স্বাধীনতার ৫০ বছরেও ফরিদপুরে নেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়



আয়াতুল্লাহ মুমেন তাজকির
সন্ধ্যার পরে শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম জায়গা, ফরিদপুরের প্রাণকেন্দ্র, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। ছবি: আয়াতুল্লাহ মুমেন তাজকির

সন্ধ্যার পরে শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম জায়গা, ফরিদপুরের প্রাণকেন্দ্র, মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। ছবি: আয়াতুল্লাহ মুমেন তাজকির

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে অবস্থিত ঢাকা বিভাগের একটি জেলা ফরিদপুর। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ফরিদপুর বাংলাদেশের বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ফরিদপুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে থাকলেও বাস্তবিক অর্থে সেটা কিছুটা ভিন্ন। ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ, মেরিন একাডেমি ও ফরিদপুর ইঞ্জিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি টাইমস ইউনিভার্সিটি নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু,একটি বৃহৎ জেলা হিসেবে ফরিদপুরে নেই একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। যা জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি।

ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে এমন কথা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় উত্থাপিত হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে কিন্তু, এখনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ দেখতে পারেনি, এ জেলাসহ আশেপাশের অঞ্চলের লোকজন। আধুনিক ও উচ্চশিক্ষার চাহিদা থাকা সত্বেও দূরত্ব ও যোগাযোগের কারণে এ অঞ্চলের মানুষ উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

নতুন দালান ও ছাত্র হোস্টেল সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ (ডিগ্রি শাখা), ফরিদপুর। স্থাপিত- ১৯১৮ খ্রি.। ছবি: আয়াতুল্লাহ মুমেন তাজকির

ফরিদপুর জেলা প্রতিষ্ঠার পরেই জনসাধারণের শিক্ষার জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়, যেটি বর্তমানে ফরিদপুর জিলা স্কুল নামে বেশ সুপরিচিত। পরবর্তীতে ১৯১৮ সালে অম্বিকা চরণ মজুমদারের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ। সুতরাং বোঝা যায় যে, এ অঞ্চলের মানুষগুলো অনেক আগে থেকেই শিক্ষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছরে পার হয়ে গেলেও ফরিদপুরে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়নি। যা এ জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি।

ফরিদপুরের পাশের জেলা গোপালগঞ্জে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও উচ্চশিক্ষার জন্য সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা খুবই জরুরি ছিল। কিন্তু গোপালগঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ফরিদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিকল্প হতে পারে না। যাতায়াত বা যোগাযোগের দূরত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার একটি বড় কারণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। ফরিদপুর থেকে গোপালগঞ্জের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। কুষ্টিয়াতেও একটি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যা রাজবাড়ী থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এমনকি ফরিদপুর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে বরিশালে রয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রধান তোরণ ফরিদপুর জিলা স্কুল। স্থাপিত- ১৮৪০ খ্রিঃ। ছবি: আয়াতুল্লাহ মুমেন তাজকির

ফরিদপুরের আশেপাশের এলাকা যেমন, সদরপুর, নগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী, মধুখালী, কামারখালী, গোয়ালন্দ, চরভদ্রাসন, ভাঙ্গা, বালিয়াকান্দা, পাংশা, রাজবাড়ী ইত্যাদি এলাকাসহ মাগুরার একটি বড় অংশের শিক্ষার্থী, যারা উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী, তাদের অনেকেই কাছাকাছি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এইসব অঞ্চলের মানুষ ফরিদপুরেও আসে শিক্ষার জন্য। কিন্তু ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকা ও দূরত্বের কারণে তারা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে।

স্বাধীনতার ৫০ বছর অর্থাৎ স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী হয়ে গেলো অথচ ফরিদপুরে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলো না।

এ বিষয়ে জানতে ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, প্রফেসর আলতাফ হোসেন সাক্ষাৎকারে বলেন, আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার গৌরবজনক ৫০ বছর পার করছি। সারাদেশ এই স্বাধীনতার জন্য যে উচ্ছ্বাস সেটা উদযাপন করলেও তাতে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করছে করোনা মহামারি । স্মৃতিচারণের মাধ্যমে,  মুক্তিযোদ্ধাদের গল্পগাথার মাধ্যমে, বিভিন্ন সাহিত্যে, কবিতায় ও নাটকের মাধ্যমে স্বাধীনতা আনতে গিয়ে আমাদের দেশের লক্ষ প্রাণের যে ত্যাগ সে ত্যাগের কাহিনীগুলো আবার আমাদের সৃতিতে পুনর্জাগরিত হয়েছে। এটি আমাদের সাহসের, অহংকারের এবং গৌরবের একটি অর্জন।

প্রধান তোরণ সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, (ডিগ্রি শাখা) ফরিদপুর। স্থাপিত- ১৯১৮ খ্রি.। ছবি- আয়াতুল্লাহ মুমেন তাজকির

ফরিদপুর শহরে বিভিন্নভাবে স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী পালন করা হয়েছে কিন্তু সত্যিকারপক্ষে যে ধরণের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন প্রয়োজন সে দিকে মনোযোগের ঘাটতি ছিলো। যার কারণে প্রত্যাশিত সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত প্রসারতা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, বহুদিন যাবত ফরিদপুরবাসীর অনেকগুলো প্রত্যাশার মধ্যে একটি ছিলো একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া রাজেন্দ্র কলেজে উচ্চতর শিক্ষা সংযোজিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু যে সমস্ত আধুনিক বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো নিয়মের কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে এই বিষয়গুলো পড়ার সুযোগ শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে না। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মি্লিয়ে তার পাঠ্যক্রম প্রয়োগ করা যায় বলে তিনি জানান, যেটি একটি পুরাতন কলেজে সম্ভব হয় না। ফরিদপুরসহ আশেপাশের অঞ্চলগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি জানান এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যথার্ত যুক্তি রয়েছে।

একজন শিক্ষক হিসেবে তিনি দাবি করেন, ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা, যাতে করে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, অভিভাবকরা তাদের সন্তানদেরকে উচ্চতর শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারেন।

পুরাতন দালান সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, (ডিগ্রি শাখা) ফরিদপুর। স্থাপিত- ১৯১৮ খ্রিঃ। ছবি: আয়াতুল্লাহ মুমেন তাজকির

প্রবীণ শিক্ষাবিদ ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক শিক্ষক, অধ্যাপক এম এ সামাদ সাক্ষাৎকারে বলেন, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিভিন্ন ফোরামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী উত্থাপন করেছেন। স্থানীয় ব্যক্তিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছেন এবং তারা আশা করছেন ফরিদপুরে দ্রুত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি অবগত আছেন যে, প্রধানমন্ত্রী ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে সম্মত আছেন।

এ বিষয়ে কথা হয় যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর এ বি এম আব্দুস সাত্তার এর সাথে । তিনি বলেন, ফরিদপুর একটি বিভাগিয় শহর ঘোষণা না হলেও যে কাজ হয়েছে তাতে ফরিদপুর বিভাগিয় শহরের ঘোষনার অপেক্ষায় আছে মাত্র, এবং ফরিদপুরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়াটা সময়ের দাবি ও সকলের দাবি বলে জানান প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ।

আয়াতুল্লাহ মুমেন তাজকির, শিক্ষার্থী মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।

   

চবির ৫ম সমাবর্তন ৮ ডিসেম্বর



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে রাষ্ট্রপতির আলোচনা হয়েছে। এ সময় উপাচার্যকে চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর সমাবর্তন করার নির্দেশনা দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারোটায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ নির্দেশনা দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের রাষ্ট্রপতিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব করলে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এতে সম্মতি প্রকাশ করেন এবং ৮ ডিসেম্বর ৫ম সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে নিজেদেরকে দক্ষ, যোগ্য ও আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি হয়ে গড়ে ওঠতে পারে সে লক্ষ্যে যুপোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করার পরামর্শ প্রদান করেন।

এছাড়াও রাষ্ট্রপতি উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন এবং তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।

;

জবিতে পহেলা বৈশাখ বৃহস্পতিবার, বন্ধ থাকবে ক্লাস-পরীক্ষা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে ওইদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পহেলা বৈশাখ, ১৪৩১ বাংলা ১৪ এপ্রিলের (রোববার) অনুষ্ঠান আগামী ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উদযাপন উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

এ প্রেক্ষিতে আগামী ১৮ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া অনুষ্ঠান সূচিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা জবি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার জবি ক্যাম্পাসে এসে শেষ হবে।

এরপর একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্ত্বরে আলোচনা সভা, সংগীত বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান এবং নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে।


এছাড়াও বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিবেশনা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশনের প্রযোজনায় রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হবে।

এছাড়াও এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতরের উদ্যোগে ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচ তলায় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

এদিন বর্ষবরণের বর্ণাঢ্য এসব অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এবারে বাংলা নববর্ষে ঈদের ছুটি থাকায় এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য ১৪ এপ্রিলের পরিবর্তে ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠানমালা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবং ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশা চিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হবে।

;

রাবির জনসংযোগ দফতরের নতুন প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জনসংযোগ দফতরের নতুন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, জনসংযোগ দফতরের বর্তমান প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বাংলাদেশ পাবালিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগ পাওয়ায় এবং তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ১৭ এপ্রিল পূর্বাহ্ন থেকে জনসংযোগ দফতরের প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে-কে ১৭ এপ্রিল হতে তিন বছরের জন্য জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক নিয়োগ করা হলো। এ দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা হারে সম্মানী পাবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের নবনিযুক্ত প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে নরওয়ের বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল এবং হংকংয়ের সিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন সমাজবিজ্ঞান বিভাগে সিনিয়র ফুলব্রাইট ফেলো ছিলেন। তার গবেষণার প্রধান বিষয় হলো- পাবলিক পলিসি, সামাজিক আন্দোলন, এনজিও, সামাজিক জবাবদিহিতা, পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট, সমসাময়িক রাজনীতি, শাসনপ্রক্রিয়া ও লিঙ্গ অধ্যয়ন।

ড. প্রণব কুমার পাণ্ডে এ পর্যন্ত দশটি বই লিখেছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তার লেখা চার ডজনের বেশি অ্যাকাডেমিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া, সমসাময়িক বিষয়ে বিভিন্ন ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় তিনি অসংখ্য প্রবন্ধ লিখেছেন। অধ্যাপনাকালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করাসহ রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ছিলেন।

;

মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে নতুন বছরকে বরণ করলো কুবি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল বৈশাখীর ঝড়। তোরা সব জয়ধ্বনি কর' প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) পরিবার।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশিদুল ইসলাম শেখ, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস লতাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির বলেন, 'সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। বাঙালির যে ঐতিহ্য, আমাদের যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা, সেই প্রচেষ্টার লক্ষ্যেই আমরা পহেলা বৈশাখ পালন করি। বাঙালির ঐতিহ্য ফিরে আসুক, অসাম্প্রদায়িকতা ফিরে আসুক। শান্তির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হোক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আমরা পহেলা বৈশাখ পালন করি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী আজকে যারা র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেছে তাদের শুভেচ্ছা জানাই।'

;