পুঁজি সংকটে হলুদ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষক



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
হলুদ সংরক্ষণে ব্যস্ত কৃষক/ছবি: বার্তা২৪.কম

হলুদ সংরক্ষণে ব্যস্ত কৃষক/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লাভজনক ফসল হলেও হলুদ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা। এক সময় এ উপজেলার কয়েকটি গ্রামজুড়ে মাঠের পর মাঠ হলুদের চাষ হতো। সে সব জমিতে এখন চাষ করা হয় বিভিন্ন ধরনের সবজি।

শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের গনেশপুর, উথলী, রথবাড়ি, গরিবপুর, পাইকপাড়া, ধোন্দাকোলা, নারায়নপুর ও শাহপাড়া গ্রাম জুড়ে এক সময় ব্যাপক হারে হলুদ চাষ করা হতো। এখন এসব গ্রামে আগের তুলনায় অনেক কম চাষ করা হয়।

কৃষকেরা জানান, হলুদ চাষে সময় লাগে ৯ থেকে ১০ মাস। এ সময়ে জমিতে সবজি ও আলু চাষ করা যায়। এ কারণে কৃষকের মধ্যে হলুদ চাষের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। প্রতি বিঘা জমি থেকে হলুদের ফলন হয় ৭০- ৮০ মণ। লাভ হলেও সময় বেশি লাগার কারণে তারা হলুদের জমিতে সবজি কিম্বা আলু চাষ করছেন।

আবাদ কমে যাওয়ার পরও এসব গ্রামে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ হাজার মণ হলুদ চাষ হয়। যা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর বিভিন্ন মসলা প্রস্তুতকারী কোম্পানিতে সরবরাহ করা হয়।

কৃষকরা হলুদ পরিষ্কার করছেন

গনেশপুর গ্রামের হলুদ ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা মণ দরে ৭০০ মণ কাঁচা হলুদ কিনেছেন। হলুদ সেদ্ধ করে শুকানোর পর মসলা প্রস্তুতকারী কোম্পানির কাছে বিক্রি করবেন ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৮০০ টাকা মণ দরে।

রোববার (১৫ মার্চ) গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর কারণে কৃষকেরা হলুদ চাষ ধরে রেখেছেন। ব্যবসায়ীরা কৃষকদের আগাম টাকা দিয়ে রাখেন হলুদ চাষের জন্য। গরিবপুর গ্রামের হলুদ চাষি হেলাল উদ্দিন বলেন, তিনি প্রতি বছরই কৃষককে আগাম টাকা দিয়ে রাখেন। সেই কৃষকদের কাছ থেকে এবারও তিনি ৮০০ মণ হলুদ কিনেছেন। জমি থেকে কাঁচা হলুদ ওঠানোর পর তা সেদ্ধ করে শুকিয়ে গ্রামেই মেশিনে পরিষ্কার করে ব্যবসায়ীরা বাজারজাত করে থাকেন। হলুদ ব্যবসায়ী গরিবপুর গ্রামের আব্দুল মতিন নিজ বাড়িতে মেশিন স্থাপন করেছেন। হলুদ সেদ্ধ করে শুকানোর পর মেশিনে পরিষ্কার করে বাজার জাত করেন।

শুকানোর জন্য মাঠে হলুদ ছড়িয়ে রাখা হয়েছে

আব্দুল মতিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিনি এবার তিন হাজার মণ কাঁচা হলুদ কিনেছেন। হলুদ চাষ দিন দিন কমে যাওয়ায় ব্যবসায় ভাটা পড়েছে। হলুদ চাষ টিকিয়ে রাখার জন্য কৃষি বিভাগ কোনো পদক্ষেপ না নিলেও ব্যবসায়ীরা কৃষকদের আগাম টাকা দিয়ে উৎসাহ যোগাচ্ছেন।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বগুড়া জেলায় এ বছর ৬২০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলাতেই ৯০ ভাগ জমিতে হলুদ চাষ করা হয়।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;