ঢাবিতে শুরু হল জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাবিতে শুরু হল জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

ঢাবিতে শুরু হল জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘Climate Change and Food Security in South Asia (CCFS)’ শীর্ষক ৩-দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা এবং ইউএনইএসসিএপি-এর সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্রান্সের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চ (সিএনআরএস) যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করেছে।

গত বুধবার (১৮ মে) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জলবায়ু পরিবর্তন জনিত জীবন ও জীবিকার ক্ষয়ক্ষতি পূরণে এগিয়ে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তাই বৈশ্বিকভাবেই এর প্রতিকার করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার ওপর বৈশ্বিক উষ্ণতার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় আমাদের অবশ্যই সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যুতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তাদের সোচ্চার হতে হবে। গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য উন্নত দেশগুলোকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। উচ্চ ফলনশীল এবং বন্যা, খরা ও লবণাক্ত সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনের জন্য আরও গবেষণা চালানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, টেকসই পরিবেশ এবং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জনগোষ্ঠীর নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরূপ প্রভাব প্রশমন এবং পানির নিরাপদ উৎস নিশ্চিত করতে সরকার ইতোমধ্যেই ডেল্টা প্ল্যান ২১০০' প্রণয়ন এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 'সিসিএফএস’-এর আন্তর্জাতিক কমিটির চেয়ারম্যান ড. মান্নাভা শিভাকুমার, ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মি. গুইলাউমি অদ্রিন দি কারদেল, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি মি. রবার্ট ডগলাস সিম্পসন, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মহাসচিব অধ্যাপক ড. পিট্টারি তালাস এবং সিএনআরএস-এর গবেষণা পরিচালক ড. থিয়েরি হিউলিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন । সম্মেলন আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. এএইচএম মুস্তাফিজুর রহমান স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।

   

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

জবি ক্যাম্পাসে গাড়ি প্রবেশ নিয়ে নির্দেশনা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার অংশ হিসেবে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে সকল ধরনের ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ইউনিট-এ আগামী ২৭ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও বহিরাগত গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য: গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে বি ইউনিটের (মানবিক) ৩ মে (শুক্রবার) এবং সি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ মে (শুক্রবার)। এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এবং অন্য দুটি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

;

সন্ধ্যা নামতেই শুরু কেনাবেচা

চবির আবাসিক হলে মাদক কারবার



মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী, চবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪. কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। প্রতি বছর আকাশসম স্বপ্ন বুকে নিয়ে দুঃখিনী মা ও পরিশ্রমী বাবার প্রত্যাশাগুলোকে বাস্তবে রূপদান করতে হাজারও শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করতে আসেন।

মুক্ত ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ ও অসৎ সঙ্গ পেয়ে কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই কেউ কেউ যুক্ত হয়ে যান মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে। এই অন্ধকার জগত থেকে বের হতে না পেরে ঝরে যায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী! ভেস্তে যায়, কত কত বাবা-মায়ের আশা-আকাঙ্ক্ষা!

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত শিক্ষার্থীদের অনেকেই অবস্থান করেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন হলে। এদের মধ্যে অনেকেই আবার অছাত্র কিংবা বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী।

সন্ধ্যা নামতেই চবি ক্যাম্পাসে বসে মদ, গাঁজা ও ইয়াবার আসর। শুরু হয়, মাদকাসক্তদের আনাগোনা। যে করিডরে পাওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপা গুঞ্জন, সেখানে মেলে গাঁজার উৎকট গন্ধ। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বিভিন্ন স্থান থেকে চালান নিয়ে এসে মদের ব্যবসাও করেন। সরবরাহ করেন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীর।

সম্প্রতি, পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, তার মাদক কেনাবেচা ও সরবরাহের জন্য রয়েছে বিশাল এক সিন্ডিকেট। এজন্য তিনি রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে চালান মাদক ব্যবসা। তার দাবি, তিনি শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের একাংশের অনুসারী। থাকেন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর কক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। মদ, গাঁজা ও ইয়াবা তাদের নিত্যসঙ্গী। এর কাউকে কাউকে প্রকাশ্যে মাতলামি করতেও দেখা গেছে।

এ ঘটনার অনুসন্ধানে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর কক্ষে প্রকাশ্যে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়ায়। এরপর বুধবার (২৪ এপ্রিল) কক্ষটি সিলগালা করে দেয় হল কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টায় এ এফ রহমান হলে মদপান, মাতলামি ও মাদক সরবরাহের অভিযোগে আশিকুজ্জামান জয় নামের এক শিক্ষার্থীকে হল থেকে পিটিয়ে বের করে দেয় শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মী।

এ বিষয়ে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শাকিল আহমেদ জানান, চবির এ এফ রহমান হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সবচেয়ে বেশি মদ, গাঁজা ও ইয়াবা খায় এই হলের ছেলেরাই।

তিনি বলেন, আমাদের ব্যাচেরই এক শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয় ঈদের পরপরই হলে ৭ থেকে ৮ কেজি মাদকদ্রব্য নিয়ে আসে এবং খেয়ে মাতলামি করে। এজন্য তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে শোনেনি। ফলে, তার সঙ্গে আমাদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার কাছে বিষয়টির সত্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ এফ রহমান হলের সবাই জানে যে, জয় পুরোপুরি মাদকাসক্ত। সে অনেকদিন ধরেই মদ, ইয়াবা সেবনের সঙ্গে জড়িত থাকার পাশাপাশি হলে মাদক বিক্রিও করতো। আমরা তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও এগুলো ছাড়েনি সে। এ নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের একটু ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটেছে।

আশিকুজ্জামান জয়কে মারধরের পর সরেজমিন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নম্বর কক্ষ পর্যবেক্ষণ করলে কয়েকটি মদের বোতল দেখতে পাওয়া যায়। তবে সেগুলোতে মদ না থাকলেও মদের টাটকা গন্ধ মেলে।

আশিকুজ্জামান জয় নিজ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ কেন জানতে চাইলে তিনি মারধরের কথা স্বীকার করেন। তবে মদপানের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

যদিও আশিকুজ্জামান জয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় একটি দেশি মদের বোতল নিয়ে বসে আছেন তিনি। পাশে রাখা আছে আরো দুটি বোতল।

এছাড়াও ওই হলে থাকা শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের অনুসারী কয়েকজনের মাধ্যমে আরো বেশ কয়েকজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে, যারা মাদক গ্রহণ এবং হল জুড়ে মাতলামির জন্য পরিচিত। তাদের নাম, বিভাগ ও শিক্ষাবর্ষের একটি তালিকা বার্তা২৪.কমের হাতে এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বুধবার হাউস টিউটরসহ আমরা কক্ষটিতে গিয়েছিলাম। কক্ষটি আপাতত সিলগালা করে দিয়েছি। রুমে যে থাকতো, তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। আমরা পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

মাদক কারবারের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলবো। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবো।

 

 

;

২৭ এপ্রিল শুরু হচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তিনটি ইউনিটে মোট ৩ লাখ ৫ হাজার ৩৪৬ জন পরীক্ষার্থী গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য ইতোমধ্যে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কঠোর নিরাপত্তা প্রহারা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রশ্নপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। একইভাবে নিকটবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ২৬ এপ্রিলের মধ্যেই প্রশ্নপত্র পাঠানোর কাজ সমাপ্ত হবে। ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য এ বছর ‘এ’ ইউনিটে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৪০ হাজার ১১৬ জন আবেদন করেছেন।

জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল ৩:৩০টা হতে ৪:৩০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আর ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বিঘ্নে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্নের জন্য জিএসটি কর্তৃপক্ষ প্রায় সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন করেছে। আশা করি, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সব কেন্দ্রে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার আমরা অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি কেউ আসেন, তাহলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত তাপপ্রবাহ সংক্রান্ত যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে গুচ্ছভুক্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আপনারা পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখবেন।

তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রসমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবেন। পরীক্ষার সময় কোনো পরীক্ষার্থী বা দায়িত্বরত কেউই মুঠোফোনসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বা অসাধুপায় অবলম্বন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আমি জিএসটি গুচ্ছভুক্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ স্ব স্ব এলাকার সব স্তরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সব তথ্য https://gstadmission.ac.bd এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

 

;

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যিরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েটের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ২৫ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদের বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামিকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহরে চলাচল করবে।

এর আগে গত সোমবার মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী।

ওইদিন আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে মাঠে নামেন। আন্দোলন চলার সময় শিক্ষার্থীরা বাসেও আগুন দেন।

;