লড়তে হবে অদৃশ্য শত্রুর  বিরুদ্ধে



আখতার হোসেন আজাদ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক বিশ্ব যত এগিয়ে চলছে, মানুষের জীবন ততই জটিল আকার ধারণ করছে। প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে তাল মিলিয়ে চলতে না পেরে অনেকেই বেছে নিচ্ছে কাপুরুষিত আত্মহত্যার পথ। প্রতিবছর দেশে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করছে; যার ঢেউ লেগেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিগত ৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি হারিয়েছে ১০জন মেধাবী নক্ষত্র। প্রাথমিক অবস্থায় থাকা এই মহামারি নির্মূল করার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন আখতার হোসেন আজাদ।

নিজেকে ভালবাসতে শিখতে হবে

হতাশা ও আত্মহত্যার বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিক। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকেই মানুষের মধ্যে হতাশার জন্ম নেয়। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স বা হীনমন্যতা হলো এক ধরনের অনুভূতি যা আক্রান্ত ব্যক্তিকে মনে করিয়ে দেয় যে উনি অন্যদের তুলনায় কিছু ব্যাপারে নিচু বা নিকৃষ্ট। সন্তানের প্রতি বাবা-মা'র সব সময়ই নেতিবাচক মনোভাব, সামাজিক অসুবিধা ও বৈষম্য ইত্যাদি কারণে এই হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে। একজন মানুষ যখন মনে করেন সমাজ থেকে উনি বিচ্ছিন্ন এবং এই ভেবে একাকীত্ব জীবন যাপন শুরু করেন তখন উনাকে হতাশা গ্রাস করে। আর এই হতাশা থেকেই মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললেই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব বলে মনে হয়। প্রথমত, আত্মপ্রেমিক হওয়া অর্থাৎ নিজেকে ভালবাসা। দ্বিতীয়ত, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেকে অন্যদের থেকে অধিক সক্ষম মনে করা অর্থাৎ কোন একটি বিশেষ কাজ আপনি অন্যদের থেকে অধিক সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারেন এমনটি ভাবা। সর্বোপরি যতসম্ভব পারা যায় নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত রাখা। কারণ এমন কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি ও প্রশংসা নিজেকে মূল্যবান করে তোলে।

হাফিজ ইসলাম, সহকারি প্রক্টর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে

বর্তমানে আত্মহত্যা এক মারাত্মক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। নানান ধরণের হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। অথচ ধর্ম কিংবা যেকোনো বিবেচনাতেই আত্মহত্যা একটি নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ।  চাহিদার সাথে প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা হতাশা সৃষ্টির অন্যতম কারণ।  আর এটিই ধীরে ধীরে আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যায়। কেউ কাঙ্ক্ষিত চাকুরি না পেয়ে, কেউ প্রভাব-প্রতিপত্তি অর্জন করতে না পেরে, কেউ প্রেমে ব্যর্থ হয়ে, আবার কেউ সমাজের কটুকথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। অথচ ‘রাত যত গভীর হয়, ভোর যে ততই নিকটে আসে’ সে কথা হয়তো তারা দিব্যি ভুলে যায়। আকাশচুম্বী চাহিদার কাছে স্বপ্নিল জীবনকে হার মানানো যাবে না। গভীরভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে শিখলে, নিজ ও পিতামাতার স্বপ্নগুলোকে গভীরভাবে অনুধাবন করলে, নিজের সাধ্যের মধ্যে যতটুকু আছে ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকলে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেকাংশে কমে যেত বলে মনে করি। প্রত্যেক ধর্মেই আত্মহত্যাকে মহাপাপ ও জঘন্য কর্ম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আল কোরআনে একাধিকবার আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হয়ে আশাবাদী হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। হতাশা দূর করার জন্য মানসিকভাবে সতেজ থাকা জরুরি। শিক্ষাজীবনে ফল ভালো না হওয়া, চাকুরির প্রস্তুতিকালীন হতাশা, জীবনযুদ্ধে বিভিন্ন কারণে কখনোই হতাশ বা ভেঙে পড়া যাবে না। অপেক্ষায় থাকতে হবে নতুন ভোরের। আঁধার কেটে গেলেই আসবে নতুন সূর্য। সেই নতুনের আলোয় দূরীভূত হবে সকল অমানিশা। তবে এজন্য নিজেকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে হবে।

আতিফা কাফি তৃণা, লেকচারার, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

লড়তে হবে হতাশা নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে

প্রত্যেকটি জীবন সুন্দর। বেঁচে থাকাটাই হলো পরম তৃপ্তির। এজন্য মনে কখনো হতাশা আনয়ন করা যাবে না। মনে রাখতে হবে, যেখানে সমস্যা, সেখানেই সমাধান। হতাশা মানুষকে চরম নিকৃষ্ট কাজের দিকে ধাবিত করে দেয়। মনে রাখতে হবে, আমরা জন্ম থেকেই চ্যাম্পিয়ন। কোটি কোটি ভ্রুণের সাথে যুদ্ধ করে আমরা জন্ম নিয়েছি। প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে কখনো একটু পিছিয়ে গেলে হতাশ না হয়ে ভুল শুধরে সামনের দিকে এগুতে হবে। পরিশ্রমের দরুণ আগামী দিন হবে কেবল সম্ভাবনার। শুধু লড়াই করতে হবে হতাশা নামক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে।

মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রনেতা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইবি

আর্থিক সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রকে ভূমিকা পালন করতে হবে

নতুন প্রজন্মের বিশাল একটি অংশকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় হতাশাগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে আমার অভিমত; যার পরিণতি অপমৃত্যু। হতাশা ও আত্মহত্যার বিভিন্ন কারণ থাকলেও মূলত আর্থিক সংকটের দরুণ মানুষ হতাশার সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়। দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। আসন্ন বাজেট পরিকল্পনামাফিক তৈরি করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সচ্ছতার সাথে নিয়োগ এবং বেকারভাতার সৃষ্টির মাধ্যমে যুবসমাজকে হতাশা থেকে উত্তরণ করা সম্ভব। আবার দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের মানসিক উন্নয়নের জন্য বিশেষ কোনো সেল নেই। থাকলেও কার্যকারিতা নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দৃষ্টি দিতে হবে।

আব্দুর রউফ, সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ইবি

হারানোর কিছু নেই; জয় করার আছে গোটা বিশ্ব

মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের মধ্যে হতাশা বেশি কাজ করে। পরিবারের সাথে কন্ট্রিবিউট করার তাগিদটা সব সময়ই থাকে তাদের। দেশের প্রেক্ষাপটে জীবনের নানামূখী অনিশ্চিতয়তার মধ্যে হতাশার পারদ চড়ে যায়। যারা প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী, দৃঢ়চেতা, প্রজ্ঞাবান, জ্ঞান, মেধা ও বুদ্ধিমত্তায় সেরা তারাই টিকে থাকে পৃথিবীর বুকে। আজ যারা যুবা-তরুণ তাদের হারানোর কিছু নেই, নিজস্ব সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করে পাবার আছে পুরো জগতটাই। শুধু মনে রাখতে হবে, রাঙ্গা সূর্য সন্নিকটেই। একই সাথে ছাত্র সংগঠনগুলোকে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিকল্পে কাজ করা উচিত।

জি.কে সাদিক, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইবি

যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে

বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল, বন্ধুদের কাছে যথাযথ গুরুত্ব না পাওয়া, পরীক্ষার ফল প্রত্যাশানুযায়ী না হওয়া অনেকসময় মনে হতাশা সৃষ্টি করে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মূলত প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্যই সৃষ্টি হয় হতাশা, সহ্য করতে না পেরে পরিণতি আত্মহত্যা। এজন্য নিজেকে সবসময় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। অন্যের প্রতি কম প্রত্যাশা, নিজেকে সবসময় কর্মব্যস্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। কোনো সমস্যায় পতিত হলে অন্যের সাথে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। একই সাথে সৃষ্টিকর্তার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে হবে। আমার সাথে যা হচ্ছে, সব সৃষ্টিকর্তার নির্দেশেই হচ্ছে, আমার ভালোর জন্যই হচ্ছে এটি সবসময় মনে রাখতে হবে।

জারিন তাসনিম, শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ

কর্ম পরিত্যাগ কখনোই কাম্য নয়

আমাদের বেঁচে থাকার জন্য  সব ক্ষেত্রেই সংগ্রাম করতে হয়। আমাদের জন্ম, বেড়ে উঠা সবকিছুই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। মহাবিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টি সংগ্রাম করে জীবনযাপন করে। মানুষ পৃথিবীর সেরা জীব। জীবনযুদ্ধে কখনো সাফল্যের মুখ না দেখলে কর্মকৌশল পরিবর্তন করা উচিত। কখনোই কর্ম পরিত্যাগ কাম্য নয়। হতাশায় ডুবে আত্মহত্যা করা হলো অস্থায়ী সমস্যার স্থায়ী সমাধানের মতো; যা কেবল বোকারাই করে।

বিকাশ চন্দ্র রয়, শিক্ষার্থী, ফোকলোর বিভাগ

জীবনযুদ্ধে কখনো পরাজিত সৈনিক হওয়া যাবে না

প্রত্যেকটি মানুষ একেকটি স্বপ্ন এবং সম্পদ। কিন্তু বর্তমানের সাময়িক সম্যস্যা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনকে বিষাক্ত করে তোলে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আর্থিক সমস্যা অনেকসময় হতাশা আনতে বাধ্য করে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশানের প্রকৃতি অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা করা উচিত। প্রাত্যহিক জীবনে যত সমস্যা আসুক, কখনো জীবনযুদ্ধের পথচলায় পরাজিত সৈনিক হওয়া যাবে না। হতাশার গহীন বালুচড়ে আছড়ে আর একটিও সম্ভাবনাময়ী প্রাণ না ঝরুক এটিই কাম্য। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এ বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

রুখসানা খাতুন ইতি, শিক্ষার্থী, ইসলামের ইতিহাস সংস্কৃতি বিভাগ

লেখক: আখতার হোসেন আজাদ, শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

01792387438; 01521319453

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;