উপকূলীয় জীবনের পক্ষসমর্থনে টেকসই বেড়িবাঁধ অপরিহার্য



সাইফুল ইসলাম সায়েম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেখতে দেখতে মাস অতিবাহিত হলো ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। গতমাসের এ সময়ে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, যার প্রভাব আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি উপকূলবর্তী মানুষ।

আজও তারা আঁতকে ওঠে সেই ভয়াল দৃশ্যর কথা মনে পরলে। পানিবন্দি মানুষ, মাথার উপরে খোলা আকাশ, পায়ের নিচে হাঁটু সমান নোনা জল-এ অভিজ্ঞতা কি ভোলা যায়! অবহেলিত উপকূলীয় মানুষদের গৃহপালিত পশু নিয়ে একই ঘরে পরিবারসহ বসবাস করতেও দেখা গিয়েছিল।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পরবর্তী সময়ে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি উপকূলীয় উপজেলার মানুষের সঙ্গে। দেখেছি তাদের বুকফাটা কান্না। তাদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, উপকূলবাসী ঝড়কে ভয় পায় না, ভয় পায় নাজুক বেড়িবাঁধকে।

ঝড়ের থেকেও বেশি ক্ষতি হয়, যখন বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ের চারদিক পানিতে প্লাবিত হয়। তাই উপকূলীয় অঞ্চলের প্রত্যেক মানুষ চেয়েছে, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক। উপকূলীয় ভুক্তভোগী এই পরিবারগুলো যখন রাস্তায় নামে এই বেড়িবাঁধের জন্য, তখন তাদের কষ্টের কথাগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

কিন্তু যাদের হৃদয় ছোঁয়ার কথা, তাদের ছোঁয় না। তারা সময় এলে প্রতিশ্রুতি দেন-বাঁধ হবে, খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে, আশ্রয়ের ব্যবস্থা হবে; কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল এখনো খুঁজে পায়নি উপকূলীয় মানুষগুলো।

দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের শেষ উপজেলা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী। এর চারদিক নদ-নদীবেষ্টিত। শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ডের অকেজো বেড়িবাঁধ এই জনপদকে ঘিরে রেখেছে। বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়া বিরূপ হলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে অকেজো এই বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে এই অঞ্চলের লোকালয়ে। ফলে এই  উপকূলীয় জনপদের বেশকিছু জায়গা রূপ নেয় স্থায়ী জলাবদ্ধতায়। শুধু তাই নয় মাঝে মধ্যে গ্রীষ্ম মৌসুমেও বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকে যায় টেকসই বেড়িবাঁধাহীন এই নদীবেষ্টিত লোকালয়ে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষতি আজও কাটিয়ে উঠতে পারেনি এখানকার বসবাসরত শতাধিক পরিবার। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমা তিথির জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীবেষ্টিত ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এই উপজেলাটির ২৫টি গ্রাম।

প্রশাসনের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে উপজেলাটির বিভিন্ন এলাকায় ৫ হাজার ৫১০ মিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অপরদিকে, অতীতে ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, আম্ফান, ফনি ও বুলবুলের তান্ডবে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা, চরলতা, চিনাবুনিয়া ও চরমোন্তাজের চরআন্ডাসহ কয়কটি এলাকার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার ফলে ভাঙা বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে ক্ষতির পরিমাণ দিনকে দিন বেড়েই চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত এই নিম্ন অঞ্চলের মানুষের দাবি, দূর্যোগ থেকে রেহাই দিতে স্থায়ীভাবে টেকসই এবং উঁচু বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না হলে তাদের জীবিকা নির্বাহের পথ বন্ধ হতে পারে যেকোনো সময়ে। উল্লেখ, এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে কৃষি ও মৎস্য চাষ। যা ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে উপজেলাটিতে মৎস্যখাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা এবং কৃষিখাতে সীমাহীন অর্থ ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

কিছুদিন আগে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর উপকূলীয় এলাকায় গিয়ে জনগণের রোষানলে পড়েছিলেন সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা। সেখানে তিনি উপকূলীয় মানুষের আর্তনাদ শুনে অভিনব উপায় এ জাতীয় সংসদে ‘আর কোন দাবি নাই, ত্রাণ চাই না; বাঁধ চাই’ লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে নিজ এলাকার মানুষের দাবির কথা তুলে ধরেছেন। জাতীয় সংসদে তার এ দাবির মধ্য দিয়ে উপকূলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলিত হয়েছে। উপকূলবাসীও দীর্ঘদিন ধরে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। প্রশ্ন হচ্ছে, হাজারো মানুষের সাধারণ একটি চাওয়া পূরণ করা যাচ্ছে না কেন। উপকূলীয় এলাকায় যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি-তা নয়। বহু এলাকায়ই বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে, আবার তা ভেঙে যাওয়ার পর সংস্কারও করা হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে এগুলো টেকসই না হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়র তো বটেই অনেক সময় জলোচ্ছ্বাসই প্রতিরোধ করতে পারে না।

অভিযোগ আছে এক শ্রেণীর অসাধু ঠিকাদারদের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সংযোগ রয়েছে, তারাই বারবার এসব বাঁধ নির্মাণের কাজ পায় বিভিন্ন মাধ্যমে। তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বাঁধ টেকসই হয় না। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের এ চক্রটি ভাঙতে হবে। বাঁধ নির্মাণে অতীতে যারা অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারদের লাইসেন্স বাতিল বাধ্যতামূলক করা হোক।

টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব জমি না থাকলে ক্ষতিপূরণ দিয়ে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরুরি তহবিল গঠন, বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করা এবং বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। তাহলেই উপকূলীয় জনপদের মানুষ দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই-সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে পারবে।

সাইফুল ইসলাম সায়েম, শিক্ষার্থী, পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

মোবাইল: ০১৭৪০৬৭৮৯৭৮

   

৬ বছর পর জাবির সিনেট-সিন্ডিকেটে অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে নতুন ৭ মুখ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেটে ৫ জন এবং সিন্ডিকেটে ২ জন সদস্যকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা সকলেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের' প্যানেল থেকে জয় লাভ করেছেন। অপরদিকে ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ পানেল থেকে এই দুই পদে জয় পাননি কেউই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৩৮ তম সভা শেষে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ভোট গণনা শেষে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান এর ফল প্রকাশ করেন। 

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষে আবু হাসান জানান, নির্বাচনে ৩৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৬ জন ভোট দেন। সিন্ডিকেটে ২টি পদের বিপরীতে ৪ জন এবং সিনেটে ৫টি পদের বিপরীতে ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ শিক্ষা পর্ষদের নিয়মিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯(১) (জি) ও ২২(১) (ডি) ধারা অনুযায়ী ২৪ ও ২৫ নাম্বার এজেন্ডায় অনুসারে ৫ জন অধ্যক্ষকে সিনেট সদস্য ও ২ জন অধ্যক্ষকে সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচনে আগামী ২ বছরের জন্য এই সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্ষদ থেকে সিনেট ও সিন্ডিকেটের কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' প্যানেল থেকে সিনেট প্রতিনিধি হিসেবে ৫ জন এবং আওয়ামীপন্থিদের আরেক অংশ ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সম্মিলিত জোট 'শিক্ষক ঐক্য পরিষদ' প্যানেল থেকে ৫ জন সহ এই 

প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ তবে সিনেট প্রতিনিধি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করেছেন বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মতিউর রহমান।

এছাড়া সিন্ডিকেট প্রতিনিধি হিসেবে উভয় প্যানেল থেকে ২ জন করে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ নির্বাচনে ৭টি পদেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' মনোনীত প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ  জয়লাভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯ (১) (জি) ধারা অনুযায়ী একাডেমি কাউন্সিল থেকে সিনেট সদস্য ক্যাটাগরিতে ১৬১ ভোট পেয়ে রশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, ১৫৮ ভোট পেয়ে সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, ১৫১ ভোট পেয়ে শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাহেজ উদ্দিন, ১৪৮ ভোট পেয়ে আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ এবং ১৩২ ভোট পেয়ে বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক চিন্ময় বাড়ৈ নির্বাচিত হয়েছেন ।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ২২ (১) (ডি) ধারা অনুযায়ী নির্বাচনে 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ প্যানেল থেকে সিন্ডিকেট প্রতিনিধি পদে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ ১৬৩ ভোট পেয়ে ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. হারুন অর রশিদ ১৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন৷ 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সর্বশেষ কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৬ বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ 

;

নিরাপত্তা ও আত্মসম্মান রক্ষায় কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপত্তা, আত্মসম্মান রক্ষার্থে ও বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করার স্বার্থে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডি থেকে এক সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস কমিটির সদস্য আবু ওবায়দা রাহিদ অনুমতি ছাড়াই আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নির্মিতব্য সংরক্ষিত কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসন বিন্যাস পরিকল্পনা করেন এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি ছাড়া ল্যাবে প্রবেশ ও আসন পরিকল্পনা করার কথা জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন। পরবর্তী সময়ে ঈদ ছুটি শেষে 'অনুমতি নেওয়ার' বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিনি ক্যাম্পাসে গোল চত্বরে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমানসূচক কথাবার্তা বলতে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে 'স্লেজিং' করতে থাকেন। ওই সময় উপস্থিত তিন শিক্ষক তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তখনও তিনি আমার দিকে বারবার তেড়ে আসতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে 'সমঝোতা বৈঠকে' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন অধ্যাপকের সামনে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং আমার পরিবার নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন।

পদত্যাগ পত্রে তিনি আরও বলেন, ওই সদস্য একজন সহকারী প্রক্টর। এ পদের ক্ষমতা এবং প্রভাবশালীর সঙ্গে তার সম্পর্কের জোর দেখিয়ে এ কাজ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় এবং তিনি আমাকে সুযোগ পেলে আক্রমণ করবেন বলে অব্যাহতভাবে হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পার হয়ে গেলেও ওই সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় বিচার না পাওয়া ও তার ধারাবাহিক হুমকির মুখে তার উপস্থিতিতে প্রক্টরিয়াল বডিতে আমি কাজ করতে তীব্রভাবে শঙ্কিতবোধ ও বিব্রতবোধ করছি। তাই, নিজের নিরাপত্তা, আত্মসম্মান রক্ষার্থে ও বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করার স্বার্থে আমি সহকারী প্রক্টর থেকে পদত্যাগ করছি।

পদত্যাগকারী শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এই দায়িত্বে পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি, আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি৷

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ইবি 



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত গুচ্ছ (জিএসটি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় প্রক্টর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

এসময় তিনি জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে র‍্যাবের সর্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা থাকবে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসের সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা বদ্ধপরিকর। ভর্তি পরীক্ষা যেন নকল মুক্ত এবং প্রক্সি মুক্ত হয় সেজন্য আমাদের সর্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেনো না ঘটে সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। 

সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিএনসিসি রোভার স্কাউটের ৬২ জন সদস্য বিভিন্ন ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন, পাশাপাশি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় ১৭৫ জন পুলিশ সদস্য এবং ২৩ জন পোশাকধারী আনসার সদস্য দায়িত্বে থাকবেন।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ১০০ জন ভ্যান চালকদের পোশাক ও আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনে তারা মেইন গেইট থেকে শিক্ষার্থীদের ভবনে পৌঁছে দেয়ার কাজ করবে। এছাড়াও পার্কিং করার ক্ষেত্রে কুষ্টিয়া হতে আগত শিক্ষার্থীদের ৩নং গেইটে (ডরমিটরি গেইট) নামিয়ে দিয়ে শান্তিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাড়ি অবস্থান করবে এবং ঝিনাইদহ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের শেখপাড়া বাজারে নামিয়ে দিয়ে ডিএম কলেজে গাড়িসমূহ অবস্থা করবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ মে (শুক্রবার) ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এর ভর্তি পরীক্ষা এবং ১০ মে (শুক্রবার) ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায়ী শিক্ষা) বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমদিন ৬ হাজার ৪৪২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় বসবে।

;

সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ে অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বৃষ্টি চেয়ে প্রার্থনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে ঢাবি প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এ আয়োজন বাতিল করতে হয়।

বুধবার (২৪এপ্রিল) এ সালাত আদায়ের কথা থাকলেও আগের দিন রাতেই আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ঢাবি প্রশাসন এ আয়োজনের অনুমতি দেননি।

ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এ ইস্তিস্কার নামাজ। ইমামতি ও মুনাজাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শাইখ অধ্যাপক মুখতার আহমদকে। তবে, আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি নিয়ে রাতেই জানানো হয়, এ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি আয়োজকদের পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আয়োজকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, সালাতুল ইস্তেস্কার আদায় সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকালের অনুষ্ঠিতব্য সালাতুল ইস্তেস্কারের ব্যাপারে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের ডেকেছে। তীব্র তাপবদাহ চলমান থাকায় এই মুহুর্তে প্রশাসন আমাদের খোলা মাঠে সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের অনুমতি দেয়নি। পরবর্তী সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ঢাবি প্রক্টর ড.মাকসুদুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস ঘোষণা করা হয়েছে। সে জায়গায় আমরা খোলা মাঠে নামাজের অনুমতি দিতে পারি না। নামাজের জন্য আমাদের কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে, হলে হলে মসজিদ রয়েছে, ইমাম-খতিবও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইস্তেস্কার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গরমের তীব্রতায় বৃষ্টির আশায় এ ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে।

;