জাবির ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি ও নতুন মানবন্টন প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ৭-১৮ নভেম্বরের মধ্যে এ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

রেজিষ্টার অফিস জানায়, ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে ডিনদের নিকট সময়সূচি পাঠানো হয়েছে। এরপর এ সূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্বাক্ষর করলে চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে। তবে এ সময়সূচি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

ভর্তি পরীক্ষার এই সূচি অনুযায়ী, রোববার ও সোমবার (০৭ ও ০৮ নভেম্বর) এ ইউনিটের অধিনে গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ, মঙ্গল ও বুধবার ‘ডি’ ইউনিটের অধীনে জীববিজ্ঞান অনুষদ, বৃহস্পতিবার 'এইচ' ইউনিটের অধীনে আইআইটি এবং ‘জি’ ইউনিটের অধীনে আইবিএ।

পরের সপ্তাহের রোববার ‘বি’ ইউনিটের অধীনে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, সোমবার ‘এফ’ ইউনিটের অধীনে আইন অনুষদ, ‘আই’ ইউনিটের অধীনে বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট, মঙ্গলবার ‘ই’ ইউনিটের অধীনে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ, ‘সি-১’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিকী অনুষদ এবং বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ‘সি’ ইউনিটের অধীনে কলা ও মানবিকী অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক দিনের পরীক্ষা ৫ শিফটে ভাগ করে অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। প্রতি শিফটে ৪৫ মিনিট করে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি সূত্র জানিয়েছে, ‘এ’ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ): গণিত ১৬, পদার্থবিজ্ঞান ১৬, রসায়ন ১৬, বাংলা ৩, ইংরেজি ৩ এবং সাধারণ জ্ঞান ৬ নম্বর।

বি ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ): বাংলা ১০, ইংরেজি ১০, গণিত ১০, সাধারণ জ্ঞান ২০ এবং বুদ্ধিমত্তা ১০ নম্বর। 'সি' ইউনিট (কলা ও মানবিকী অনুষদ: নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ ব্যতীত) বাংলা ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং বিষয়ভিত্তিক ৩০ নম্বর।

সি-১ ইউনিট (কলা ও মানবিকী অনুষদ: নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ): বাংলা ১০, ইংরেজি ১০, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব ২০ এবং চারুকলা ২০ নম্বর। 'ডি'

ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ): বাংলা ৩, ইংরেজি ৩, বুদ্ধিমত্তা ৩, উদ্ভিদবিজ্ঞান ১৬, প্রাণিবিদ্যা ১৭ এবং রসায়ন ১৮ নম্বর।

ই ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ): ব্যবসায় শিক্ষা শাখা বাংলা ১১, ইংরেজি ২০, গণিত ১১, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১৫ নম্বর। বিজ্ঞান/মানবিক/সমমান শাখা: বাংলা ১১. ইংরেজি ২০, গণিত ১১ ও সাধারণ জ্ঞান ১৫ নম্বর। (গণিত, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা এবং সাধারণ জ্ঞান প্রশ্নপত্রের মাধ্যম হবে বাংলা)

এফ ইউনিট (আইন অনুষদ): বাংলা ২০, ইংরেজি ২০ এবং সাধারণ জ্ঞান ও দক্ষতা ২০ নম্বর। 'জি' ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব বিজনেস এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন, আইবিএ-জেইউ) বাংলা ৫, গণিত এবং আইকিউ ২০, সম-সাময়িক বিষয় ১০ ও ইংরেজি ২৫ নম্বর। 'এইচ' ইউনিট (ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, আইআইটি) বাংলা ৫, ইংরেজি ১০, গণিত ৩০ এবং পদার্থবিজ্ঞান ১৫ নম্বর।

আই ইউনিট (বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট): বাংলা ১১, ইংরেজি ১১, বিশ্বসাহিত্য ৮. সংস্কৃতি, নৃবিজ্ঞান, প্রত্নতত্ত্ব, বাংলাদেশ প্রসঙ্গ, নৃজাতিগোষ্ঠী, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ এবং ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান ৩০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের চেয়ে এবার ৫১ হাজার ৯৮৪ শিক্ষার্থী কম আবেদন করেছে। এ বছর এক হাজার ৮৮৯ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে তিন লাখ সাত হাজার ৯৭৮টি। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মোট নয়টি ইউনিটের জন্য আলাদাভাবে ফরম পূরণ করতে হয়েছে।

   

ছাত্রলীগের হল সভাপতির কক্ষ দখল, হত্যার হুমকি



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে কক্ষ দখল ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একটি আবাসিক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি।

বুধবার (১ মে) রাত ১০টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এই অভিযোগ তুলেন তিনি। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে দল থেকে পদত্যাগ করবেন বলেও ওই পোস্টে উল্লেখ করেন তিনি।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি শাহ মাখদুম হলের ২০৭ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মিনহাজুল ইসলাম, শাহ মাখদুম হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মিঠু মোহন্ত ও কর্মী ইমন। অভিযুক্তরা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান অপূর্ব বলেন, আমার স্নাতকোত্তরের দুটি পরীক্ষা হয়েছে। এখনো তিনটা বাকি আছে। বাকি পরীক্ষাগুলো ১২ মে এর পরে হবে। আমি মঙ্গলবার আমার জিনিসপত্র নিয়ে ঢাকা চলে এসেছি। ওরা ভেবেছে, আমি হল ছেড়ে চলে এসেছি। এই ভেবে ওরা আমার রুমমেটের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকেও রুম ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। আমার রুমমেট বলেছে, অপূর্ব ভাইতো হলে আসবে। উনি যেদিন হল ছেড়ে চলে যাবে, আমিও সেদিন চলে যাবো।

তিনি বলেন, এসব জানতে পেরে আমি মিনহাজ ভাইকে কল দিই। তখন উনি আমাকে গালাগালি দিয়ে তর্কাতর্কি করেন। আমি বলি, আমি হলের সভাপতি ভাই। আমার রুমে দশজনও থাকতে পারে। আপনাকে কৈফিয়ত দেবো কেনো? আমি কি বাবু ভাইয়ের কনসার্ন ছাড়া ননপলিটিক্যাল ব্লকে একটা ছেলেকেও তুলেছি? পলিটিক্যাল ব্লকে একটা ছেলেকেও তুলিনি আমি। কমিটি হওয়ার পর থেকে আমি নিষ্ক্রিয়। অভিমান করে আমি আর যাইনা রাজনীতির সাথে।

তখন উনি আমাকে বাবু ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। এবং বলেন, তুই বাকি তিনটা পরীক্ষা বাড়ি থেকে দিবি। বিষয়টি বাবু ভাইকে জানালে তিনি বলেন, ঠিক আছে। আমি মিনহাজকে বলে দিচ্ছি। মিনহাজ ভাইকে কল দিলে তিনি বলেন, বাবু ভাই রুম লক করে দিতে বলেছে। তখন আমি বলি, আমার রুমমেটরা কোথায় থাকবে ভাই?’ উনি বলেন, সেটা আমি জানি না। তুই রাজশাহী এসে আমার সঙ্গে দেখা করবি। তারপর সমাধান করবো। আবার বাবু ভাইকে কল দিয়ে বিস্তারিত জানালে তিনি বলেন, ঠিক আছে দেখছি।

এরপরে আমার হলের মিঠু আমাকে কল দিয়ে বলে, ভাই, আপনি নাকি বলেছেন যে, আমার রুমে যে কয়জন গিয়েছে, রাজশাহী গিয়ে তাদের ব্যবস্থা করবো। আমি বললাম, হ্যা, বলেছি। আমার রুমে যাবি কেনো? তখন বলে, ঠিক আছে ভাই। রাজশাহী আসেন। আপনার বাকি তিনটা পরীক্ষা কিভাবে দেন, দেখছি।সবকিছু বাবু ভাইকে জানালেও তিনি ডিরেক্ট কোনো পদক্ষেপ নেননি। এরপরেই আমি ফেসবুকে পোস্ট করেছি। পোস্ট করার পরে বাবু ভাই আমাকে কল দিয়ে পোস্ট ডিলিট করার কথা বলেছেন। ডিলিট করতে না চাওয়ায় তিনি বলেন, পোস্ট ডিলিট না করলে তোর মত তুই থাক। আর সমাধান করতে পারলে, কর। আমি ঢাকাতেই আছি। সাদ্দাম ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবো এ বিষয়ে।

রুমমেট দুইজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ও আবাসিক শিক্ষার্থী কিনা জানতে চাইলে তাজবিউল হাসান অপূর্ব বলেন, আমি আবাসিক। আর ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিন্তু আবাসিক না।

অনাবাসিক শিক্ষার্থীকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গেলে এরকম দুয়েকজনকে রাখা লাগে ভাই। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতিরতো ছাত্রত্বই নাই! সে হলে থাকে না? আর আমিতো হলের ভাড়া দিয়ে পাঁচবছর রয়েছি। রাজনৈতিক প্রয়োজনে অন্য হলের ছেলেপেলেও নিয়ে এসে রাখা লাগে। আমার একজন রুমমেটের বাড়ি বিনোদপুরে। নতুন কমিটি হওয়ার পরে এক বড় ভাইয়ের পরামর্শেই আমি ওকে লোকাল ছেলে হিসেবে আমার রুমে রাখছি।

সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে অভিযুক্ত মিঠু মোহন্ত বলেন, আমি না বরং উনিই (অপূর্ব) আমাকে গালাগালি করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। আমরা ওনার রুম দখল করতে যাবো কেনো? বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি সিট বাণিজ্য বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। অপূর্ব ভাইয়ের বিরুদ্ধে সিট বাণিজ্যের অনেক অভিযোগ আছে। মূলত আমাদের কাছে তথ্য ছিলো যে, উনি দশ হাজার টাকার বিনিময়ে একটা ছেলেকে ওনার রুমে রেখেছেন। তাই, আমরা ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলেছি যে, সে টাকার বিনিময়ে হলে আছে কিনা বা আবাসিক কিনা।

তিনি আরও বলেন, ওই ছেলেকে যে উনি হলে তুলেছেন, সেটা হলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাও জানেনা। ওই ছেলে পলিটিক্সও করে না, সে অনাবাসিক। উনি (অপূর্ব) সভাপতি বলেতো যা ইচ্ছা, তা করতে পারেন না। এটা পলিটিক্যাল ঝামেলা। উনি ঢাকায় শিফট হওয়ার আগে একটা ঝামেলা করতে চাচ্ছেন।
আরেক অভিযুক্ত মিনহাজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি, তবে পুরোপুরি অবগত না। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। ক্যাম্পাসে ফিরে এটা সমাধানের চেষ্টা করবো।

শাহ মাখদুম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রুহুল আমিন বলেন, দুই পক্ষের কেউই আমাকে কিছু বলেনি। রাতে ফেসবুকে অপূর্বের পোস্টটা আমি দেখেছি। এখানে পরস্পর বিরোধী বিষয় আছে। এজন্য আমি আজ সকালে হলে গিয়ে বিষয়টা জানার চেষ্টা করেছি। পুরো বিষয়টা এখনও ক্লিয়ার হতে পারিনি। অপূর্ব নিজেও কিছু ঝামেলা করে রেখে গিয়েছে। এখন ও যেভাবে দোষারোপ করছে, সেটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটাও একটা বিষয়।

;

কুবিতে শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস লতা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোর্শেদ রায়হান ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে পৃথক মানববন্ধন করেছে বিভাগ দুইটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলা অনুষদের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়।

লোক প্রশাসন বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, 'আজকের এই সংকটময় দিনে আমরা কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে দাঁড়িয়েছি। গত ২৮ তারিখ যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে আমরা সেটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। শিক্ষকরা যেখানে হামলার সম্মুখীন হয়েছে সেটা খুবই লজ্জার। দাবি জানাচ্ছি সব ধরনের  বিশৃঙ্খলার অবসান ঘটিয়ে ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থী বান্ধব হিসেবে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য।'

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হিজবুল্লাহ আরেফিন তাজবী বলেন, 'একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় কিভাবে একজন শিক্ষক আরেক শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়! এই রকম অমানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।'

লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাহিদ বলেন, 'আমরা এখানে আমাদের অধিকারের কথা বলতে এসেছি, নিপীড়নের কথা বলতে এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কেন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে? তিনি (ভিসি) চিন্তা করেছেন এই সময়টাতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকলে তার জন্য উপকার হবে। একজন ভাইস চ্যান্সেলর কিভাবে একজনের গায়ে হাত তুলতে পারে? এমন কোনো নজির পৃথিবীর ইতিহাসে আছে? উনি আমাদের প্রিয় সহকর্মী লতা ম্যামকে অপমান করেছেন। উনি এখানে থাকার সমস্ত যোগ্যতা হারিয়েছেন। আমরা আপনাকে আর চাই না। আপনি এখানে আর আসবেন না।' 

মানববন্ধনে উপস্থিত সহকারী অধ্যাপক শারমিন রেজওয়ানা বলেন, 'একজন মানুষের ভিতর রাগ বিদ্বেষ থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে একজন শিক্ষক আরেক শিক্ষকের ওপর হামলা করতে পারে! এই অবস্থায় কিভাবে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। তার পাশাপাশি আপনি হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলো বন্ধ করে দিলেন। এইভাবে শিক্ষার্থীদের কোণঠাসা করার দরকার কি!'

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজ কার্যালয়ে প্রবেশ করতে গেলে শিক্ষক সমিতি বাঁধা প্রদান করে। একপর্যায়ে শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মী ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে মারামারি ও উপাচার্যের সাথে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। সে সময় ধাক্কাধাক্কিতে আঘাতপ্রাপ্ত হন লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস লতা এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোর্শেদ রায়হান।

;

টাইমস হায়ারের র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশে শীর্ষ অবস্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE)’ এশিয়ার ৩১টি দেশের মোট ৭৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে একটি র‌্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করেছে। 'THE' কর্তৃক প্রকাশিত এই তালিকায় ৩০১-৩৫০ এর মধ্যে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ থেকে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)।

গত ৩০ এপ্রিল (মঙ্গলবার) এলসেভিয়ার জার্নালের সাথে যৌথ প্রযোজনায় ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং-২০২৪’ এর তালিকা প্রকাশিত হয়৷ এ তালিকায় এশিয়া মহাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে যথাক্রমে রয়েছে চীনের শিংহুয়া ইউনিভার্সিটি ও পিকিং ইউনিভার্সিটি৷ তৃতীয় অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর। এছাড়া সেরা দশের মধ্যে চীনের ৫টি, হংকং ও সিঙ্গাপুরের ২টি করে এবং জাপানের ১টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।

এবারের প্রকাশিত র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ থেকে স্থান পেয়েছে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয়৷ গতবার সংখ্যাটি ছিল ১৮টি। তবে প্রকাশিত তালিকার প্রথম ৩০০ এর মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকলেও পরবর্তী ৩০১ থেকে ৩৫০ এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

তালিকার ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকার ৪০১-৫০০ এর মধ্যে রয়েছে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া ৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে প্রকাশিত তালিকায় বাংলাদেশ থেকে আরও ১২টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেলেও তাদের র‌্যাংকিং প্রকাশ করেনি ’টাইমস হায়ার এডুকেশন'৷ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ।

শিক্ষা ও গবেষণার মান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুপাত, সাইটেশন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীসহ মোট ১৮টি পারফরম্যান্স সূচকের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হয় এ র‌্যাংকিং৷ এ বছর প্রকাশিত তালিকায় যৌথভাবে বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষ অবস্থান অর্জনকারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর যথাক্রমে শিক্ষায় ২৮ দশমিক ৯, গবেষণার পরিবেশে ১০ দশমিক ৯, গবেষণার মানে ৬৩ দশমিক ০১, শিল্পে ১৯ দশমিক ৫ এবং আন্তর্জাতিক আউটলুকে ৪৯ দশমিক ৭।

এদিকে র‌্যাংকিংয়ে দেশসেরা হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা। র‌্যাংকিংয়ে তথ্য-উপাত্ত কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (IIT) পরিচালক অধ্যাপক এম শামীম কায়সার বলেন, ‘বিভিন্ন সূচকের উপর ভিত্তি করে আমরা এশিয়া মহাদেশের র‌্যাংকিংয়ে স্থান লাভ করেছি। সম্প্রতি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষক নিয়োগে একটি নীতিমালা পাশ হয়েছে। সর্বোপরি আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে আমাদের অবস্থান ভালো করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ইম্প্যাক্ট খুবই ভালো। গতবারের চেয়ে আমাদের এবারের র‌্যাংকিং অবস্থা একটু বেটার। আমরা এশিয়াতে ভালোর দিকে যাচ্ছি। আশা করি নেক্সট ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে আমরা আরও ভালোর দিকে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এ নিয়ে যথেষ্ট প্রচেষ্টা চলমান রেখেছে।’

র‌্যাংকিংয়ে তথ্য-উপাত্ত কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট আরেক শিক্ষক সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং স্কলার ও পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‍্যাংকিংয়ে দেশসেরা হওয়া আমাদের জন্য বড় অর্জন। তবে র‍্যাংকিং দেখে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে আগামীতে র‍্যাংকিংয়ে কীভাবে আরও এগিয়ে আসা যায় তা নিয়ে ভাবতে হব, কাজ করতে হবে।

তিনি আরও জানান, এ লক্ষ্যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বেশি সংখ্যায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষকদেরও সীমিত পরিসরে নিয়োগের ব্যাপারে ভাবতে হবে। মানসম্মত গবেষণা নিশ্চিতের জন্য গবেষণায় বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে৷

র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষ অবস্থানে আসার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, টাইমস হায়ারের র‍্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দেশ সেরা হওয়া আমাদের জন্য গর্বের৷ শিক্ষা ও গবেষণায় আমরা যে এগিয়ে যাচ্ছি এর প্রমাণ এ র‍্যাংকিং৷ এই অনন্য নজির স্থাপনে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগীতা করার জন্য শিক্ষক-গবেষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যাবে এবং সে লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে একসাথে একযোগে কাজ করতে হবে৷'

;

হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষার্থীদের অবস্থান



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান হলে অবস্থান করছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। এদিকে প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে হলের প্রাধ্যক্ষরা জানিয়েছে, শিক্ষার্থীরা চাইলে হলে থাকতে কোন বাধা নেই।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জরুরি এক সিন্ডিকেট সভা ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের আজ বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

হলে থাকার প্রসঙ্গে ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জয় রায় বলেন, আমরা হল ছাড়ছি না। প্রাধ্যক্ষ স্যারও থাকার পক্ষে। তাছাড়া হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এখানে টিউশনি করিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। এক্ষেত্রে আমাদের দাবি, পরিবহন ব্যবস্থা যেন অবিলম্বে চালু করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফরহাদ কাউসার জানান, প্রশাসন থেকে হল ছাড়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ বলেন, গতকাল হল বন্ধের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা যদি হলে থাকতে চায়, মনে হয় না কোন সমস্যা হবে। আমি শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের সাথে কথা বলে এই বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিব।

শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ জিয়া উদ্দিন বলেন, হল কেন্দ্রিক কোন ঝামেলা না হলে প্রশাসন হলের শিক্ষার্থীদের বের করে দিবে না। তাই শিক্ষার্থীরা চাইলে হলে অবস্থান করতে পারবে।

;