হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে সিআইডি-পুলিশের ‘রশি টানাটানি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় আলমগীর হত্যা মামলার তদন্তভার নিয়ে থানা পুলিশ ও সিআইডির মধ্যে চলছে এক ধরনের ‘রশি টানাটানি’। হত্যা মামলাটি আড়াই মাস আগে সিআইডিতে স্থানান্তর হলেও থানা পুলিশ তদন্তভার ছাড়তে নারাজ।

এদিকে সিআইডি থানা পুলিশের কাছ থেকে মামলার ডকেট বুঝে না পাওয়ার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেছে। অন্যদিকে মামলাটি সিআইডিকে না দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে থানা পুলিশ। মামলা থানায় রাখার জন্য সিআইডির কাছে আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

জানা গেছে, শাজাহানপুর থানার রাজারামপুর গ্রামে পারিবারিক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর খুন হন ওই গ্রামের আলমগীর নামের এক যুবক। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মনিরুজ্জামান লিমন ৩০ ডিসেম্বর ২০ জনের নামে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩০)।

এদিকে গত ৮ জানুয়ারি সিআইডি মামলাটি অধিগ্রহণ করে এবং বগুড়ার পুলিশ পরিদর্শক ছকির উদ্দিনকে তদন্তভার দেয়া হয়। সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ছকির উদ্দিন গত ১১ জানুয়ারি মামলার ডকেট হস্তান্তরের জন্য শাজাহানপুর থানায় আবেদন করেন। কিন্তু থানা পুলিশ মামলার ডকেট হস্তান্তর করেনি। দীর্ঘদিনেও মামলার ডকেট বুঝে না পেয়ে সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ছকির উদ্দিন গত ৮ মার্চ বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানান।

এদিকে শাজাহানপুর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ওবায়দুল্লাহ আল মামুন মামলাটি তার কাছেই রাখার জন্য সিআইডি বরাবর আবেদন করেন। গত ৮ জানুয়ারি মামলা সিআইডিতে স্থানান্তরের নির্দেশ হওয়ার পরেও ডকেট হস্তান্তর না করে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা নিয়ে বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মামলার ১ নং আসামির বোন ফজিলাতুন্নেছা আসামি না হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে গ্রেফতারের জন্য তার কর্মস্থলসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ কারণে পুলিশের ভয়ে তিনি দুই মাস কর্মস্থল থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। পরে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেন। মামলা হস্তান্তর না করে আদালতে আত্মসমর্পণ করা আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছেন গত ১৮ মার্চ।

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ওবায়দুল্লাহ আল মামুন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মামলা যেহেতু ক্লুলেস না, এছাড়াও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। একারণে মামলাটি সিআইডির কাছে ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। মামলা নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার শাহরিয়ার রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মামলা স্থানান্তর না করার বিষয়ে তার কিছু জানা নাই। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;