হলে উঠছেন শাবিপ্রবি'র বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথমবারের মত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য হলে বিশেষ কক্ষ তৈরি করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলামের হাতে এ বিশেষ রুমের চাবি হস্তান্তর করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হল প্রশাসন ।
চাবি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন শাহপরাণ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, সহকারী প্রাধ্যক্ষ সহকারী অধ্যাপক কৌশিক সাহা, সহকারী অধ্যাপক মো. মাসুম তালুকদার, সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুজ্জামান ভূঁইয়া, সহকারী অধ্যাপক আসিফ মোহাম্মদ সামির, সহকারী অধ্যাপক অমিত কুমার চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে শাবির শাহপরাণ হলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আবাসিক সুবিধা চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের নিচতলায় 'এ' ব্লকের ১০১ রুমে ৪ সিট বিশিষ্ট এ কক্ষ তৈরি করা হয়। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রাধ্যক্ষ বলেন , প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষায়িত এ কক্ষটিতে বিশেষ নকশাকৃত আসবাবপত্র স্থাপন করা হয়েছে এবং জরুরি প্রয়োজনে কক্ষ ও ওয়াশরুম থেকে হল অফিসে যোগাযোগের জন্য বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ব্যবহারের জন্য হুইল চেয়ার ব্যবহারের উপযোগী ও দেয়ালে বিশেষ সাপোর্ট হিসেবে র্যালিং, কমোড এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহার উপযোগী বেসিন বিশিষ্ট ডেডিকেটেড ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও হলের প্রবেশ পথে হুইল চেয়ারের উপযোগী করে বিশেষ র্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে বিশেষায়িত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা যাতে কোন ধরনের চিন্তা করতে না হয় তার জন্য আমরা এ ব্যবস্থা করেছি।
নান সুবিধা সংবলিত এ বিশেষ কক্ষে উঠতে পারায় নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকা-খাওয়া নিয়ে একটা সমস্যায় ছিলাম। প্রথম দিকে হলে উঠতে চাইলেও রাজনৈতিকভাবে রুমে উঠতে হয় বিধায় আর উঠিনি। মেসে থাকাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া, ক্লাস করা নিয়ে নিয়ে অনেক সমস্যায় ছিলাম। এখন থেকে এ সমস্যায় আর পড়তে হবে না। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হব। এ ধরনের উদ্যোগের জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।