করোনা: খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেসে হয় না স্বাস্থ্য পরীক্ষা

  করোনা ভাইরাস
  • আজিজুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল, যশোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বন্ধন এক্সপ্রেস, ছবি: বার্তা২৪.কম

বন্ধন এক্সপ্রেস, ছবি: বার্তা২৪.কম

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রী ও ট্রাকচালকদের কোনো রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হলেও খুলনা-কলকাতা রেলরুটের বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই।

এছাড়া ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কার্যক্রমও শুরু হয়নি এখনো। ফলে মরণঘাতি এ ভাইরাসটি সংক্রমণের যথেষ্ট ঝুঁকি থাকছে।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বার্তা২৪.কমকে জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এখনো বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশে যাতায়াতকারী সবাইকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হয়নি। যেসব স্বাস্থ্য কর্মী কাজ করছেন, তারাও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। এতে এ পথে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, বিশেষ করে বিদেশি যাত্রীরা এলে স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে পাঠানো হয়। তারা স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি দেখেন।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস শনাক্তে এ রেল রুটে যাতায়াতকারী দেশি-বিদেশি যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। সংক্রমণ এড়াতে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি।

বন্ধন এক্সপ্রেসে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না, ছবি: বার্তা২৪.কম

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ জানান, বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভারত ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি গত দুই দিন ধরে বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকচালকদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত তারা সাতশ’ চালকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। চালকদের সবাই ছিলেন করোনা ভাইরাসমুক্ত। ট্রেনের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনকারী কার্গোর শ্রমিকদের মাধ্যমেও এ ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। তাই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশনা পেলেই তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে সপ্তাহের শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার যাত্রী নিয়ে কলকাতায় যাতায়াত করে বন্ধন ট্রেন। সব মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকেন আট থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। এসব যাত্রীর মধ্যে ১২ শতাংশ বিদেশি। গত ১৫ জানুয়ারি চীনে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। সিএনএন জানায়, এ পর্যন্ত বিশ্বের ২৫টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চীনে এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৪০০ জন।