এ যেন এক নৈসর্গিক পুষ্প উদ্যান!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এ যেন এক নৈসর্গিক পুষ্প উদ্যান!

এ যেন এক নৈসর্গিক পুষ্প উদ্যান!

  • Font increase
  • Font Decrease

বাঙালি ও বাংলাদেশের স্থাপত্যশিল্পের আদিম নিদর্শন পদ্মাপাড়ের রাজশাহী কলেজ। ভবনগুলোর শৈল্পিক-সুদৃঢ় কাঠামো অনায়াসে ভাবনার জগতে দাগ কাটে যে কারোর। কৃতিত্ব, সৌন্দর্য আর আভিজাত্যের জন্য বিখ্যাত লাল দালানের এই ভবনগুলো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে র্যাঙ্কিংয়ে টানা চতুর্থবারের মতো দেশসেরা হয়েছে রাজশাহী কলেজ। দেশের একমাত্র এই মডেল কলেজ সেরা সরকারি কলেজেরও খেতাবও অর্জন করেছে। রাজশাহী কলেজ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে তিনবার। শুধু পড়াশোনায় শ্রেষ্ঠ নয়; গাছপালা ঘেরা মনোরম পরিবেশ এবং লাল দেওয়ালের এই বৈচিত্র্যময় কলেজের অপরূপ সৌন্দর্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বাইরে থেকে আগত বিভিন্ন দর্শনার্থীদের মন জয় করে তুলেছে।

কলেজের মনোরম এই পরিবেশ ও সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হলো ফুলের বাগান। চেনা-অচেনা অসংখ্য গাছ-গাছালি এবং হরেক রকমের ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ক্যাম্পাসের আঙ্গিনা। চারপাশের সবুজ প্রকৃতি পাখির কলরব এবং রং বেরঙের ফুল দ্বারা সেজে উঠেছে তার অপার মহিমায়।


ফুল, সে তো এক প্রশান্তির প্রতীক। কখনো ভালোবাসার প্রতীক আবার কখনো বন্ধুত্বের প্রতীক। অনেকেই বলে থাকে কালো মানেই অশুভ আর শোক প্রকাশ। তবে অধিকাংশ ফুলপ্রেমী কালো ফুল দেখে শোক প্রকাশের পরিবর্তে বিমোহিত হয়ে পড়ে। ফুল মানে নিছকই সৌন্দর্যের বিষয়বস্তু নয় বরং তা ভালোলাগা, ভালোবাসার এক আবেগময় শব্দ। সৃষ্টিকর্তার অন্যতম সৃষ্টি ফুল যা আমাদের পৃথিবীকে আরো সুন্দর করে তুলেছে। প্রকৃতি তার সৌন্দর্য প্রকাশ করে ফুলের মাধ্যমে। ফুল তার নিজ সৌন্দর্য গুনে চারপাশের পরিবেশকে আরো প্রাণবন্ত করে তোলে।

হরেক রকমের ফুলের কারণেই দৃষ্টিনন্দিত হয়েছে দেশসেরা এই কলেজটি। শীতকালে গাছের পাতা ঝরে রিক্ততা সৃষ্টির মূহুর্তে রকমারি ফুল দিয়ে নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করেছে এই ক্যাম্পাসটি। এ যেনো এক অনন্য রূপ!

শীতের সকালে ক্যাম্পাসে ভাসতে থাকে মোহনীয় সব ফুলের সৌরভ। এই স্নিগ্ধ সকালের শিশির বিন্দুতে ভিজে লাল টকটকে রং ধারণ করেছে ডালিয়া। শিশির স্নাতে অপরুপ সাজে সজ্জিত হয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, ক্যালেণ্ডুলা, সুইট উইলিয়াম সহ হরেক রকমের ফুল। হিমেল হাওয়ায় সতেজ হয়ে উঠেছে যেন গাঁদাগুলোও। উঁচু ভবন থেকে দেখলে মনে হয় যেন মাটিতে বিছানো রয়েছে এক ফুলের গালিচা।


ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্বর, ভবন ও ফাঁকা জায়গাগুলোজুড়ে রয়েছে মোহনীয় সব ফুলের সৌন্দর্য। কলেজের প্রশাসন ভবনের পেছনে পুকুরপাড় সংলগ্ন রয়েছে একটি বাগান। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গোলাপ, গাঁদা, ডালিয়া, জিনিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, টাইম ফুল, ব্যাচেলরস বাটন, চাইনিজ ফ্রিঞ্জসহ হরেক রকমের ফুল। এ যেন এক নৈসর্গিক পুষ্পউদ্যান!

প্রতিদিনই প্রায় শত দর্শনার্থীর ভিড় জমে এই পুষ্পউদ্যানে। নৈসর্গিক এই পুষ্পউদ্যানের পাশেই পুকুরটিতে দেখা যায় পদ্ম ফুলের সমারোহ। শুধু পদ্ময় নয়; আরও দেখা যায় দূর্লভ লাল শাপলা। শাপলা-পদ্মের এই নিবিড় বন্ধন এই দেশসেরা কলেজ ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য দ্বিগুন বৃদ্ধি করেছে।

পদ্মা নার্সিং ইনস্টিটিউটের মরিয়ম শান্তা নামের এক শিক্ষার্থী এসেছিলেন এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। তিনি বলেন, আমি আজ প্রথম এই কলেজে ঘুরতে এসেছি। অন্যান্য স্কুল, কলেজেও আমি ফুলের গাছ দেখেছি কিন্তু একসাথে এতোগুলা ফুল কখনো দেখিনি। আর ফুল মানেই তো চোখের প্রশান্তি, মনের প্রশান্তি। আমার মনে হচ্ছে এখানে এসে সত্যিই আমি সেই প্রশান্তিটা পাচ্ছি। আমার অনেক ভালো লাগছে।


রাজশাহী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মাষ্টার্স শেষ পর্বের ছাত্র রিকো মাহমুদ বলেন, আমি এখানে এসেছি কয়েকমাস হলো মাত্র। কলেজ সময় ছাড়াও কখনো কখনো সকালে এমনকি বিকেলে ও ঘুরতে আসি। কারণ ক্যাম্পাসের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মনোরম পরিবেশ, নাম না জানা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-গাছালি, ফুল দেখে সত্যি মনটা ভালো হয়ে যায়। জানা-অজানা এতো শত ফুলের সৌন্দর্যে খুব প্রশান্তি অনুভব করি। ব্যাচেলরস বাটন, চাইনিজ ফ্রিঞ্জসহ এমন কয়েক ধরণের ফুলের সাথে এখানে এসে আমি পরিচিত হয়েছি।

ফুলের সৌন্দর্যের বিষয়ে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক বলেন, ফুল সৌন্দর্যের প্রতীক। কলেজের সৌন্দর্য বর্ধিত করার জন্যই রং-বেরং এর ফুল গাছ লাগানোর হয়েছে। আর শাপলা-পদ্ম আমাদের সকলের শৈশবকে মনে করিয়ে দেয়। ছোটবেলাকে ফিরে পাওয়ার জন্যই মূলত এই পদ্ম পুকুরের আয়োজন।

তিনি বলেন, দেশসেরা এই কলেজ একদিকে যেমন লাল ভবন, ভবনের উপরে আঁকা টেরাকোটা দিয়ে ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে, অন্যদিকে তেমনি হাজারো রকমারি ফুল দিয়ে কেঁড়ে নিয়েছে আগতো শত দর্শনার্থীর মন। কলেজটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সকলেই বিমোহিত হয় নিজ ক্যাম্পাস দেখে।

ঢাবির ছাত্রীদের পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখার নোটিশ স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরিচয় শনাক্তে সব ছাত্রীদের কান-মুখ খোলা রাখার নোটিশ স্থগিত করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া বাংলা বিভাগের এই নোটিশ কেন অবৈধ হবে না সে মর্মে রুলও জারি করেছেন উচ্চ আদালত।

এদিকে এ বিষয়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আদালতে রিটকারী আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঢাবির বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার নোটিশ আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্রীদের পক্ষে রিট দায়ের করা এ আইনজীবী জানান, কান ও মুখ খোলা রাখার বাধ্যবাধকতা ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিপন্থি। রিটে তা উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এতে বলা হয়, বালা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘এ নোটিশ যথাযথভাবে যারা পালন করবে না, তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 

;

রাবিতে স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবি, হল গেটে তালা



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাবিতে স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবি

রাবিতে স্বাধীনতা দিবসে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘বিশেষ খাবারের’ দাবিতে আন্দোলন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় হলের শিক্ষাথীরা এই আন্দোলন শুরু করলে হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এতে যোগ দিয়ে হল গেটে তালা দেয়। এসময় হলের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের জন্য বেশকিছু দাবিও জানায় তারা।

দাবিগুলো হলো- ডাইনিং ও ক্যান্টিনের খাবারের মান বৃদ্ধি করা, হলে ইফতারের ব্যবস্থা করা, ওয়াইফাইয়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা, মশা নিধনে ব্যবস্থা গ্রহণ, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহত ছাত্রদের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষ্যের অসহযোগীতামূলক আচরণের কারণ বর্ণনা, রিডিং রুমের পরিসর বাড়ানো, জিমনেশিয়াম চালু করা, গোসল খানায় ঝুড়ির ব্যবস্থা করা, টয়লেটে বদনার ব্যবস্থা করা, গেইমস রুম ও বিতর্ক পাঠশালা অন্যত্র স্থানান্তর করা, প্রত্যেক তলায় বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা ও নিয়মিত পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা দুপুরে হঠাৎ স্লোগান দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলামসহ আরও কিছু নেতাকর্মী তাদের সাথে যোগ দিয়ে হল গেটে তালা দেয়। এসময় হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীরা 'আমার খাবার গেলো কই, প্রশাসন জবাব চাই, 'আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে, মানতে হবে' বলে স্লোগান দিতে থাকে।

পরবর্তীতে হল প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম হলের সাধারণ শিক্ষার্থী, হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাকর্মী এবং ডাইনিং ও ক্যান্টিন কর্মচারীদের নিয়ে আলোচনায় বসে।

জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, হলের বিভিন্ন সমস্যাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের দাবিগুলোর যৌক্তিক মনে করে আমিও একাত্মতা প্রকাশ করেছি।

হল প্রাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বিশেষ খাবার দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করেছে সেটার ব্যাপারে আমরা প্রাধ্যক্ষ পরিষদ আগামী ২৭ তারিখ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া হলের ডাইনিং এবং ক্যান্টিনের কর্মচারীদের ডেকে খাবারের মান বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রমজান মাস উপলক্ষে ৩৫ টাকায় ডাইনিং এ খাবার দেওয়া হবে। এতে আগের থেকে ভালো খাবার খেতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ক্যান্টিনেও আগের থেকে উন্নতমানের খাবার খেতে পারবে।

;

নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এক আবাসিক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত শিক্ষার্থীর নাম আপরশি মারমা (২১)। সে সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ছিল এবং তার গ্রামের বাড়ি বান্দরবান জেলায়। পার্শ্ববর্তী আবদুস সালাম হলের ২১২ নম্বর রুমের বসবাস করত।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে, গতকাল সোমবার রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল আবাসিক হলের ছাদে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, রাত ১১টার দিকে মারমার ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশে খবর দেওয় হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। সে হলে রাতের খাবার খেতে যায়। সেখানে বন্ধুবান্ধব ও বড় ভাইদের সাথে তাকে হাসিখুশি দেখা যায়।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে এ ঘটনায় আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

আশ্বাসে অনশন ভাঙল কুবির শিক্ষার্থীরা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশ্বাসে অনশন ভাঙল কুবির শিক্ষার্থীরা

আশ্বাসে অনশন ভাঙল কুবির শিক্ষার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশাসনের আশ্বাসে সাড়ে ২৩ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির চার নেতা।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবির ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান নেতাকর্মীদের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভাঙান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অনশনকারী সালমান চৌধুরী বলেন, প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছে যে আমাদের দাবি দাওয়া তারা পূরণ করবে। সেই কারণেই আমরা অনশন ভেঙেছি। আমাদের দুই জনের (এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরী) ওপর যে বহিষ্কার আদেশ ছিলো সেটা সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আমরা এখন ক্লাস পরীক্ষা দিতে পারবো। তবে আমরা সেদিনই সন্তুষ্ট হবো যেদিন আমাদের পাঁচ দফা দাবির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, তারা যদি আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে আমি নিজেই পদত্যাগ করবো। তাদের যে দাবি দাওয়া ছিলো সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে বাস্তবায়ন করা হবে। এখন থেকে হলে সন্ধ্যাকালীন কোর্সের কেউ থাকতে পারবে না।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, এখন থেকে ক্যাম্পাসে অছাত্র কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সকলকেই আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হবে। দুজন শিক্ষার্থীকে যে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল তা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গঠন করে সিন্ডিকেটে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া প্রক্টরের বিরুদ্ধে যে মৌখিক অভিযোগ এনেছিলো তারা সে ব্যাপারে যদি কোন প্রমাণ নিয়ে আসে তাহলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।

এর আগে, গত ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এক মসজিদের সামনে মারধরের শিকার হন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ ও একই হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমান চৌধুরী। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান করে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে দেড় ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন মারধরের বিচারের দাবিতে। এরপর গত ৯ মার্চ ও ১৪ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে ছয়দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। সর্বশেষ গত ১৯ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়ে একই দিন বিকাল চারটায় অনশনে বসে।

উল্লেখ্য, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মীরা পাঁচ দফা দাবি আদায়ে নানা কর্মসূচি পালন করে। পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- প্রক্টরের পদত্যাগ, হামলাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আইনি পরামর্শক নিয়োগ করতে হবে। একই সঙ্গে অছাত্র, বহিরাগত ও একাধিক মামলার আসামিদের হলে ওঠা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর (এনায়েত উল্লাহ ও সালমান চৌধুরী) সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল স্তরের স্টেকহোল্ডারদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদান।

;