতিক্রমী সেবা সারা জেলায় প্রশংসা কুড়িয়েছে।

গত দুই মাস যাবৎ শুধু চালকের একবেলা খাবারের বিনিময়ে এলাকাবাসীকে এ অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে আসছেন এই শিক্ষিকা। তবে এই বিনিময়টি নিছকই বিনিময়। কোনো রোগী বা তার পরিবারের সদস্যরা চালকের খাবার না দিয়েও সেবাটি পেতে পারেন। সেবা গ্রহণের বিপরীতে কোনো বিনিময় বাধ্যতামূলক নয়।

জানা যায়, মানুষের সেবা করার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন থেকেই ছয় বছর আগে গ্রামের রোগীদের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্স কেনার পরিকল্পনা করেন তিনি। এরপর নিজের বেতনের টাকা সঞ্চয় করে গত বছরের অক্টোবরে কিনে ফেলেন অ্যাম্বুলেন্সটি। এমনকি নিজের বেতনের টাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানী ও চালকের বেতন দেন তিনি। বর্তমানে প্রতিদিনই দুই একজন রোগী শিক্ষিকা শেফালীর এম্বুলেন্স সেবা নিয়ে থাকে। চব্বিশ ঘণ্টাই অ্যাম্বুলেন্সটি প্রস্তুত থাকে রোগীদের জন্য। নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন পেলেই রোগীর ঠিকানায় হাজির হয় এম্বুলেন্সটি।

মেরিগাছার শুক্কুর আলী ও দীঘলকান্দি গ্রামের ফাতেমা বেগম জানান, প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেয়ে খুবই উপকৃত হচ্ছে। ভাড়ার জন্য কোনো রকম চাপ দেওয়া হয় না রোগীকে।

মশিন্দা গ্রামের রোগী নাসির উদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে চরম সংকটময় মুহূর্তে শেফালী বেগমের অ্যাম্বুলেন্সটি আমাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছে।

বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ অহিদুল হক বলেন, মানুষ অর্থ সঞ্চয় করে ভোগ-বিলাসিতার পেছনে ব্যয় করে। অথচ একজন শিক্ষিকা হয়ে তিনি তার সঞ্চয় মানব কল্যাণে ব্যয় করছেন, যা বিরল দৃষ্টান্ত। সমাজের বিত্তবান মানুষদের এ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।

নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন বলেন, শিক্ষিকা শেফালী খাতুন আর্ত-মানবতার সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার এই উদ্যোগে রোগীরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। যাদের ভাড়া ব্যয় বহন করার সামর্থ্য নেই, তারা বিনামূল্যেও সেবাটি পাচ্ছেন।

শিক্ষিকা শেফালী খাতুন বলেন, গ্রামের দরিদ্র রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া বেঁচে গেলে সে টাকায় তারা ঔষধাদি কিনতে পারবে, এমন চিন্তা থেকেই অ্যাম্বুলেন্সটি কেনা। কোনো রোগী যদি সেবা গ্রহণের বিনিময়ে কিছু দিতে চায়, তবে শুধু চালকের জন্য একবেলার খাবার নিতে বলা আছে, এর বেশি কিছু নেওয়া হয় না। যদি কেউ তাও দিতে না পারেন তবুও চাপ দেওয়া হয় না। আমার কাছে রোগীর জীবনটা আগে। খারাপ লাগে যখন একটি অ্যাম্বুলেন্স হওয়ায় অনেক সময় সবকয়টি গ্রামে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। ভবিষ্যতে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স কেনার পরিকল্পনা আছে। তবে কোনো আর্থিক সহযোগিতা পেলে দ্রুত তা কিনতে পারবো।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;