জ্বালানি সাশ্রয়ে জবির পরিবহন যাত্রা শুরুর স্থানেই রাখার সিদ্ধান্ত



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জ্বালানি সাশ্রয়ে জবির পরিবহন যাত্রা শুরুর স্থানেই রাখার সিদ্ধান্ত

জ্বালানি সাশ্রয়ে জবির পরিবহন যাত্রা শুরুর স্থানেই রাখার সিদ্ধান্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিদ্যুৎ মনিটরিং কমিটি গঠন, সপ্তাহে একদিন অনলাইন ক্লাস নেওয়া এবং পরিবহনগুলো যাত্রা শুরুর স্থানে রাখাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ০৯ আগস্ট থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার (একদিন) অনলাইন ক্লাস হবে। তবে সেদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধা বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ব্যবহার সঠিক হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং দপ্তর প্রধানের নেতৃত্বে মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনসমূহ যে স্থান থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আনার জন্য যাত্রা শুরু করবে সে স্থানে বাস রাখার ব্যবস্থা করা হবে। শুধুমাত্র জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয় বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০% এবং প্রশিক্ষণ ও টিএ/ডিএ এর ক্ষেত্রেও বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০% ব্যয় করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ও বিভাগের নবীনবরণ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে না করে নিজ নিজ ইনস্টিটিউট ও বিভাগে করবে। তবে শুধুমাত্র অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় সীমিত এসি চালিয়ে (২৬ ডিগ্রী সে. এর নিচে নয়) অডিটোরিয়াম ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় সকল ধরনের প্রকল্প কমিটির সভায় সম্মানী বাবদ কোনো অর্থ ব্যয় করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

   

ঢাবি উপাচার্যকে কানাডা সফরে আমন্ত্রণ জানালেন লিলি নিকোলস



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম ঢাকা
ঢাবি উপাচার্যকে কানাডা সফরে আমন্ত্রণ জানালেন লিলি নিকোলস

ঢাবি উপাচার্যকে কানাডা সফরে আমন্ত্রণ জানালেন লিলি নিকোলস

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে কানাডা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে এসে এ আমন্ত্রণ জানান ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং রিজাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেফ কেশেন নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ঢাবি উপাচার্যকে কানাডা সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। 

কানাডার হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ এবং কানাডার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে। দুদেশের মধ্যে চলমান শিক্ষা, গবেষণা, সাংস্কৃতিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে বলে  আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য কানাডার হাইকমিশনারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

প্রসংগত, গত ১৯ জুলাই ভিসা না পাওয়ায় কানাডায় যেতে পারেননি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। ‘এসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ (এসিইউ)’র কাউন্সিল কনফারেন্সে যোগ দিতে কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল তার। গত ১৫ জুন ভিসার জন্য ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনে আবেদন করেন তিনি। কিন্তু এক মাস পার হলেও ভিসা পাননি ভিসি। তাই কানাডায় যাওয়ার উদ্যোগ বাতিল করতে হয়। 

জানা যায়, হাইকমিশনার জানিয়েছেন, ভিসার বিষয়টি ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট দেখে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তখন উপাচার্যের কানাডা যাওয়ার ব্যাপারে সমস্যাটি হতো না। 

;

ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার



ইবি করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম কুষ্টিয়া
ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ইবিতে র‍্যাগিং ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুর ও র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উাপাচার্যের কার্যালয়ে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ এবং একই বিভাগের মিজানুর রহমান ইমন

এছাড়া র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে

ভুক্তভোগী তাহমিন ওসমান বহিষ্কারারের বিষয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি প্রশাসন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। যে দুইজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে তারা এগ্রেসিভভাবে র‍্যাগ দিয়েছিলো। বাকিরাও জড়িত ছিলো, কিন্তু তারা এক্সট্রিম পর্যায়ের না। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া পরিবেশ থাকবে এবং শিক্ষার্থীরা সহাবস্থানে একে অপরের সহযোগিতা করবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা শিক্ষাবান্ধব এবং র‍্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি

প্রসঙ্গত গত ১০ জুলাই আইন বিভাগের ছাত্র রেজোয়ান সিদ্দিক কাব্য, সালমান আজিজ, আতিক আরমানের বিরুদ্ধে মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুর, কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। এরপর মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুলাই ওই তিন ছাত্রকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করা হয়

এদিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরেরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত করতে গিয়ে উভয় কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়

;

কুবিতে ফুটবলের ফাইনাল শেষে প্রক্টর-খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রেফারির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তঃ বিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সময় শিক্ষার্থী ও উপস্থিত প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যে পরিস্থিতি বাগবিতণ্ডা থেকে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচে ২-০ গোলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে হারার পর ম্যাচ রেফারির দিকে তেড়ে যায়। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসে এবং তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে সরাতে থাকে।

তবে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবি তারা রেফারির সঙ্গে ‘সেল্ফি’ তুলে স্লেজিং করার উদ্দেশ্যে রেফারির দিকে একযোগে যাচ্ছিল। অন্যদিকে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসলে কিছুক্ষণের জন্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইন বিভাগের ফুটবল দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হাসান বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। রেফারির আচরণ অন্যরকম মনে হয়েছে এবং দর্শকদের চোখেও এটি লেগেছে। এজন্য সবার মন খারাপ ছিল। এর মধ্যে হঠাৎ করে কথা কাটাকাটির মধ্যে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত স্যার এসে হয়তো থামানোর চেষ্টা করেছেন। তবে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কেমন যেনো বিষয়টি উলটপালট হয়ে গেছে।

প্রক্টরদের কেউ শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রক্টর স্যার ঘটনাটি সমাধানের জন্য চেষ্টা করছিলেন। যেন ঝামেলা না লাগে। প্রক্টর স্যার শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দিয়েছে এমন ঘটনা দেখিনি। বরং তিনি চেষ্টা করেছেন থামানোর জন্য।

এ ব্যাপারে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আজকে যে অনভিপ্রেত ঘটনার উদ্ভূত হয়েছে তা নিয়ে ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে যেন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ছাত্র ও শিক্ষকের মধ্যে আমরা কোনো ভেদাভেদ চাই না। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে প্রশাসন যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সেভাবেই নিচ্ছে। প্রক্টর স্যার ছাত্রদের ওপর হাত তুলেছেন তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়নি। প্রক্টর স্যার ছাত্রদের মারধর করেছেন এখনো কেউ আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যারা এসব ছড়াচ্ছেন তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রক্টরিয়াল বডি তাদের দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সচেষ্ট ছিল।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত বলেন, ‘প্রক্টরিয়াল টিমের দায়িত্ব পালন করতে মাঠে গিয়েছিলাম। আইন বিভাগ হেরে যাওয়ার পর তারা উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যায়। আমরা যারা প্রক্টরিয়াল টিমের দায়িত্বে ছিলাম তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। এরমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমি দুইবার পড়ে গিয়েছি। কেউ হয়তো ধাক্কা দিয়েছিল আমাকে। সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের যা করার প্রয়োজন ছিল আমরা তাই করেছি।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সকলে কাজ করেছেন। এখানে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।’

;

চবি অধ্যাপক ড. রফিকের ইন্তেকাল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চবি অধ্যাপক ড. রফিকের ইন্তেকাল

চবি অধ্যাপক ড. রফিকের ইন্তেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি বিভাগের অধ্যাপক এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কৃতি সন্তান ড. এস এম রফিকুল আলম সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭:৫০ মিনিটের ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন চবি আরবি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নেয়ামত উল্ল্যাহ।

অধ্যাপক ড. এস এম রফিকুল আলম রোববার (১ অক্টোবর) রাতে স্ট্রোক করলে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে কুমিল্লায় তিনি মারা যান।

অধ্যাপক নেয়ামত বলেন, রোববার (১ অক্টোবর) তিনি পরীক্ষার হলে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন। হাসিখুশিভাবে সবার সাথে কথা বলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে চবি পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ২ টায় মরহুমের গ্রামের বাড়ী বাঁশখালী উপজেলার শিলকোপ-এ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সেকশন অফিসার নাফিজ মিনহাজ বাশঁখালীবাসীর পক্ষে মরহুমের মাগফেরাতের জন্য সবার দোয়া কামনা করেছেন।

চবি আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. এস. এম. রফিকুল আলমের আকস্মিক মৃত্যুতে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আবদুল হক, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হক, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজউদৌলাসহ অনেকে
গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

চট্টগ্রাম সেন্টার ফর রিজিওনাল স্টাডিজ বাংলাদেশ (সিসিআরবিডি)-এর নির্বাহী পরিচালক, চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ শোক প্রকাশ করে বলেন, ড. এস.এম. রফিকুল আলম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী, বিনয়ী, সহজ-সরল, জ্ঞানপিপাসু ও প্রচারবিমুখ একজন শিক্ষক। শিক্ষকতা জীবনে তিনি যে মেধা, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতার দৃষ্টান্ত রেখেছেন, তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে চবি পরিবার।

;