৭০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুর আবাসস্থল সন্ধানে ভাসুবিহারে চলছে খনন



গনেশ দাস,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বগুড়া
ভাসুবিহারে খনন কাজ চলছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভাসুবিহারে খনন কাজ চলছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিখ্যাত চাইনিজ পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এর দেওয়া তথ্যকে অনুসরণ করে ৭০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুর আবাসস্থল সন্ধানে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক স্থান ভাসুবিহারের খনন কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ।

চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত খনন কাজ চলবে বলে খনন কাজে নিয়োজিত প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে খনন কাজ শুরু করা হয়।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বিখ্যাত চাইনিজ পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ৬৩৯-৬৪৫ খ্রিস্টাব্দে বগুড়ার মহাস্থানগড় এলাকা পরিভ্রমণ করেন। সেই সময়ে তিনি এখানে প্রায় ৩ মাস সময় অবস্থান করেন এবং তার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, মহাস্থান গড়ের অদূরে ভাসুবিহারে তিনি ৭০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুরদের বসবাস করতে দেখেছেন। এই সময় তিনি ভাসুবিহারের নাম দেন পো-সি-পো বিহার (যার অর্থ কেউ কেউ করেছেন বিশ্ব বিহার)| পরে স্থানীয়রা এর নামকরণ করেন নরপতির ধাপ হিসাবে। এখন যা ভাসু বিহার নামে পরিচিত। ধারণা করা হয় শিবগঞ্জের ভাসুবিহার গ্রামে নরপতির ধাপ অবস্থিত বলে এর নাম করা হয়েছে ভাসু বিহার।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর (রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগ) এর সহকারী পরিচালক মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, এর আগে যে সব খননকাজ পরিচালনা করা হয়েছে সেই সময় দুইটি বিহার এবং দুইটি মন্দির উন্মোচিত হয়েছে। কিন্তু হিউয়েন সাং যে ৭০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুর আবাসস্থলের কথা বলেছেন তার কিছু পাওয়া গেলেও এখনো অনেকগুলোর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই এবারের খননের মূল উদ্দেশ্যই হলো বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আবাসস্থল খুঁজে পাওয়া।

৭০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুর আবাসস্থল সন্ধানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ খনন কাজ পরিচালনা করছে
৭০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুর আবাসস্থল সন্ধানে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ খনন কাজ পরিচালনা করছে

খননে এই পর্যন্ত যেসব নিদর্শন পাওয়া গেছে, ধারণা করা হচ্ছে বৌদ্ধ যুগের শেষ সময়কার স্থাপনা। গত বছরে খনন কাজ পরিচালনা করে চারটি ইটের অলংকৃত স্তুপা পাওয়া গেছে। যার মধ্যে তিনটি ভালো ছিল এবং বাকিটি প্রায় ধ্বংসাবস্থা ছিল। এছাড়া মাটির গভীরে একটি কক্ষ এবং আর একটি কক্ষের অংশ বিশেষ পাওয়া গেছে। এতে করে ধারণা করা হচ্ছে মূল বিহারটি বর্তমান বিহারের নিচে অবস্থিত। তাই এ বছর সেই চারটি স্তুপার পার্শ্ববর্তী স্থানে আবার খনন কাজ শুরু করা হয়েছে।

এবারের খননে একটি বৌদ্ধ ভিক্ষুর কক্ষস্থল দেখতে পেয়ে ধারণা করা হচ্ছে এগুলো বৌদ্ধ যুগের প্রথম স্থাপনা।

এর আগে ভাসুবিহারে প্রথমবারের মতো উৎখনন কাজ শুরু হয় ১৯৭৩-৭৪ অর্থ বছরে। এর পরের দুই মৌসুমেও এখানে খনন কাজ চলে। সেই সময় দুইটি মধ্যম আকৃতির সংঘারাম, একটি মন্দির এবং প্রায় ৮০০ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্ন নিদর্শন পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে ব্রোঞ্জের ক্ষুদ্রাকৃতির মূর্তি, পোড়ামাটির ফলক, পোড়ামাটির সীল, পাথরের গুটিকা, মাটির প্রদীপ, লোহার পেরেক, মাটির গুটিকা এবং অন্যান্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি এবং প্রচুর মৃৎপাত্রের টুকরা পাওয়া যায়। এই সব নিদর্শন দেখে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মনে করেন এগুলো পাল শাসনের শেষ যুগের (দশম/একাদশ শতক) শিল্পকর্ম ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার স্মৃতিচিহ্ন।

এখনো ভাসুবিহারের অনেক এলাকার খনন বাকি আছে। পর্যায়ক্রমে সবখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ পরিচালনা করা হবে।

এর আগে যে সব খননকাজ পরিচালনা করা হয়েছে সেই সময় দুইটি বিহার এবং দুইটি মন্দির উন্মোচিত হয়েছে
ভাসুবিহারে প্রথমবারের মতো উৎখনন কাজ শুরু হয় ১৯৭৩-৭৪ অর্থ বছরে

মুজিবুর রহমান বলেন, আশা করা যায় হিউয়েন সাং যে ৭০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুর আবাস্থলের কথা লিখে গেছেন তা আমরা উন্মোচন করতে পারব।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;