জাবিতে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব



জাবি প্রতিনিধি
জাবিতে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব

জাবিতে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা নাটকে নতুন ধারার প্রবর্তক নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ১৬তম প্রয়ান দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে ১৪-১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ‘সেলিম আল দীন নাট্যৎসব’ শুরু হতে যাচ্ছে।

বুধবার(১১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইস্রাফিল আহমেদ।

এবারের নাট্যোৎসবের প্রথমদিন (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় স্মরণযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা হবে। এদিন বিকেল ৩টায় জহির রায়হান মিলনায়তনে ‘শেষ নাহি যে’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

নাট্যোৎসবের প্রথমদিন সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন নাট্যকার অধ্যাপক আবদুস সেলিম, নাট্য ব্যাক্তিত্ব আফজাল হোসেন। এছাড়া সন্ধ্যা ৭টায় ফাহমিদা নবীর পরিবেশনায় থাকবে সেলিম আল দীনের গান। সবশেষে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে নাট্য প্রযোজনা 'স্বর্ণবোয়াল' মঞ্চায়নের মাধ্যমে প্রথম দিনের কর্মসূচি শেষ হবে।

নাট্যোৎসবের দ্বিতীয় দিন মঞ্চস্থ হবে নাট্য প্রযোজনা ‘মাদার কারেজ এন্ড হার চিল্ডরেন’। এছাড়া নাট্যোৎসবের সমাপনী দিনে রয়েছে ঢাকা থিয়েটারের পরিবেশনায় নাট্য প্রযোজনা ‘নিমজ্জন’।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট বর্তমান ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার সৃষ্টিশীলতার কিরণচ্ছটা ভারতবর্ষ ছাড়িয়ে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।

১৯৮৬ সালে তার উদ্যোগেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হয় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এই বিভাগকে তিনি অধিষ্ঠিত করেন মর্যাদার আসনে।

নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মাত্র ৫৯ বছরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মসজিদের কাছে তাকে সমাহিত করা হয়।

১০ তলা থেকে লাফ দেওয়া শেকৃবি শিক্ষার্থী মারা গেছেন



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ তম ব্যাচের মারিয়া রহমান নামের এক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ তলা আবাসিক হল থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আত্মহত্যার আট দিন পরে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, একাডেমিক বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে কৃষি অনুষদের ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত মারিয়া রহমান নামের ওই শিক্ষার্থী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা আবাসিক হলের ১০ তলা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে পরবর্তীতে মারাত্নকভাবে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়।

সেদিন প্রত্যক্ষদর্শী হলের গার্ড পাভেল ভূঁইয়া বলেছিলেন, ‘হঠাৎ শব্দ শুনে গার্ডরুম থেকে বাইরে এসে দেখি এক ছাত্রী নিচে পড়ে আছে। লাফ দেওয়ার সময় কাঁঠালগাছের ওপর পড়েছিল, ডাল ভেঙে নিচে পড়েছে। যতটুকু দেখেছি, হাত ভেঙে হাড় বের হয়ে গেছে।’

সুইসাইডের চেষ্টা করা শিক্ষার্থীর ব্যাচমেট বলেন, ‘ও কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তিত ছিল। ওর বেশ কয়েকটা সিটি পরীক্ষা ডিউ ছিল। শুনেছি অনেক স্যাররা ডিউ পরীক্ষা গুলো নিবে না বলেছে। এছাড়া অসুস্থতার কারণে ক্লাস করতে পারেনি।পরবর্তীতে স্যারদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের স্যাররা নাকি ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারবে না এমন কথা বলেছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ব্যাচমেট বলেন, ‘আমি আমাদের সেকশনের শিট গুলো সবাইকে দেই। মারিয়া ১০ তলা থেকে লাফ দেওয়ার আগের দিন শিট কপি করার জন্য নিষেধ করেছিল।ডিটেইলস তো আমি কিছু জানতাম না তবে ওকে চিন্তিত মনে হচ্ছিল।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুনর রশীদ বলেন, আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক সংবাদ এটি। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু পারিনি। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তার পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই।

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বার্তা২৪ কে বলেন, ‘মারিয়া মারা যাওয়ার ঘটনা আমাদের জন্য দুঃখজনক। তবে মারিয়া বেঁচে থাকা অবস্থায় প্রসাশন থেকে সর্বোচ্চ যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হয়েছে। আর মারিয়ার বাবা পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে মারিয়ার মানসিক সমস্যা ছিল এবং এই কারণেই সে আত্মহত্যা করেছে বলে জবানবন্দি দিয়েছে। আমরা মারিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।'

;

পহেলা বৈশাখে মুখোশ-ব্যাগ বহন করা যাবে না



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। এছাড়া ক্যাম্পাসে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৯ মার্চ) বাংলা নববর্ষ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় জনসমাগম সীমিত রাখতে সবার প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়, ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে অপরাহ্ণ ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধু নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন। সর্বসাধারণের চলাচলে এই সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে।

নববর্ষের দিন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগত ব্যক্তিবর্গ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদ সম্মুখে ছবির হাটের গেট, বাংলা একাডেমির সম্মুখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে প্রস্থানের পথ হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট, রমনা কালী মন্দির সংলগ্ন গেট ও বাংলা একাডেমির সম্মুখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট ব্যবহার করা যাবে।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশপাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে।

সভায় নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সভায় উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ২৪ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

সভায় কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে দুটি উপকমিটি গঠন করা হয়। এগুলো হচ্ছে- শৃঙ্খলা উপকমিটি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটি। ১২ সদস্যবিশিষ্ট শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এবং সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা। ৩২ সদস্যবিশিষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং সদস্য সচিব সহকারী প্রক্টর মো. নাজির হোসেন খান।

;

ঢাবির ছাত্রীদের পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখার নোটিশ স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরিচয় শনাক্তে সব ছাত্রীদের কান-মুখ খোলা রাখার নোটিশ স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া বাংলা বিভাগের এই নোটিশ কেন অবৈধ হবে না সে মর্মে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

এদিকে এ বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আদালতে রিটকারী আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঢাবির বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নোটিশ আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীদের পক্ষে রিট দায়ের করা এ আইনজীবী জানান, কান ও মুখ খোলা রাখার বাধ্যবাধকতা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থি। রিটে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, বালা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এ নোটিশ যথাযথভাবে যারা পালন করবে না, তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

;

রাবিতে স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবি, হল গেটে তালা



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাবিতে স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবি

রাবিতে স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবিতে আন্দোলন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় হলের শিক্ষাথীরা এই আন্দোলন শুরু করলে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এতে যোগ দিয়ে হল গেটে তালা দেয়। এসময় হলের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের জন্য বেশকিছু দাবিও জানায় তারা।

দাবিগুলো হলো- ডাইনিং ও ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধি করা, হলে ইফতারের ব্যবস্থা করা, ওয়াইফাইয়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা, মশা নিধনে ব্যবস্থা গ্রহণ, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ছাত্রদের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ্যের অসহযোগীতামূলক আচরণের কারণ বর্ণনা, রিডিং রুমের পরিসর বাড়ানো, জিমনেশিয়াম চালু করা, গোসল খানায় ঝুড়ির ব্যবস্থা করা, টয়লেটে বদনার ব্যবস্থা করা, গেইমস রুম ও বিতর্ক পাঠশালা অন্যত্র স্থানান্তর করা, প্রত্যেক তলায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা ও নিয়মিত পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা দুপুরে হঠাৎ স্লোগান দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলামসহ আরও কিছু নেতাকর্মী তাদের সাথে যোগ দিয়ে হল গেটে তালা দেয়। এসময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা 'আমার খাবার গেলো কই, প্রশাসন জবাব চাই, 'আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে, মানতে হবে' বলে স্লোগান দিতে থাকে।

পরবর্তীতে হল প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম হলের সাধারণ শিক্ষার্থী, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাকর্মী এবং ডাইনিং ও ক্যান্টিন কর্মচারীদের নিয়ে আলোচনায় বসে।

জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, হলের বিভিন্ন সমস্যাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের দাবিগুলোর যৌক্তিক মনে করে আমিও একাত্মতা প্রকাশ করেছি।

হল প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করেছে সেটার ব্যাপারে আমরা প্রাধ্যক্ষ পরিষদ আগামী ২৭ তারিখ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া হলের ডাইনিং এবং ক্যান্টিনের কর্মচারীদের ডেকে খাবারের মান বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে ৩৫ টাকায় ডাইনিং এ খাবার দেওয়া হবে। এতে আগের থেকে ভালো খাবার খেতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ক্যান্টিনেও আগের থেকে উন্নতমানের খাবার খেতে পারবে।

;