বিশ্ব শিক্ষক দিবস: স্মৃতির স্কুল, মহতীপ্রাণ শিক্ষক



ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম
স্মৃতির স্কুল, মহতীপ্রাণ  শিক্ষক

স্মৃতির স্কুল, মহতীপ্রাণ শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার বদলির চাকরির সুবাদে অনেক স্কুল কলেজে পড়েছি। ফলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো অনেক শিক্ষককে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আজ শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকের কথাই মনে পড়ছে। সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আজ শিক্ষক দিবসে আমি আমার শৈশবের বিদ্যালয় ভেড়ামারা উচ্চ বিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার শিক্ষকদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমার শৈশবের এই মহান শিক্ষকদের স্মৃতি আমাকে এখনো প্রবলভাবে নাড়া দেয়।

আমার ছেলেবেলা কেটেছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায়। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পযন্ত ভেড়ামারা জিকে ২নং কলোনীর ব্যারাকে থাকতাম। পড়তাম ভেড়ামারা হাইস্কুলে। ১৯৮৪ সালে এস এস সি পরীক্ষা দেয়া পর্যন্ত যেসকল শিক্ষককে পেয়েছি তাঁরা হলেন: রুহুল ইসলাম স্যার ( প্রধান শিক্ষক), হাফেজ আবদুর রশীদ স্যার (সহকারী প্রধান শিক্ষক), আনোয়ারুল আজিম স্যার ; বিনোদ কুমার স্যার, মতিউর রহমান খান স্যার; মো. সিরাজুল ইসলাম স্যার; দাউদ আলী খান স্যার; মশিউর রহমান স্যার, এনামুল হক স্যার, আবদুল হাই স্যার, জিনাত আলী স্যার, আবদুল করিম স্যার, আবদুস সালাম স্যার, মকবুল হোসেন ভি এম স্যার , আজিজুল হক চাঁদু স্যার, গিয়াস স্যার এবং আবদুর রব স্যারকে।

আমার নিজ স্কুলের ( ভেড়ামারা হাইস্কুল) বাইরে বাল্যকালে আরেকজন শিক্ষক যিনি আমার পড়াশোনার ভিত্তি তৈরি করেছিলেন, তিনি হলেন আব্দুল্লাহ স্যার। তিনি ধরমপুর স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। আব্দুল্লাহ স্যার আমাকে বাসায় পড়াতেন। স্যার আমাকে গনিত, পদার্থ এবং রসায়ন পড়াতেন। স্যারের পড়াগুলো আজও মনে পড়ে। ২০১১ সালের দিকে স্যারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ হয়েছিল। স্যার প্রায়ই ফোন দিতেন। ইচ্ছে ছিল স্যার আমায় দেখবেন, কিন্তু আর দেখা হয়নি। স্যার মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে চলে গেছেন। স্যারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

দায়িত্ব ও পরিশ্রম কাকে বলে সেটা সেই স্কুল জীবনেই দেখেছি হেড স্যার রুহুল ইসলামকে। তুলনাবিহীন এই শিক্ষককে জ্ঞান গরিমায় আদর্শ ছিলেন। সক্রেটিস হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আমাদের জীবনে লেখাপড়ার পাশাপাশি, আদব কায়দা, ভদ্রতা রুহুল স্যারকে দেখেই রপ্ত করেছিল ওই সময়ের ছাত্ররা। ছাত্ররা তাঁকে যেমন ভয় করত, তেমন শ্রদ্ধাও করত। স্যার আমাদের দশম শ্রেণীতে ইংরেজী পড়াতেন। আমাদের সময় ইংরেজীতে লিও তলস্তয় এর লেখা থ্রি কোশ্চেন নামে একটি প্রবন্ধ ছিল। কী গম্ভীরভাবে দরাজ গলায় স্পষ্ট উচ্চারণে স্যার পড়াতেন। তখন কেউ না বুঝলেও ক্লাসে পিন পতন নীরবতা থাকতো। স্যার ক্লাসে বেত নিয়ে ঠুকতেন। বেতের ভয়ে আমি প্রবন্ধটা মুখস্ত করে ফেলেছিলাম প্রবন্ধের শুরুটা ছিল The thought came to a certain king that he would never fail if he knew three things. These three things were: What is the right time to begin something? Which people should he listen to? What is the most important thing for him to do?

স্যারের কারণে আমি সহ বন্ধুরা এই দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে ওস্তাদ ছিলাম। আমার ধারণা এখনো আমি ও আমার সহপাঠীরা চোখ বন্ধ করে এই দুটি প্রশ্নের উত্তর অনর্গল বলতে পারবো।

আর আরেকটি হলো What is the summary of the three questions? বাপরে বাপ এখনো ওই প্রবন্ধের কথা মনে হলে ভাবি তলস্তয়ের চেয়ে বোধ হয় আমাদের রুহুল স্যার এই তিন প্রশ্নের উত্তর বেশি জানেন।

আমার স্কুলের আরেক শিক্ষক ছিলেন হাফেজ স্যার। সকল বিষয়ে পারদর্শী এই স্যারকে কে ভুলতে পারে? স্যার পড়াতেন ইংরেজী দ্বিতীয় পত্র। হাফেজ স্যারের ক্লাস হতো টিফিন পিরিয়ডের পর। সাধারণত টিফিনের পরের ক্লাসগুলিতে ক্লাস নেয়া খুব কঠিন। ছাত্ররা অমনোযোগী হয়ে উঠে। কিংবা বেঞ্চে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু হাফেজ স্যার জাদুমন্ত্র জানতেন। ক্লাসকে সচল করে তুলতেন তাও ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস দিয়ে। হয়তো কোন ছাত্রকে দাঁড় করিয়ে বলতেন বলতো দেখি আমি একজন গাধা ছাত্র। ওমনি ক্লাসের সবাই হো হো করে হেসে উঠল। ঝিম ধরা ক্লাসে শুরু হয় আনন্দের বন্যা। ট্রান্সলেশন কাকে বলে স্যার শেখাতেন। ক্লাসে ঢুকেই বলতেন ট্রান্সলেশন কর- ভজহরি চা সিঙ্গারা খেয়ে রসগোল্লা খাচ্ছে। কিংবা ছাগলটি ভরভর করিয়া লাদিয়া দিল। স্কুলের মাঠের পাশেই ছিল পশু চিকিৎসালয় । স্যার ওই সকল দৃশ্য দেখতেন আর ট্রান্সলেশন করতে দিতেন।

আমাদের টিফিনের পর প্রায় সময় একটা প্লেন চক্কর দিত। তখন ভেড়ামারার কেউ একজন পাইলট হয়েছিল সেই নাকি প্লেন নিয়ে ভেড়ামারার উপর দিয়ে চক্কর দিত।( এটা অবশ্য শোনা কথা)। আমরা জানালার বাইরে আকাশের দিকে প্লেন খুঁজতাম। কিশোর বয়সের ছেলেরা প্লেন দেখবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কতটা দক্ষ শিক্ষক হলে শ্রেণি কক্ষের ডিসিপ্লিন নষ্ট হতে দেননি। বরং সেটাকেই পড়ানোর সাবজেক্ট বানাতেন। হাফেজ স্যার একধাপ এগিয়ে গিয়ে আরেকটি ট্রান্সলেশন দিতেন- উড়োজাহাজটি ভো ভো শব্দ করিয়া আসিতেছে। স্যারের পান্ডিত্য ছিল সর্বজনবিদিত। স্মরণশক্তি ছিল অসাধারণ।

করিম স্যার অষ্টম শ্রেণীতে ভূগোল এবং নবম শ্রেণীতে বাংলা ব্যাকরণ পড়াতেন। আমার আব্বার সঙ্গে স্যারের হ্নদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। স্যার আমাকে প্রাইভেট পড়াতেন। অন্য কাউকে পড়াতেন না। আমি স্যারের বাসায় যেতাম। যদিও ওই দুই বিষয়ে আমার আগ্রহ ছিল খুবই কম। কিন্তু আব্বার কারণে যেতাম। স্যারের ছেলে শাকিল আমাদের জুনিয়র ছিল। বাসায় গেলে ওর সাথেই গল্প গুজব বেশি হতো। তবে স্যার এতো সুন্দরভাবে ব্যাকরণ বোঝাতেন তা কখনো ভোলার নয়। আমি কারক কিছুতেই বুঝতাম না। বিশেষ করে অপাদান আর অধিকরণ এই দুই কারকে জড়িয়ে ফেলতাম। স্যার একদিন আমাকে গাছের নীচে নিয়ে বোঝালেন, গাছ থেকে পাতা পড়েছে এটাই অপাদান কারক । মানে কোন কিছু থেকে বিচ্যুত হওয়া। পাতা ডালে ছিল সেখান থেকে ছিড়ে পড়ল। ঠিক একইভাবে তিল থেকে বের হয়ে তেল হল। খেজুর রসে গুড় হল। দুধ থেকে দই হল। আবার স্টেশনের উদাহরণ দিয়ে বোঝাতেন ঈশ্বরদী থেকে ট্রেন ভেড়ামারা আসলো। এ রকমের কত উদাহরণ দিতেন।

অষ্টম শ্রেণির ক শাখার ক্লাস টিচার ছিলেন মতিউর রহমান স্যার। স্যারের বাসা ছিল বামুনপাড়ায়। জিকে ২ নং কলোনি থেকে বামুন পাড়ার দূরত্ব ৫ কিলোমিটার এর মতো হবে। স্যারের বাসায় সকাল ৭টায় প্রাইভেট পড়তে যেতাম। আমার একটা সাইকেল ছিল। বন্ধু মুজিবুল আসতো ষোলদাগ থেকে। ১৯৮১ সালের শীতের দিনগুলোতে মতিউর স্যারের বাসায় যেতে খেজুর রস, আলুর দম, কলাইয়ের রুটি কত কিছু যে খেয়েছি। স্যার আমার উচ্চারণ নিয়ে রসিকতা করতেন, বলতেন তুমি তো পাবনার ছাওয়াল। তোমরা স্ব্ররধ্বনির ব্যবহার জানো না। তোমরা দুইটা স্বরধ্বনির মাঝে কিছু থাকলেই ঝামেলা বাধিয়ে ফেল। বলেই স্যার বলতো ট্যাহা লিয়া আইছ্যাও তো। তখন কিছুই বুঝতাম না। স্যারের ধুতি পড়ার দিকে চেয়ে থাকতাম। বন্ধু মুজিবুল সহ সকলে হো হো করে হেসে দিত। স্যারের অসাধারণ পান্ডিত্য স্বীকার করতেই হবে।

ভেড়ামারা হাইস্কুলের একজন শিক্ষক এসেম্বলীর সময় খুব প্রাণোচ্ছল থাকতেন। তিনি সকলের প্রিয় ভি এম স্যার। স্যারের আসল নাম ছিল মকবুল হোসেন স্যার। সপ্তম শ্রেণীতে ক শাখায় স্যার আমাদের শ্রেণী শিক্ষক ছিলেন। কী পড়াতেন মনে পড়ে না। তবে বেশীরভাগ সময়ে স্যার রামায়ণ এবং মহাভারতের গল্প শোনাতেন।আজিজুল হক স্যারকে সকলে চাঁদু স্যার নামে ডাকতেন। স্যার আমাদের নবম দশম শ্রেণীতে রসায়ন পড়াতেন।

অসাধারণ বাংলা পড়াতেন আজিম স্যার। স্যারকে কোনদিনই চেয়ারে বসতে দেখিনি। ক্লাস নাইনে উঠেই স্যারকে পেলাম। কথা বিচিত্রা নামে বাংলা সহায়ক পাঠ্য ছিল । স্যার সেখান থেকে পড়াতেন পোস্ট মাস্টার, আদরিণী, মামলার ফল এসকল গল্প গুলো। স্যারের পড়ানো দেখে গল্পের নায়ক গুলোকে যেন পথে ঘাটে দেখতাম।

আমাদের সময়ে ধর্মীয় শিক্ষক ছিলেন দুইজন। একজন হলেন সিরাজ স্যার আর অপরজন হাই স্যার। ওই সময়ে নীল ডাউন বলে স্কুলে একটা প্রচলিত শাস্তির বিধান ছিল। ধর্ম শিক্ষক হাই স্যার আমাদের প্রায় সময়েই নীল ডাউন করতেন। পড়ার কারণে নয়, নামাজ না পড়ার কারনে। জোহরের নামাজের সময় কে কে মসজিদে যাইনি সেটা স্যার মনে রাখতেন। আর তার শাস্তি ছিল নীল ডাউন কিংবা মসজিদে বদনা কিনে দেয়া। হাই স্যার আমাদের নীল ডাউনের শাস্তি দিলেও স্যার কে কেন জানি নিষ্পাপ একজন মানুষ মনে হতো। নোয়াখালীর মানুষ ছিলেন। স্যার নোয়াখালির আঞ্চলিকতায় কথা বলতেন। ধর্মপরায়ণ, ন্যায়নিষ্ঠ স্যারকে সবাই ভালবাসতেন।

আমাদের আরেকজন হাই স্যার ছিলেন । তিনি কৃষি বিজ্ঞান পড়াতেন। স্যার স্টুডেন্টদের অনেক পছন্দ করতেন। সেই সুবাদে আমি ও আমার বন্ধুরা হাই স্যার এর ১৬ দাগের বাড়ীতে অনেকবার গেছি। যতদূর মনে পরে হাই স্যার এর অনেক লেখা কৃষি কথা নামে পত্রিকায় ছাপা হত।

ক্লাস টেনে আমাদের ক্লাস টিচার ছিলেন রব স্যার। খুবই ভাল একজন টিচার ছিলেন। আজও মনে পড়ে এস এস সি পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল দিয়েছিলেন রব স্যার। ১৯৮৩ সালে রব স্যার আমাদের পিকনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নীচে। সেবারই স্যার একটা গান গেয়েছিলেন হৈমন্তী শুক্লার তুমি চলে গেলে, চেয়ে চেয়ে দেখলাম। এরপর যতদুর জেনেছিলাম স্যারও কান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইহজগত ছেড়ে চলে গেছেন। এখনো কোন কারণে হার্ডিঞ্জ ব্রীজের কাছে গেলে ১৯৮৩ সালের পিকনিক আর স্যারের গানের কথা মনে পড়ে।

আমার জীবনে দেখা সুদর্শন স্যার ছিলেন এনামুল হক স্যার। স্যারের গ্রামের বাড়ি ছিল চাঁদগ্রাম। ১৯৮০ সালে আমরাও চাঁদগ্রামে থাকতাম। স্যার প্রতি শুক্রবার চাঁদগ্রাম চাষীক্লাবে মিটিং করতেন। অসম্ভব জনপ্রিয় ছিলেন স্যার। গ্রাম্য সালিশ মিটিংয়ে স্যার যে সমাধান দিতেন, সেটাই সবাই মানতেন। স্কুলেও স্যার আমাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতেন। এসেম্বলীর সময় দেখতেন কেউ নোংরা কাপড়ে এসেছি কি না, কিংবা কারো চুল বড় হয়েছে কি না, কেউ নখ কেটেছে কি না। স্যারের শাস্তি ছিল স্কুল মাঠের ঘাস পরিস্কার করা। কিন্তু কখনো এগুলো শাস্তি মনে হয় নি। স্কুলের পুরস্কার বিতরণী কিংবা বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্যারকে খুবই প্রানবন্ত দেখেছি। স্যার মাঝে মাঝে আমাদের দিয়ে কবিতা আবৃত্তি করাতেন।

পেশাগত জীবনে আমিও একজন শিক্ষক। কিন্তু এটি এখন আর সম্মানীয় স্থানে নেই। আশির দশকে আমার দেখা ভেড়ামারা হাই স্কুল এর সেই সময়কার শিক্ষকদের তুলনা হয় না। ছাত্র হিসেবে আমার শৈশব ও কৈশোরের এই সকল শিক্ষকেরা হ্নদয়ের মণিকোঠায় চির জাগরুক হয়ে আছে । তাঁদের স্মৃতি আমি বহন করতে চাই অন্তহীন কাল ধরে। আমি যখন স্কুলের ছাত্র ছিলাম তখন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন ও ভাতাদি সবচেয়ে অবহেলিত ছিল। তবুও আমার শিক্ষকদের কখনো স্কুলে বা অন্য কোন আলাপচারিতায় কখনো আফসোস করতে দেখিনি! তবে একটা জিনিসের স্যারদের অভাব ছিল না, সেটা হলো সম্মান!

আজ শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের জানাই শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন।

(ডঃ মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাক্তন প্রো ভাইস চ্যান্সেলর, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।)

   

গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন করতে চায় চবি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিয়ে আসতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত হয় এই সভা। এসময় তিনি টাইমস ও কিউ এস র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেতে তাঁর বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

এ সময় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান অনুধাবন করা যায় র‍্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে। দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোসহ সার্বিক বিষয়ের সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে। এরপর বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং এর জন্য আবেদন করলে একটা ফলপ্রসু অবস্থান আশা করা যেতে পারে

এছাড়াও উপাচার্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক নিয়োগ, সেন্টার অফ এক্সিলেন্স গঠন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ, ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে পরিকল্পনা, পরিবেশ-বান্ধব ক্যাম্পাস নিয়ে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন। এ লক্ষ্যে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি আইকিইএসির পরিচালক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন, চবি আইসিটি সেলের পরিচালক কম্পিউটার সায়েন্সেস এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, চবি কলেজ পরিদর্শক পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, চবি ফাইন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. অনুপম দাশগুপ্ত, চবি জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুব হাসান, চবি ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলী, চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ, চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা, চবি একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস.এম. আকবর হোছাইন ও চবি গ্রন্থাগার দপ্তরের উপ-গ্রন্থাগারিক দিল রুকসানা বসুনীয়া উপস্থিত ছিলেন।

;

এবার দুই পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কুবি শিক্ষক



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষক দুইটি পদ থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। তিনি ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিনিধি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া একটি পদত্যাগপত্র তিনি প্রদান করেন।

পদত্যাগপত্রে মোহাম্মদ আইনুল হক উল্লেখ করেন, আমি ২০২২ সালের ০৬ নভেম্বর থেকে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরিকৃত সংকটের কোনো সমাধান না করে উপরন্তু নতুন নতুন সংকট তৈরি, অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র এবং পেশাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আমি উক্ত পদসমূহের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।'

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আইনুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তা সমাধান না করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন মানা হচ্ছে না। এমনকি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের সাথে কর্মকর্তাদের যে অসৌজন্যমূলক আচরণ তার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার প্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে এই পদে আমার থাকা অনুচিত। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন। এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় 'এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ' দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ চার হলের চার আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছিলেন।

;

৩ বছরেও সমন্বয় হয়নি জবি শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা এখনো সমন্বয় হয়নি বলে অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রসায়ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

রসায়ন বিভাগ ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিমের স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে দেখা যায়, প্রতিবছর ১ বার করে সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি থেকে এক শিক্ষাবর্ষে ২ বার ৬০০ টাকা মওকুফের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে বৃত্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ ১ বছরে ২ বার এবং ৩ বছরে ৬ বার ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা থাকলে ৩ বছরে মাত্র ৩ বার ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

২০২১ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৪০০/- (চারশত) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

২০২২ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৬৫০/- (ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিম বলেন, আমি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি পেয়েছি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। সে হিসেবে আমার প্রতি সেমিস্টারে ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ এক শিক্ষাবর্ষে দুই সেমিস্টারে ৬০০ করে মোট ১২০০ টাকা মওকুফ হবার কথা কিন্তু প্রতিবছর শুধু একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করেছে।

রসায়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। মেধাবৃত্তির টাকা পেলেও সমন্বয় হয়নি অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। বৃত্তির নোটিশ অনুযায়ী আমার প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয় নি। ২০২৩ সালে দুটি সেমিস্টার থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। তবে ২০২১ ও ২০২২ সালে একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমি যখন ছাত্রকল্যাণের পরিচালক ছিলাম তখন এ বিষয়গুলো আপডেট করা হয়েছে। এমন হওয়ার কথা না। এরপরেও যদি হয়ে থাকে তবে সমস্যা আইসিটি সেলের নাকি অন্য কোথাও সেটা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থীর অনার্স বা মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ায় তার টাকা সমন্বয় করার কোনো উপায় না থাকে তবে সে এপ্লিকেশন করলেই তাকে তার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীই বঞ্চিত হবে না।

সশরীরে উপস্থিত হয়ে সমন্বয় করতে হবে-এমন কথা বৃত্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, যখন শিক্ষার্থীরা দেখলেন যে সমন্বয় হচ্ছে না তখন তাদের উচিত ছিল অভিযোগ জানানো। আমরা নিজেরাও তো ব্যাংকে সরাসরি যোগাযোগ করি যখন কোনো সমস্যা হয়।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা আইসিটি সেলের বিষয় না। রেজিস্ট্রার স্যারের সাথে কথা বললে সঠিক তথ্য পাবেন।

;

ঢাবির বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এক লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৭২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৫৮২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাশের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তিনি রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১হাজার ৭৭৫টি, মানবিক শাখা থেকে ৫১টি, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

আর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৩০টি মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৫টি বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;