প্রস্তুতি শেষ, অক্টোবরেই খুলতে পারে শেকৃবির আবাসিক হল
ছবি: বার্তা ২৪.কম
করোনার কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়। তবে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী সরকারের ভ্যাক্সিন কার্যক্রমের আওতায় আসার পরেও বন্ধ আছে হলগুলো।
এপ্রসঙ্গে শেকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া বার্তা২৪ কে জানান,‘আমরা হল গুলো খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সব পরিস্থিতি ঠিক থাকলে অক্টোবরের শুরুর সপ্তাহে খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। তবে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে এবং এর পরেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলোগুলো খোলার জন্য প্রস্তুত কিনা এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে নবাব সিরাজুদ্দৌলা হলের প্রভোস্ট সিরাজুল ইসলাম খান বার্তা২৪ কে বলেন,‘হল গুলো খোলার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সহ আনুষাঙ্গিক সকল কাজের ৯০ শতাংশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি কাজ চলমান রয়েছে। স্যানিটাইজেশনের জন্য পর্যাপ্ত স্যানিটাইজারের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিরাজুদ্দৌলা হলে গণরুম সংস্কৃতি থাকবে না এবং সবার জন্য থাকবে রুমের ব্যাবস্থা। এছাড়া ছাত্র-অছাত্র চিহ্নিত করা হবে। পড়ালেখা শেষ, চাকরি হয়ে গেছে কিংবা বাইরের কোনো শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবে না। এক্ষেত্রে যথার্থ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলগুলোর প্রভোস্টদের সঙ্গে কথা বলেও হলগুলোর প্রস্তুতির কথা জানা যায়। এক্ষেত্রে কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন,‘নজরুল হলকে ভিন্ন রুপে পরিবর্তন করা হয়েছে। রং করা সহ অবকাঠামোগত অনেক কাজ করা হয়েছে। এছাড়াও করোনার কথা মাথায় রেখে স্যানিটাইজেশনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। আরও কিছু কাজ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কেনো আইসোলেশন সেন্টারের ব্যাবস্থা করা হয়নি। এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বার্তা২৪ কে বলেন, আমাদের মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। আমাদের জন্য পর্যাপ্ত আইসোলেশনের ব্যাবস্থা করা কঠিন। তবে বিষয়টি বিবেচনায় রাখবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
