মাড়িয়ার মৃত্যু নিয়ে উত্তাল শেকৃবি



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দশ তলা আবাসিক হল থেকে লাফ দিয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী মাড়িয়া রহমানকে নিয়ে উত্তাল শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি)।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জুম্মার নামাজের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসার সামনে একত্রিত হয়।

এসময় তারা মাড়িয়ার মৃত্যুর যথার্থ কারণ উদঘাটন, যথার্থ চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কারণ, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন ও শিক্ষার্থীবান্ধব পড়ালেখা পদ্ধতি চালুকরণ এবং শিক্ষকদের অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা প্রয়োগ বন্ধসহ বেশ কয়েকদফা দাবি নিয়ে একত্রিত হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলনের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালের এক শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। আরেক শিক্ষকের আচরণও এরকম ছিল। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু কার্যক্রম এমন হতে পারে না। আমরা এগুলো বন্ধ চাই। তবে সহনশীল অনেক শিক্ষকও ছিলেন, আমাদের কথা যারা শুনেছেন ধৈর্য সহকারে, সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাড়িয়া রহমান নামের এক শিক্ষার্থী একাডেমিক বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মাহত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, অসুস্থতা জনিত কারণে ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। পরবর্তীতে ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আশ্বস্ত হতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। হতাশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে শেখ হাসিনা আবাসিক হলের ১০ তলা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এবং এক সপ্তাহ পরে মারা যায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে মানসিক সমস্যার কারণে মাড়িয়া আত্মহত্যা করে এবং প্রশাসনের কাছে শর্ট টেম্পারসহ মাড়িয়ার বেশ কিছু মানসিক সমস্যার বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে বলে দাবি করে।

এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, এমন অনেক কিছু হয়তো ছিল যেগুলো করা যেত আবার এমন অনেক কিছু ছিল হয়তো করা উচিত ছিল না। মাড়িয়া মারা গেছে এটাই সত্য। তোমাদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি তোমাদের দাবির সাথে একমত। আমরাও বুজতে পেরেছি আমাদের মধ্যেও অনেক গলদ ছিল, আছে। আমি তোমাদের দাবিগুলো উপাচার্যের কাছে বলব। আর পরীক্ষার হলে তোমরা না আসলে আমরা পরীক্ষা নেব না।

পরবর্তীতে সন্ধ্যার পরে শিক্ষার্থীরা আবার একত্রিত হয় এবং স্বাধীনতা চত্বরের সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন।

ববির প্রশ্নে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’



ববি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নকে ঘিরে এই সমালোচনা শুরু হয়। তবে প্রশ্নকারী শিক্ষক দাবি করছেন, প্রশ্নের প্রসঙ্গ না বুঝে অনেকেই সমালোচনা করছেন।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‌‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ব্রিটিশ হেজিমনি’র আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করতে বলা হয়।

তারা বলছেন, ‘হেজিমনি’ বোঝানোর জন্য সিনেমার এই ডায়ালগ বেছে নেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই শব্দগুলো সাধারণত মানুষ নেতিবাচক আলোচনায় তুলে আনে। অন্য অনেক উদাহরণ ছিল যা দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেত।

প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক, ববির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, এই প্রশ্নে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে নেতিবাচক কিছু নেই। এটি কোড, আনকোড। যাদের পড়িয়েছি আমি, সেখানে টেক্সট-ডকুমেন্ট দেওয়া আছে। যারা ‘‘হেজিমনি’ পড়েছে তারা কোনো সমালোচনা করবে না। হয়তো বা যারা জানেন না তারা সমালোচনা করছেন। বিট্রিশ রাজরা কীভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে ‘হেজিমনি’কে প্রতিষ্ঠা করেছে তার সঙ্গে এই লাইনটি যথার্থ উদাহরণ এবং এখনো প্রত্যেক জায়গায় ‘হেজিমনি’ রয়েছে। এমনকি প্রশ্নপত্র নিয়ে যেটি হচ্ছে সেটিও ‘হেজিমনি’র বর্হিপ্রকাশ।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের বিভাগীয় প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, কেন এমন শব্দ প্রশ্নপত্রে ব্যবহার করা হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা যিনি প্রশ্নটি করেছেন তিনি বলতে পারবেন। আমি আশা করি তার সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। তারপরও এমন শব্দ ব্যবহারে আমি নিজেও বিব্রতবোধ করছি।

;

রাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রাবাস থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তানভীর ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার স্টুডেন্ট পয়েন্ট ছাত্রাবাস থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত তানভীর ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নীলফামারী জেলার সদর থানার কাঞ্চন পাড়ার আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কক্ষে দরজা বন্ধ করে অবস্থান করছিলেন তানভীর। রাতে বাড়ি থেকে যোগাযোগ করতে না পেরে তার বাবা মেস মালিককে খোঁজ নিতে বলেন। তখন দরজায় কড়া নেড়ে কোন সাড়া পাননি তিনি। পরে জানালা দিয়ে তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পান তিনি। মৃত্যুর আগে একটা চিরকুটও রেখে গেছেন এই শিক্ষার্থী। চিরকুটে লেখা অনুযায়ী তিনি মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলাও হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ডাক্তারী ও পুলিশি প্রক্রিয়া শেষে আজ (শুক্রবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে মরদেহটি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ দাফনের উদ্দেশ্য তার কিছু সহপাঠীও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে নীলফামারীতে গেছে।

;

কংক্রিটের আস্তরণে শেকৃবির সবুজের সমারোহ ম্রিয়মাণ



সিফাতুল্লাহ আমিন, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ৮৭ একরের নির্মল সুন্দর একটি ক্যাম্পাস শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকে ঢাকার মধ্যে অবস্থিত সবুজ গ্রাম বলতেও পছন্দ করেন। তবে সবুজের সেই সমারোহ ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার পথে। সভ্যতার পালাবদলে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করতে গিয়ে সবুজের গ্রামীণ নির্মল পরিবেশ আজ অট্টালিকা দালান আর রৌদ্রের তীব্রতায় যেন অনেকটায় ম্রিয়মাণ।

সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে পরিবর্তন অনিবার্য। আর সেই পরিবর্তন ও সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্য নিয়েই পুরোনো গাছ কেটে নতুন গাছ লাগানো, পুরোনো ভবন ভেঙ্গে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু সবুজ নির্মল একটা ক্যাম্পাসে যখন হঠাৎ রৌদ্রের তীব্রতায় পথ চলা অসহায় হয়ে যায়, মনে হয় মরুভূমির মধ্যে একে বেকে চলা কোনো রাস্তা তখন কিছুটা হলেও বিরক্তবোধ জেগে ওঠে ক্যাম্পাসের মানুষদের। 

সৌন্দর্য বর্ধনের প্রকল্প নিয়ে বার্তা২৪ এর সঙ্গে কথা বলেছেন শেকৃবি ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,'আমাদের সবুজ শেকৃবি আজ সবুজ বিহীন। যখন ক্যাম্পাসে প্রথম এসেছিলাম তখন এই ক্যাম্পাসের গাছপালা আর প্রকৃতি সব থেকে বেশি আকর্ষণ করেছিল। দিন পরিবর্তন হয়েছে। ক্যাম্পাস হয়েছে অনেক সুন্দর। রাস্তা গুলো পাকা হয়েছে, নতুন সব ভবন হয়েছে।সুন্দর শহীদ মিনার, ভিন্ন ডিজাইনের ভাস্কর্য আর বিশাল টিএসসি সবই আমাদের পরিবর্তনের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আর এই পরিবর্তনের সব থেকে বড় প্রমাণ ক্যাম্পাসের বড় গাছগুলো দিনে দিনে কমে যাওয়া। রৌদ্রের তীব্রতায় এখন ক্যাম্পাসে হেঁটে চলা আর মরুভূমির রাজ্য ঘুরে বেড়ানো একই অনুভূতি। কংক্রিটের টবে ক্যাম্পাস জুড়ে গাছ লাগানো প্রশংসিত হলেও এই সৌন্দর্য রাতের ক্যাম্পাসকেই সুন্দর করে তুলে। দিনের বেলা এখন শুধু আকাশে সূর্য আর আশেপাশে পাশে দালানের সমারোহই চোখে বাধে। ক্যাম্পাসের কিছু অংশে অবশিষ্ট কিছু গাছের বিসর্জনের মাধ্যমেই হয়তো আমাদের ক্যাম্পাস সৌন্দর্যে পরিপূর্ণতা লাভ করবে।'

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি জানি না আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরেও সবুজকে সংরক্ষণের বিষয়ে ও ক্যাম্পাসকে সবুজ করার বিষয়ে কতটা দায়িত্ববান। অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, ক্যাম্পাসকে সুন্দর করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু পনেরো বছর বিশ বছর বয়সী গাছ গুলোকে রেখে কি এই পরিকল্পনা করা যেত না। আজকের রোপণ করা গাছগুলো আগের গাছ গুলোর অবস্থানে যেতে কত বছর লাগবে একটু ভেবে দেখুন।ক্যাম্পাসে রোদ উঠলে হাটতে বের হওয়া যায় না।ক্যাম্পাসের উন্নতিকরণ করা হোক। আমরা সবাই ক্যাম্পাসকে সুন্দর অবস্থানে দেখতে চাই, কিন্তু সবুজ এই প্রকৃতিকে ধ্বংস করে যেন সেই তথাকথিত সৌন্দর্য বর্ধন যেন না করা হয়।


অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শেখ কামাল অনুষদে ক্লাস করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা অনুভব করতে পারে রাস্তার দু’ধারে থাকা গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা। সৌন্দর্য বর্ধন করতে নাকি এই গাছ গুলো অনেক আগেই কাটা হয়েছিল। সৌন্দর্য কতটুকু প্রকাশিত হয়েছে তা বুঝতে ব্যর্থ হলেও প্রচন্ড রোধের তীব্রতায় গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা সকল শিক্ষার্থীরা অনুভব করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন,আমাদের ক্যাম্পাসে ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ সঠিক পরিকল্পনা করতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সুন্দর সব কাজগুলোও অসুন্দর হয়ে যায়।

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিল করোনা কালীন সময়ের আগে। শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। এখন কিন্তু কোনো গাছ কাটা হচ্ছে না বা হবেও না। তবে তখনকার সেই গাছগুলো কাটার পেছনে কারণ ছিল। অপরিকল্পিতভাবে সারি সারি দেবদারু গাছ ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক কাজ করা হয় নি বলেই আমাদেরকে গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।ক্যাম্পাসে এখন প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন জায়গা উন্মুক্তকরণ, কংক্রিটের টবে গাছ লাগানোসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পরবর্তীতে আর গাছ কাটা হবে কিনা এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসের আর একটা গাছও এখন কাটা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ক্যাম্পাসে গাছ কাটার প্রচলন শুরু হয়েছে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার আগে। তবে অনিয়মিত ও অপরিকল্পিতভাবে লাগানো গাছ গুলোই কাটা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও পরিকল্পিত পদ্ধতিতে গাছ লাগানোর প্রয়োজন ছিল যা এর আগে হয়নি বলেই গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।তবে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ঝুকিপূর্ণ কয়েকটি গাছ যেগুলো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল এবং জায়গা উন্মুক্তকরণে কিছু গাছ কাটা হয়েছে।এগুলো ব্যতীত আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়া অবস্থায় গাছ কাটা হয়নি। একজন উপাচার্য ব্যতীত ক্যাম্পাসের একজন হিসেবে প্রিয় এ ক্যাম্পাসকে আমিও সবুজ দেখতে চাই। সবুজের নির্মলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা কিন্তু নতুন করে গাছ লাগিয়েছি এক হাজারেও বেশি।

;

প্রথমবারের মতো জাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড চালু, পাচ্ছেন ৫ শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিষ্ঠার অর্ধশত বছর পর প্রথমবারের মতো ৫ টি অনুষদের অধীন ২০১৫ -১৬ সেশনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের (৪৫ ব্যাচ) স্নাতক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ফলাফল (সিজিপিএ) ধারীদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে অবস্থিত কলা ও মানবিকী অনুষদের ডীনের কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন ও ডিনস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক।

ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ প্রাপ্তরা হলেন - কলা ও মানবিকী অনুষদ থেকে চারুকলা বিভাগের রুবাইয়াত ইবনে নবী (সিজিপিএ ৩.৯৮), সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে অর্থনীতি বিভাগের ফারাহ নাসরিন (সিজিপিএ ৩.৯৮), জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অনুজ ভৌমিক পিয়াস (৩.৯৮), বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) মো. আতা-ই-রাব্বি (সিজিপিএ ৩.৯৫) , গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ থেকে পরিসংখ্যান বিভাগের মোছা. নিলুফার ইয়াসমিন (সিজিপিএ ৩.৯৪)।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক  ড. মো. মোজাম্মেল হক আরও  বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ডীনস অ্যাওয়ার্ড চালু করা। অনেকদিন পর হলেও আমরা ডীনস অ্যাওয়ার্ড চালু করতে পেরেছি৷ আমাদের ডীনস কমিটির দীর্ঘ আট মাসের আলোচনা-পর্যালোচনার পর আমরা  ২০১৫-১৬ সেশনের চূড়ান্ত ফলাফলের উপর অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল দেয়া হবে৷'

আগামী ৭ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের  সেমিনার কক্ষে অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের মেডেল প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।  এতে অ্যাওয়ার্ড বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ট্রাস্টি ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন উপস্থিত থাকবেন।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. নুহু আলম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা।

প্রসঙ্গত, ডিনস অ্যাওয়ার্ডের নীতিমালা অনুযায়ী ৩.৭৫ এর কম সিজিধারী কেও  অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হবেন না। তাই এ বছর  আইন অনুষদের কোন শিক্ষার্থীর সিজিপিএ নীতিমালায় অনুযায়ী সমান বা উর্ধ্বে না থাকায় আইন অনুষদ থেকে ডিনস অ্যাওয়ার্ডের জন্য কাউকে মনোনীত করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আইন অনুষদের ডিনের সাথে আলোচনা করে আগামী বছর থেকে নতুন নীতিমালা আসতে পারে বলে জানান ডিন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক  ড. মো. মোজাম্মেল হক।

;