এএসপি আনিসুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধন করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে স্টাফদের নির্যাতনে ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা।
এএসপি আনিসুল করিম শিপন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক এস এম সাদাত হোসাইনের সঞ্চালনায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে শিপনকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের মাধ্যমে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। অন্যথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিচারের দাবিতে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী আকবর উদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, ‘এদেশে সশস্ত্র বাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা যদি নিরাপদ না থাকেন তাহলে সাধারণ মা-বোনেরা কিভাবে নিরাপদ থাকবে? সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ করার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এখন আর প্রতিবাদ নয়, আমাদেরকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এদেশকে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের।’
সমাপনী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ ইকরাম বলেন, ‘শিপনকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কারা এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ও কারা এই হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। আমরা এ সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার রাজপথে থাকবে।’
এছাড়া মানববন্ধন শেষে আগামী শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এএসপি শিপন হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদী সমাবেশের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, সোমবার (০৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আনিসুলকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।