খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের

  • গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাজের জন্য অপেক্ষা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

কাজের জন্য অপেক্ষা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঘোন সাগাটিয়া গ্রামের আনিছুর রহমান। পেশায় রং মিস্ত্রী। কাজের সন্ধানে এসেছেন বগুড়া শহরের নামাজগড় মোড়ে। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বসে আছেন চৈত্র মাসের রোদে। কপালে জোটেনি কোনো কাজ, পেটে যায়নি দানা পানি। পকেটে কোন টাকাও নেই কিছু কিনে খাবে। গত ১০ দিনে কাজ করেছেন একদিন। মজুরি পেয়েছেন ৫শ টাকা। একমাত্র অবলম্বন দুধেল গাভীটাও মরেছে।

আনিসুর রহমানের মত কাজের সন্ধানে এসেছেন কাহালুর কাজি পাড়া গ্রামের ধলু, গাবতলীর মহিষাবান গ্রামের কালাম, রামেশ্বরপুর গ্রামের রাজ্জাক। সবার অবস্থা-ই এক।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বগুড়া শহরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খেটে খাওয়া মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রতিদিন বেকার হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। সব কিছু স্থবির হয়ে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছেন শ্রমজীবী এই মানুষগুলোকে।

বিজ্ঞাপন
গত কয়েকদিন ধরে নেই কাজ/ ছবি: বার্তা২৪.কম 

চৈত্র মাসে ফসলের মাঠে কাজ কমে যাওয়ায় আরও বিপদে পড়েছেন তারা। গ্রামেও কাজ নেই, শহরেও সব কিছু বন্ধ থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই বেকারের সংখ্যা বাড়ছে।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার আব্দুল মান্নান কাজ করেন জয়পুরহাটের একটি কোল্ড স্টোরেজে। তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষগুলো সরকারি সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছে না। সবাই তালিকাভুক্ত হতে না পারায় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল কিনতেও পারছেন না সবাই। ভিজিএফ ভিজিডি ও চালু হয়নি এখনও।

বিজ্ঞাপন

বগুড়া সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া চাল সবাই কিনতে পারছেন না। চাল বিক্রির অনেক আগেই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। উপর মহলে আলোচনা চলছে। ২-১ দিনের মধ্যেই বরাদ্দ আসবে।