প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অধ্যাপক আ ব ম ফারুক

অধ্যাপক আ ব ম ফারুক

  • Font increase
  • Font Decrease

মাল্টিমিডিয়া নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪.কম-এ গত ১৩ মে “ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের সাবেক দুই ডিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক, ফার্মেসি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। তিনি মনে করেন, ওই প্রতিবেদনের তথ্য অসত্য ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা।

অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের পাঠানো প্রতিবাদ লিপি হুবহু তুলে ধরা হলো-

গত ১৩ মে, ২০২২ তারিখে আপনার সংবাদ পত্রে “ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের সাবেক দুই ডিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে আমাকে উল্লেখ করে কিছু অসত্য, ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশিত হয়েছে যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লোকসমাজে আমাকে হেয় করা এবং আমার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। আমি এতে অত্যন্ত অপমানিত ও সংক্ষুব্ধ হয়েছি। এবিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করে আমার নিমোক্ত বক্তব্যটুকু অনুগ্রহ করে হুবহু প্রকাশ করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।

একটি বেনামী চিঠির সূত্র ধরে পরিবেশিত আপনাদের প্রতিবেদনে আমাকে জড়িয়ে যে অসত্য ও ভিত্তিহীন তথ্যগুলো প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর প্রতিটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে নিয়ে আমি ব্যাখ্যা প্রদান করছি -

১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত দুই কর্মচারি আমার কোনো নিকটাত্মীয় নয়। তারা আমার স্ত্রীর ভাগ্নেও নয়। কারণ আমার স্ত্রীর কোনো বোন নেই। তারা কেউ আমার স্ত্রীর তো খালাতো মামাতো ফুফাতো বোনেরও ছেলে নয়। আমি ডিন থাকার সময়ে চাকরিতে নিয়োগ পেলেও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী গঠিত সিলেকশন বোর্ডে ইন্টারভিউ দিয়ে সর্বাত্মকভাবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে উপস্থিত প্রার্থীদের মধ্যে সবে য়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে পরিগণিত হওয়ায় নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়োগ পেয়েছে। সেই সিলেকশন বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো প্রতিনিধি, কর্মচারি সমিতির প্রতিনিধি, শিক্ষকদের প্রতিনিধি প্রভৃতি অনেকেই ছিলেন। অতএব যথানিয়মে নিরপেক্ষ সিলেকশন বোর্ডের মাধ্যমেই তারা নিয়োগ পেয়েছে। তাই অভিযোগটি অসত্য এবং আমাকে জনসমক্ষে হেয় করার জন্যই এটি করা হয়েছে।

২) আমি ফার্মেসি অনুষদের ডিন থাকাকালে আমার বিরুদ্ধে ‘অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিয়োগ ওঠে’ বলে আপনারা প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছেন। আমি আপনাদের কাছে তার বিবরণ দাবি করছি। কোন কোন ক্ষেত্রে কোন তারিখে কত অর্থ আত্মসাৎ করেছি তা আমি অবশ্যই জানতে চাই। আশা করি আপনারা তা জানাবেন।

৩) ঢাকা মহানগরীতে আমার অনেক আত্মীয় রয়েছেন। তাদের অনেকে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আবার আমারসহ অনেকেরই বিলাসবহুল না হলেও উপযুক্ত নিজস্ব বাড়ি বা ফ্লাট রয়েছে। তবে কোনোটাই বেনামে নয়। আমার ও আমার আত্মীয়দের অনেকেরই গাড়ি আছে। কিন্তু সেগুলো কোনোটাই বিলাসবহুল নয়, বরং অধিকাংশই অনেক পুরনো।

৪)আমার দুই মেয়ে বিদেশে লেখাপড়া করছে এটাও সত্য নয়। আমার বড় মেয়ে দেশে অনার্স সমাপ্ত করে বিদেশে এম এস সম্পূর্ণ করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আইটি ইঞ্জিনিয়ার স্বামীর সাথে সংসার করছে। ভবিষ্যতে সে নিজের রোজগারে ও নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেলে পিএইচডি করবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছে ও অপেক্ষায় আছে।  আমার  ছোট  মেয়ে  দেশে  মাস্টার  ডিগ্রির  থিসিস  করছে।  বিদেশের  কোনো  ভালো  বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএই ডি করার প্রস্তাব পেলে ভবিষ্যতে সেখানে যাওয়ার আশা রাখে। তাদের কারো লেখাপড়ার ব্যয়ভারই

আমাকে বহন করতে হবে না। অতএব বিদেশে তাদের লেখাপড়ার পেছনে বিপুল খর   হচ্ছে এবং তা আমার আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এ তথ্যটিও অসত্য।

৫) আপনারা লিখেছেন যে আমি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়েছি। আমি কবে এতটা ক্ষমতাবান হলাম তা আমার জানা নেই এবং আমার সুদীর্ঘ ৪৩ বছরের চাকরিকালে কোথাও থেকে ঘুষও নেইনি। এই অসত্য অভিযোগ প্রকাশের মাধ্যমে আপনারা আমার মানহানি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে কখনো কখনো অন্যান্য বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাথে  বেসরকারি  মেডিক্যাল  কলেজের  কার্যক্রম  পরিদর্শনে  পাঠাতেন।  আমাদের  টিমগুলোর  দায়িত্ব  ছিল সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে   লছে কিনা সে বিষয়ে মতামত দেওয়া। আমাদের সেই টিমগুলো কোনো ত্রুটি  পেলে  তা  কর্তৃপক্ষকে  অবহিত  করে  করণীয়  সুপারিশ  করতো।  টিম  সদস্যদের  সম্মিলিত  সিদ্ধান্তে সুপারিশগুলো  পাঠানো  হতো  বিধায়  আমার  একার  পক্ষে  কোনো  অর্থনৈতিক  সুবিধা  নেয়ার  কোনো  সুযোগ

সেখানে  ছিল  না।  বিশ্ববিদ্যালয়  কর্তৃপক্ষ  ও  আমাদের  টিমের  লক্ষ্য  ছিল  অনেক  টাকা  খর   করে  যারা বেসরকারি  মেডিক্যাল  কলেজগুলোতে  পড়তে  আসে  তারা  যেন  সঠিক  জ্ঞানটুকু  লাভ  করার  সুযোগ  পায়। তাছাড়া কলেজগুলো যেন বেআইনিভাবে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করতে না পারে তা দেখাও আমাদের দায়িত্ব ছিল। কোথাও এসব কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মানা হচ্ছে না দেখলে আমরা বিভিন্ন শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করতাম। উদাহরণস্বরূপ, একবার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বেআইনিভাবে ৫০ জন অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করায় আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই কলেজকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল। আমাদের এসব কাজকে বিকৃত করে যদি অসত্য অভিযোগ কোনো  গণমাধ্যম  প্রচার  করে  তাহলে  তা  সত্যের  অপলাপ  এবং  আমাদের  জন্য  অত্যন্ত  অপমানজনক। আপনাদের  পরিবেশনা  অনুযায়ী  কোন  কোন  মেডিক্যাল  কলেজ  থেকে  আমি  কত  টাকা  ঘুষ  নিয়েছি  তা বিস্তারিত জানাতে আপনাদেরকে অনুরোধ করছি।

৬) বাংলাদেশ  ফার্মেসি  কাউন্সিলের  ব্যাপারেও  একই  কথা  প্রযোজ্য।  যেসব  বেসরকারি  বিশ্ববিদ্যালয়  তাদেও ফার্মেসি বিভাগে সরকার অনুমোদিত সংখ্যার অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করতো, কিংবা যাদের শিক্ষক সংখ্যা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম, যাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ ও ল্যাব ছিল না, ল্যাবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছিল না, যাদের পরীক্ষা পদ্ধতি স্বচ্ছ ছিল না, যাদের লাইব্রেরিতে পেশা সংশ্লিষ্ট বইয়ের সংখ্যা ছিল অপ্রতুল, যারা শিক্ষকদেরকে শিক্ষা ছুটি দিত না- ইত্যাকার সমস্যা জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সঠিক নিয়ম অনুসরণ করাতে আমরা উদ্বুদ্ধকরণ ও   প্রয়োগ দুটোই করেছি। ফার্মেসি কাউন্সিলে এই দায়িত্ব পালনের সময়ও আমি একা ছিলাম না। সেখানেও একটা টিম ও কমিটি ছিল। আমরা যা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা  দেশের স্বার্থে  এবং  টিমওয়ার্কের মাধ্যমে  ও পরবর্তীতে  কমিটির  সিদ্ধান্তে।  সেখানে একা  আমার  পক্ষে দুর্নীতি করে কাউকে অন্যায় সুবিধা দেওয়ার বা নিয়ম না মানা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে হয়রানি করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

৭) ২০০৯ সালে প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে শিশুমৃত্যুর দুঃখজনক ঘটনার পর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স úর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কর্তৃক আমাকে টিম লিডার করে একটি বিশেষজ্ঞ পরিদর্শন দল গঠন করা হয়। এর কাজ ছিল  আমাদের ওষুধ কোম্পানিগুলোর ওষুধ  উৎপাদনের সক্ষমতা যাছাই করা ও সুযোগ-সুবিধাগুলো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ‘গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস’ (জিএমপি) গাইডলাইনের অনুরূপ কিনা তা যাছাই করে রিপোর্ট দেওয়া। কারণ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এবং দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য সেই গাইডলাইন সঠিকভাবে মেনে   চলা আমাদের দেশের জন্য বাধ্যতামূলক। এই গাইডলাইন মেনে না   ললে ওষুধ মানহীন হতে বাধ্য। আমাদের কাজ ছিল কারখানার সুবিধাবলী পরিদর্শন করে সংসদীয় কমিটির কাছে রিপোর্ট আকারে পেশ করা এবং কোনো কোম্পানির কোনো অসম্পূর্ণতা বা ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে তা দূর করে কারখানাটি কিভাবে জিএমপি মানস  ক্ষুণ্ন হতে পারে তার পরামর্শমূলক সুপারিশ দেওয়া। তবে যদি কোনো কোম্পানি ইচ্ছাকৃতভাবে নিম্নমানের ওষুধ তৈরি করে কিংবা নকল-ভেজাল ওষুধ উৎপাদনে নিয়োজিত  থাকে  তাহলে  দেশের  বৃহত্তর  জনস্বার্থে  মানুষের  জীবন  রক্ষার্থে  তাদের  উৎপাদনের  লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করাও আমাদের টিমের দায়িত্বের মধ্যে ছিল। অর্থাৎ আমাদের ক্ষমতা ছিল শুধু সুপারিশ করা। কোনো কারখানা বন্ধ করা বা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়ার কোনো ক্ষমতা আমাদের ছিল না। সেই ক্ষমতা ছিল ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।

আমাদের দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে এই ব্যাপক পরিসরের দুরূহ কাজটি করার বিষয়ে আমরা সচেতন হই। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছ থেকে আমরা তখনকার বাংলাদেশে বিদ্যমান ওষুধ কোম্পানিগুলোর তালিকা সংগ্রহ করি। সেখানে ২৪৭টি অনুমোদিত এলোপ্যাথিক কোম্পানির নাম-ঠিকানা ছিল। কিন্তু কাজ শুরুর পর কয়েক বছর ধরে সারা বাংলাদেশ চষে বেরিয়েও আমরা ১৯৩টির বেশি কোম্পানির অস্তিত্ব খুঁজে পাইনি। অর্থাৎ তারা ছিল কাগজেপত্রে, বাস্তবে নয়। সম্ভবত তাদের একমাত্র কাজ ছিল ভুয়া নাম-ঠিকানা ও কাগজপত্র দেখিয়ে সরকারের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা খর  করে বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া। তাদের কোনো কারখানা ছিল না বলে পরিদর্শন করা সম্ভব ছিল না। তাই তাদের নাম আমরা আমাদের রিপোর্ট থেকে বাদ দেই। স্বতঃসিদ্ধভাবে তারা সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপে বাতিল হয়ে যায়।  এই  ৫৪টি  ওষুধ  কোম্পানির  লাইসেন্স  বাতিল  হওয়ার  পেছনে  আপনাদের  বর্ণনা  অনুযায়ী  আমাদের কোনো ‘নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়ার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার অনৈতিক সুবিধা ও ঘুষ’ নেওয়ার মানসিকতা ছিল না। এই অভিযোগ ডাহা অসত্য ও অত্যন্ত অপমানজনক।

তবে এছাড়াও আমরা কিছু কোম্পানির কারখানা আকর্ষিক পরিদর্শনের সময় নকল-ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকালে তাদেরকে হাতে-নাতে ধরেছি এবং র‌্যাব-পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট তাদের কারো  কারো  নামে  বিশেষ  ক্ষমতা  আইনে  মামলা  দিয়েছে  ও  গ্রেফতার  করেছে।  র‌্যাব  ও  মোবাইল  কোর্ট কোনো  কোনো  কোম্পানির  জব্দকৃত  পাহাড়প্রমাণ  নকল-ভেজাল-নিম্নমানের  ওষুধ  আগুন  দিয়ে  পুড়িয়ে দিয়েছে।  সেই  দৃশ্য  বিভিন্ন  সরকারি-বেসরকারি  টেলিভিশনের  সংবাদে  দেশবাসী  তখন  প্রত্যক্ষ  করেছে। আমরা সারা দেশে এরকম ২০টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করার সুপারিশ করেছিলাম। এটি করে আমরা কোনো  অন্যায়  করিনি  বলে  আমি  এখনো  দৃঢ়ভাবে  বিশ্বাস  করি।  আমরা  দেশের  মানুষের  জনস্বাস্থ্য  রক্ষায় সামান্য কিছু কাজ করতে পেরেছি বলে মহান আল্লাহকে কৃতজ্ঞতা জানাই। নকল-ভেজাল-নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুতকারকরা আমাদের নামে যতই ‘নেগেটিভ রিপোটর্’ ‘হুমকি’ ‘ভয়ভীতি’ ‘অনৈতিক সুবিধা’ ‘ঘুষ’ ইত্যাদি অপবাদ  দেওয়ার  চেষ্টা  করুক  না  কেন  আমরা  তাতে  ভীত  নই,  কারণ  এগুলো  একান্তই  অসত্য  ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

৮) ‘কোটি কোটি টাকার অনৈতিক সুবিধা’ আমরা কখনো নেইনি, বরং এ ধরনের প্রস্তাব উল্টোভাবেই এসেছিল। নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনে নিয়োজিত কোনো কোনো কোম্পানি ফ্ল্যাট, গাড়ি ইত্যাদি ‘উপহার’ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।  যেহেতু  তখন আমার বাসায় বা অফিসে কোনো ওষুধ  কোম্পানির মালিক  পক্ষের  কারো আসা কড়াকড়িভাবে নিষেধ ছিল তাই এসব প্রস্তাব আসতো অন্যের মারফতে। কিন্তু সেগুলো  গ্রহণ না করার মতো যথেষ্ট মনোবল আমাদের ছিল। যদি কখনো এসব প্রস্তাবের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলোর নাম বলা অনিবার্য হয় তখন সেগুলোর আদ্যোপান্ত প্রকাশ করতে আমি সচেষ্ট আছি।

৯) সেই পরিদর্শনকালে কোনো কোম্পানির ওপর আমার বা আমাদের কোনো ব্যক্তিগত জিঘাংসা ছিল না। তাই জিঘাংসা চারিতার্থ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। পরিদর্শনের পর যেসব কোম্পানির জিএমপি সুবিধা অপ্রতুল এবং বারবার সময় দেয়ার পরেও যারা তাদের সুবিধাবলী উন্নত করেনি, শুধু তাদের বেলায় সুবিধাবলী উন্নত না করা পর্যন্ত রোগীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হবে এমন কিছু মানহীন প্রডাক্টের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার জন্য সংসদীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছিল। সেটি করা হয়েছিল জনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত না করার স্বাথেই। যেমন উচ্চ প্রযুক্তির এন্টিবায়োটিক ও ক্যানসারের ওষুধ তৈরি করে এমন একটি বড় কোম্পানি অত্যন্ত ঘন বসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় তার কারখানা, তাদের কোনো এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) বা বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থাও ছিল না। ফলে তারা আশেপাশের বাসিন্দাদের ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করছিল। তারা জিএমপি অনুসরণ করতো না এবং তাদের কারখানার অভ্যন্তরীণ পরিবেশ ছিল অত্যন্ত নোংরা। এর ফলে তাদের উৎপাদিত এন্টিবায়োটিক ও ক্যান্সারের ওষুধ মানহীন হতে বাধ্য, এমনকি তারা কারখানার অভ্যন্তরের কর্মীদেরও ক্রমাগত স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করছিল। আমরা তাদেরকে উৎপাদন ব্যবস্থার সংস্কার করে কেবল তারপরেই উন্নত এন্টিবায়োটিক ও ক্যান্সারের মত অত্যন্ত জটিল ওষুধগুলোর পুনরায় উৎপাদনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি এবং সে অনুযায়ী সুপারিশ করেছি।

এছাড়া বেশ কয়েকটি কোম্পানি পেনিসিলিন এবং নন-পেনিসিলিন গ্রুপের বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক একসাথে তৈরি করছিল, যা রোগীর জন্য বিপজ্জনক। কয়েকটি কোম্পানি এন্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদন করে মান-নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই তা বাজারজাত করছিল। অন্য একটি কোম্পানি গরুর ওষুধ ও মানুষের ওষুধ একসাথে একই মেশিনে একই পদ্ধতিতে তৈরি করছিল। এটাও নিয়মবিরুদ্ধ। কয়েকটি কোম্পানি ওষুধ উৎপাদন নিয়মিতভাবে করলেও কোথা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করছে তার কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। ঘন বসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকার আরেকটি কোম্পানি দিনে উৎপাদন না করে শুধু রাতের বেলায় কারখানা চালাত। এলাকাবাসীর প্রতিবাদেও তারা কোনো কর্ণপাত করতো না। তাদেরও কাঁচামালের উৎস সন্দেহমুক্ত ছিল না। এরা সবাই জিএমপি গাইডলাইনবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিল।

এসব কোম্পানি কীভাবে ওষুধ উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছিল তা আমাদের জানা নেই। তাদের সবার ব্যাপারেই সঠিক উৎপাদন সুবিধাবলী তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ওষুধ উৎপাদন বন্ধ রাখতে সুপারিশ করা হয়েছিল। কাউকেই ছাড় দেওয়া হয়নি। অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কোম্পানিকেও না। জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমরা কোথাও কোনো আপোষ করিনি। ওষুধ খেয়ে মানুষ ভালো হওয়ার পরিবর্তে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এটা কোনোভাবেই আমরা মেনে নেইনি। আমরা আমাদের সুপারিশ পাঠিয়েছি মাত্র। এখানে ঘুষ গ্রহণের কোনো ব্যাপার ছিল না।

অথ  এসব কোম্পানির অনেকেই সেই সময় থেকে আমাদের সম্পর্কে গোপনে কুৎসা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে, কিন্তু কখনোই সামনে আসেনি। তারা নানাভাবে আমাদেরকে সমাজে হেয় করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে, কিন্তু তারা নাম-ঠিকানা প্রকাশ করছে না। বেনামে তারা নাকি দুদকে অভিযোগ করেছে এবং সেটা হুবহু আপনার পত্রিকা প্রকাশ করেছে। আমি অভিযোগকারী/দেরকে প্রকাশ্যে পরি য় দিয়ে কোনো সত্য অভিযোগ থাকলে তা জানানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সংসদীয় স্থায়ী কমিটি কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ টিমের রিপোর্ট আমরা শুধু স্থায়ী কমিটির কাছে জমা দিয়েছি, জনসমক্ষে প্রকাশ করিনি। কিন্তু এখন প্রয়োজনবোধে এসব কোম্পানির নাম ও তাদের প্রত্যেকের সম্পর্কে আমাদের সুপারিশ কী ছিল তার পূর্ণ বৃত্তান্ত প্রকাশ করতে আমি সচেষ্ট আছি।

এসব অসত্য অভিযোগ কোনো রকম যাচাই না করে আমাদের সম্পূর্ণ অজ্ঞাতে হুবহু প্রকাশ করে আপনারাও অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছেন।

১০)  আপনাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে যে আমার নামে নাকি এসব অভিযোগে শাহবাগ ও রমনা থানায় জিডি করা আছে। অথচ এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কবে জিডি করা হয়েছে, কী অভিযোগে করা হয়েছে ইত্যাদি কিছুই আমি জানি না। জিডির বাদী বা থানা কর্তৃপক্ষ - কেউই আমাকে কখনো এবিষয়ে কিছু জানায়নি। এ ব্যাপারে অবশ্যই খোঁজ নেয়া হবে।

১১) আপনারা লিখেছেন যে এবিষয়ে কথা বলতে আমাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এই অভিযোগটি গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো ফোনকল এলে আমি তা রিসিভ করার চেষ্টা সবসময়ই করি। আমার পরিচিতজনরা তা জানেন। তবে কখনো ক্লাশে বা কোনো মিটিংয়ে থাকলে কিংবা গভীর রাতে ফোন করলে আমি ফোন ধরতে পারি না।

সেক্ষেত্রে কললিস্ট দেখে আমি কলব্যাক করে থাকি। জরুরি কল হলে অনেকে মেসেজ দিয়ে ফোন ধরতে অনুরোধ করেন। কিন্তু আমি আপনাদের পত্রিকার কারো কাছ থেকে কোনো ফোনকল বা রিকোয়েস্ট মেসেজ কিছুই পাইনি।

আপনারা আমার সম্পর্কে অনেকগুলো অসত্য, মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ প্রকাশ করেছেন। প্রকাশের আগে আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগও দেননি। এর ফলে বিনা দোষে আমার পরিবার, বন্ধুমহল, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীর কাছে আমি অত্যন্ত হেয় হয়েছি, আমার এতকালের অর্জিত সম্মান ও ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে, আমি মারাত্মকভাবে অপমানিত হয়েছি এবং মানসিক শান্তি বিনষ্ট হয়ে আমি অত্যন্ত কষ্ট পাচ্ছি। এসব কারণে আমি অত্যন্ত সংক্ষুব্ধ।

তাই অনুগ্রহ করে যে গুরুত্ব দিয়ে আপনারা একটি বেনামী চিঠি হুবহু ছেপেছেন, আমার এই প্রতিবাদলিপিটিও সমান গুরুত্ব সহকারে, যাতে আমার বক্তব্য অস্পষ্ট বা বিকৃত না হয় তার জন্য কোনো কাঁটছাট না করে, হুবহু আপনার পত্রিকায় প্রকাশ করার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;