চাকরির আবেদনফর্মে নেই বশেমুরবিপ্রবির নাম
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম অনুসারে ২০০১সালে গোপালগঞ্জে প্রতিষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। গত ৮ জুলাই ১৯ বছর ফেরিয়ে ২০ বছরে পা দিলেও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির আবেদন ফর্মে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম,অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এতবছরেও।
সাধারণত চাকরির আবদেন ফর্মে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকে এবং শিক্ষার্থীরা সহজেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি চিহ্নিত করে আবেদনফর্ম পূরণ করেন। এসকল দিক বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীর জন্য চাকরির আবদেন ফর্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ বছর ফেরিয়ে গেলেও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরির আবেদন ফর্মে খুঁজে পাচ্ছেন না নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন যায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ রেজোয়ান হোসেন বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকটা চাকুরীর পরীক্ষায় আবেদন করতে গিয়ে এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। তবে প্রথম দিকে মনে হয়েছে যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় নতুন একারণে হয়তো বা নাম আসতে বা সিস্টেম আপডেট হতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় অনেক ক্ষেত্রে নব্য প্রতিষ্ঠিত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকলেও জাতির জনকের নামে প্রতিষ্ঠিত আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বলেন, ‘২০১৯ সালে ব্যাপারটি নিয়ে আমরা তৎকালীন উপাচার্যের সাথে কয়েকবার কথা বলেছিলাম। কিন্ত কোন সমাধান হয়নি। এখনও ভোগান্তি রয়েই গেছে এখনো। সরকারি চাকুরিসহ বিভিন্ন চাকুরির আবেদনের ফর্ম ফিল-আপ এর ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সিলেক্টের একটা অপশন আছে, ওখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সিলেক্ট করতে হয়। কিন্ত সিলেকশন লিস্টে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। এর ফলে আমাদের ‘আদারস’ নামে আলাদা একটা অপশন সিলেক্ট করে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লিখে ইনপুট দিতে হয়।’
বিষয়টি নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বশেমুরবিপ্রবির রেজিস্টার ড.নূরউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পূর্বে এ বিষয় নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে বিষয়টি আসলেই অনেক বিড়ম্বনার। এ সমস্যার সমাধান নিয়ে খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে যোগাযোগ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’