ইউজিসির তদন্ত কমিটি বেআইনি, খর্ব হয়েছে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা: রাবি ভিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ ও রাবি ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহান

ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ ও রাবি ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহান

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিয়ে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর গণশুনানি করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) গঠিত তদন্ত কমিটি।

ত্রি-পক্ষীয় গণশুনানি আহ্বানের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ ইউজিসি’র তদন্ত কমিটি ও গণশুনানির পুরো প্রক্রিয়া ৭৩’র অধ্যাদেশ পরিপন্থী বলে অভিযোগ করছেন। তারা দাবি করছেন- তদন্ত কমিটির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করাটাই যুক্তিযুক্ত।

সবশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্লাটফরম ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মজিবুর রহমানও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তদন্ত টিমকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে তদন্ত করার আহ্বান জানান।

তবে অভিযোগকারী শিক্ষকদের গ্রুপটি ইউজিসি’র গণশুনানিকে স্বাগত জানিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। বাদী পক্ষের প্রায় সব শিক্ষক সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মু. মিজানউদ্দিন প্রশাসনের ঘোর অনুসারী। তবে তারা ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ’ ব্যানারে আন্দোলন ও অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গণশুনানি নিয়ে জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই শুনানির মাত্র এক সপ্তাহ আগে এবার ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি লিখেছেন খোদ উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান। সেই চিঠিতে শুরু থেকেই তদন্ত কমিটি গঠন প্রক্রিয়া, কমিটির সদস্য নির্বাচন থেকে তদন্ত কার্যক্রমের ত্রুটি ও আইন পরিপন্থী বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন তিনি।

কমিটির প্রধানের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও গণমাধ্যমে শিষ্টাচার বর্হিভূত বক্তব্য দিয়ে মিডিয়া ট্রায়ালে উপাচার্যকে হেনস্থা করার অভিযোগও তুলেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্তে পক্ষপাতিত্বের বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কর্তৃত্ববিহীন তদন্ত কমিটির সকল কর্যক্রম বন্ধ করার অনুরোধ জানান অধ্যাপক আব্দুস সোবহন।

গত বৃহস্পতিবার ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর রাবি উপাচার্যের ইস্যু করা ওই চিঠির একটি কপি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

রাবি উপাচার্যের ইস্যু করা চিঠি

চিঠিতে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ১৯৭৩ সালের অর্ডার এবং ১৯৯৮ সালের আইন (সংশোধিত) অনুযায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের কোন ক্ষমতা ইউজিসিকে দেওয়া হয় নাই। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্যের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে আপনার নির্দেশে তিন সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য সেই কমিটিতে ইউজিসি’র একজন সিনিয়র সহকারী পরিচলক এবং উপাচার্যের সমমর্যাদা সম্পন্ন দুইজন সম্মানিত সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যা আইনসিদ্ধ নয়। আইন অনুযায়ী তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ উপাচার্যের মর্যাদার এক ধাপ উপরে হওয়া বাঞ্চনীয়।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের বিষয়টি তুলে ধরা উপাচার্য লিখেছেন, ৭৩’র অধ্যাদেশের ১১ ধারা অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক উপাচার্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে শুধুমাত্র আচার্য দ্বারা সম্পন্ন করা আইনসিদ্ধ। অথচ আইন বর্হিভূতভাবে ইউজিসি’র একজন সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও দুইজন সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করা শুধু বেআইনীই নয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকেও খর্ব করার সামিল।

বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১২ ধারায় ১০টি অনুচ্ছেদে উপাচার্যের ক্ষমতা ও কর্তব্য বর্ণনা করা আছে উল্লেখ করে অধ্যাপক সোবহান বলেন, অ্যাক্ট-এর ৫১ এর ১ ধারা অনুযায়ী উপাচার্যের কার্যক্রমে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি প্রতিকার চেয়ে শুধুমাত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য বরাবর আবেদন করতে পারেন।

এদিকে, চিঠিতে ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক দিল আফরোজার বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক সোবহান লিখেছেন, তদন্তাধীন বিষয়ে গণমাধ্যমে তদন্ত কমিটির আহ্বায়কের এমন বক্তব্য তদন্তের আগেই আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে আহ্বায়ক যেভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন, তা থেকে প্রতীয়মান হয় যে- তদন্তের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়েছে। যা দ্বারা একজন উপাচার্যকে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অপদস্থ করা হয়েছে। ফলে তদন্ত রিপোর্ট পক্ষপাতহীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।’

সবশেষে উপাচার্য লিখেছেন, যেকোন অভিযোগ আমলযোগ্য হলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণপূর্বক তার তদন্ত হওয়াই বাঞ্চনীয়। আমি তাই দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই যে, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের হোক। এ বিষয়ে আমি শতভাগ সম্মত। তবে সেই তদন্ত কমিটি অবশ্যই যথাযথ আইনসিদ্ধভাবে গঠিত হওয়া বাঞ্চনীয়। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্যকে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করে অপদস্থ করা সমিচীন নয়।

এছাড়া একই অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকায় ইউজিসি কর্তৃক তদন্ত বা প্রশ্ন উত্থাপন করা আদালত অবমাননার সামিল বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আব্দুস সোবহান।

জানতে চাইলে ইউজিসি’র তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক দিল আফরোজ বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে কিছু জানা নেই। তবে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কাজ করা হচ্ছে। পক্ষপাতমূলক কোন কাজ কমিটির কোন সদস্যই করেনি। আমরা উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে আদিষ্ট হয়ে অভিযোগ তদন্ত করছি। বরং উপাচার্য মহোদয় ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বিষয়টি জটিল করে তুলেছেন।’

   

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যিরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েটের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ২৫ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদের বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামিকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহরে চলাচল করবে।

এর আগে গত সোমবার মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী।

ওইদিন আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে মাঠে নামেন। আন্দোলন চলার সময় শিক্ষার্থীরা বাসেও আগুন দেন।

;

কুবিতে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর কার্যালয়ে তালা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রশাসনিক ভবন ঘুরে এই তিন দপ্তর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী দপ্তরে তালা লাগানো আছে। দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কেউ সকাল থেকে দপ্তরে আসেননি।

এই বিষয়ে জানতে তিনজনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, 'আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।' 

;

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাস, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাস, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাস, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলমান প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ অনলাইনে ক্লাস চলার পর তাপমাত্রা স্বাভাবিক না হওয়ায় এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।

এদিকে অনলাইন ক্লাস নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা ফরছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনলা ক্লাসের পক্ষে ও বিপক্ষে নানা ধরনের যুক্তি তুলে ধরছেন শিক্ষার্থীরা।

আকরাম হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ বা অনলাইনে ক্লাস কোনটার পক্ষেই আমি নাহ। কেউ ছুটি নিয়ে বাসায় বসে থাকে বা গরমের জন্য বাসায় থাকে এমন নাহ। আর থাকলেও সংখ্যাটা ১০% এর আশেপাশে। সামান্য একটা অংশের জন্য অনলাইনে ক্লাস এনে বা ছুটি দিয়ে সেশন জটের মত দুর্ভোগ সৃষ্টি করা কতটা যোক্তিক সেটা বুঝে আসেনা।

লিমন ইসলাম স্বাধীন নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইনে হলে সবাই ঘরে বসে থাকে না ব্যাপারটা সত্য। কেউ টিউশনি করে, কেউবা অন্য কোন কাজে থাকে। আর টিউশনি করলেও সেটা সবাই রাতে করে। তখন আবহাওয়া কিছুটা শীতল থাকে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইন হলে মূল স্বস্তির জায়গা হলো যাতায়াত করা লাগে না। ৩.৩০ এ ক্লাস শেষ করে এমন অসহ্য গরমে ৩/৪ ঘণ্টা জার্নি করে বাসায় যাওয়াটা কতটা অসহ্য সেটা শুধু যাদের বাসা দূরে তারাই উপলব্ধি করতে পারে, সে সংখ্যাটা ৬০ শতাংশের বেশি। তবে যাদের বাসা ভার্সিটির আশেপাশে তাদের ক্ষেত্রে এইটা সমস্যা না। মুদ্রার দুইটা পিঠ নিয়ে যেমন কথা বলা যায়। ঠিক তেমনি অফলাইন আর অনলাইন ক্লাস নিয়েও কথা বলা যায়। দুইটাই দরকার, শুধু সময় বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

;

৬ বছর পর জাবির সিনেট-সিন্ডিকেটে অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে নতুন ৭ মুখ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেটে ৫ জন এবং সিন্ডিকেটে ২ জন সদস্যকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা সকলেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের' প্যানেল থেকে জয় লাভ করেছেন। অপরদিকে ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ পানেল থেকে এই দুই পদে জয় পাননি কেউই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৩৮ তম সভা শেষে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ভোট গণনা শেষে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান এর ফল প্রকাশ করেন। 

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষে আবু হাসান জানান, নির্বাচনে ৩৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৬ জন ভোট দেন। সিন্ডিকেটে ২টি পদের বিপরীতে ৪ জন এবং সিনেটে ৫টি পদের বিপরীতে ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ শিক্ষা পর্ষদের নিয়মিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯(১) (জি) ও ২২(১) (ডি) ধারা অনুযায়ী ২৪ ও ২৫ নাম্বার এজেন্ডায় অনুসারে ৫ জন অধ্যক্ষকে সিনেট সদস্য ও ২ জন অধ্যক্ষকে সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচনে আগামী ২ বছরের জন্য এই সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্ষদ থেকে সিনেট ও সিন্ডিকেটের কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' প্যানেল থেকে সিনেট প্রতিনিধি হিসেবে ৫ জন এবং আওয়ামীপন্থিদের আরেক অংশ ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সম্মিলিত জোট 'শিক্ষক ঐক্য পরিষদ' প্যানেল থেকে ৫ জন সহ এই 

প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ তবে সিনেট প্রতিনিধি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করেছেন বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মতিউর রহমান।

এছাড়া সিন্ডিকেট প্রতিনিধি হিসেবে উভয় প্যানেল থেকে ২ জন করে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ নির্বাচনে ৭টি পদেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' মনোনীত প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ  জয়লাভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯ (১) (জি) ধারা অনুযায়ী একাডেমি কাউন্সিল থেকে সিনেট সদস্য ক্যাটাগরিতে ১৬১ ভোট পেয়ে রশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, ১৫৮ ভোট পেয়ে সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, ১৫১ ভোট পেয়ে শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাহেজ উদ্দিন, ১৪৮ ভোট পেয়ে আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ এবং ১৩২ ভোট পেয়ে বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক চিন্ময় বাড়ৈ নির্বাচিত হয়েছেন ।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ২২ (১) (ডি) ধারা অনুযায়ী নির্বাচনে 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ প্যানেল থেকে সিন্ডিকেট প্রতিনিধি পদে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ ১৬৩ ভোট পেয়ে ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. হারুন অর রশিদ ১৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন৷ 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সর্বশেষ কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৬ বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ 

;