শতবর্ষের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত ঢাবির শহীদুল্লাহ হলে



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শতবর্ষের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান হল প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শতবর্ষের মিলনমেলার আনন্দ ভাগাভাগি করতে হলের সকল শিক্ষার্থীকে সম্পৃক্ত করে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দর্শন। তিনি সকলকে নিয়েই আনন্দ উদযাপন করতেন, শুধু কষ্ট ভোগ করতেন নিজে এককভাবে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতা মোকাবিলায় এবং তাদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য বৃত্তি প্রদানসহ কিছু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে উপাচার্য হল অ্যালামনাইদের প্রতি আহ্বান জানান।

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্বনির্ভর দেশে পরিণত করেছেন। দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে আগামী দিনে হলের প্রতিটি শিক্ষার্থী দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও হলের প্রাক্তন প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন এবং হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর বেপারী উপস্থিত ছিলেন।

   

তীব্র তাপদাহে ক্লাস-পরিক্ষা বন্ধের দাবি জবি শিক্ষার্থীদের



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস অবস্থা সর্বসাধারণের। রাতে তীব্র তাপদাহ ও আপেক্ষিক আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে ঘুম হয় না ঠিকমতো, এর প্রভাব পড়ে পুরো দিনের কর্মব্যস্ততার উপরে। ঝিমুনি ও প্রচন্ড মাথা ব্যাথায় দৈনন্দিন কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না কেউই। এমন অবস্থা দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের।

দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাথে পরামর্শক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ২৫ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ।

পুরান ঢাকার অত্যন্ত ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। হল সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা মেস ভাড়া করে থাকেন। আর্থিক দিক বিবেচনায় এক রুমে গাদাগাদি করে থাকেন অনেক শিক্ষার্থী। বদ্ধ পরিবেশে তীব্র গরমে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা সিলেবাস শেষ করে দিলেও নিজেদের পড়া গুছিয়ে নিতে পারছেন না তারা।

অন্যদিকে যে সকল শিক্ষার্থী অনেক দূর থেকে আসেন তারা গুমোট পরিস্থিতির কারণে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। আবার ভোর ৫টা বা ৬টায় উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য বাস ধরতে হয়। এতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তীব্র মাথা ব্যাথা ও ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তীব্র গরম ও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে হিটস্ট্রোক ও ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বাড়ছে।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান কক্ষে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা রয়েছে; তবে এর সুফল পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। রাতে ঘুম না হওয়া ও তীব্র মাথাব্যথার কারণে শ্রেণিকক্ষের শীতল পরিবেশে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা ঝিমোতে থাকেন, কেউ বা ঘুমিয়ে যাচ্ছেন। ফলে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ লেকচার তারা শুনতে ও বুঝতে পারছেন না।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিম বলেন, আমাদের ক্লাস রুমে এসি থাকলেও ল্যাবগুলোতে ৪-৫ ঘন্টা দাড়িয়ে থাকতে হয়, যেখানে এসির ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। কিছু কাজ ফ্যান অফ করে করতে হয়। জায়গা সংকটে এক রুমেই প্রায় ৪০-৪৫ জন একসাথে ল্যাবে কাজ করতে হয়। প্রচন্ড গরমে সবাই অস্বস্তি বোধ করে। এত গরমের মধ্যে পড়াশোনা ঠিকমতো হয়ে উঠে না। ক্লাস-ল্যাব করে দূরে যাতায়াত করতে করতেই অনেকে অসুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু শিক্ষকরা এই তীব্র তাপদাহে শিক্ষার্থীদের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় না নিয়ে দিব্যি ক্লাস, ল্যাব ও পরীক্ষা নিয়ে সিলেবাস শেষ করছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। কিন্তু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে একাডেমিক প্ল্যান করা হয় যা একটি অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় দেয়।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সানজিদা মাহমুদ মিষ্টি বলেন, গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে সাধারণ জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল মহলের জীবনযাপনে নাজেহাল রকমের অসুস্থতা ও দুর্বলতা পরিলক্ষিত। এমতাবস্থায় ক্যাম্পাস অন্তত কয়েকটা দিন বন্ধ দেওয়া যায় তাহলে সময়োপযোগী ও শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত হবে বলে মনে করি।

ফার্মেসী বিভাগের অপর এক শিক্ষার্থী ইসনাইন জান্নাত ইশা বলেন, বর্তমানে তীব্র তাপদাহে অল্প পরিশ্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছি, পড়াশোনাতে মনোযোগ দিতে পারছি না। কিন্তু তাই বলে তো কোনো কাজ থেমে নেই। এই অসহনীয় গরমের মধ্যেও আমাদের প্রতিনিয়ত ক্লাসের জন্য ক্যাম্পাস আসতে হচ্ছে। এখানে সুপেয় পানিরও তেমন সুব্যবস্থা না থাকায় আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধব, সিনিয়র জুনিয়র অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই এই অসহনীয় গরম না কমা পর্যন্ত কিছুদিন ক্লাস-পরিক্ষা বন্ধ থাকলে সকলের জন্য ভালো হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. জি. এম. আল-আমীন বলেন, তীব্র তাপদাহে আমরা সকলেই অস্বস্তির মধ্যে আছি। তীব্র গরমে ক্লাস করা, বাসে যাতায়াত করা সকলের জন্যেই কষ্টকর। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য সরকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বৃদ্ধি করেছে। যদি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলাদাভাবে ছুটির কোনো ঘোষণা না দেয় তবে আমরা উপাচার্যের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে আমাদের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তীব্র গরমে ফ্যান ছাড়া দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ল্যাবে কাজ করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি বিজ্ঞানের শিক্ষক। আমি জানি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ল্যাবে। অনেক সময় ফ্যান বন্ধ রাখতে হয়। উপাচার্যকে সকল বিষয়েই অবগত করা হবে যেন শিক্ষার্থীরা সুস্থভাবে ক্লাস-পরিক্ষায় বসতে পারে।

;

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;