মাড়িয়ার মৃত্যু নিয়ে উত্তাল শেকৃবি

  • শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

দশ তলা আবাসিক হল থেকে লাফ দিয়ে মারা যাওয়া শিক্ষার্থী মাড়িয়া রহমানকে নিয়ে উত্তাল শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি)।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জুম্মার নামাজের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসার সামনে একত্রিত হয়।

বিজ্ঞাপন

এসময় তারা মাড়িয়ার মৃত্যুর যথার্থ কারণ উদঘাটন, যথার্থ চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কারণ, পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন ও শিক্ষার্থীবান্ধব পড়ালেখা পদ্ধতি চালুকরণ এবং শিক্ষকদের অনিয়ন্ত্রিত ক্ষমতা প্রয়োগ বন্ধসহ বেশ কয়েকদফা দাবি নিয়ে একত্রিত হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি না মানা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আন্দোলনের একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালের এক শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। আরেক শিক্ষকের আচরণও এরকম ছিল। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু কার্যক্রম এমন হতে পারে না। আমরা এগুলো বন্ধ চাই। তবে সহনশীল অনেক শিক্ষকও ছিলেন, আমাদের কথা যারা শুনেছেন ধৈর্য সহকারে, সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

বিজ্ঞাপন

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাড়িয়া রহমান নামের এক শিক্ষার্থী একাডেমিক বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মাহত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, অসুস্থতা জনিত কারণে ক্লাসে উপস্থিতি কম থাকায় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। পরবর্তীতে ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আশ্বস্ত হতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। হতাশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে শেখ হাসিনা আবাসিক হলের ১০ তলা ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এবং এক সপ্তাহ পরে মারা যায়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মতে মানসিক সমস্যার কারণে মাড়িয়া আত্মহত্যা করে এবং প্রশাসনের কাছে শর্ট টেম্পারসহ মাড়িয়ার বেশ কিছু মানসিক সমস্যার বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে বলে দাবি করে।

এ বিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, এমন অনেক কিছু হয়তো ছিল যেগুলো করা যেত আবার এমন অনেক কিছু ছিল হয়তো করা উচিত ছিল না। মাড়িয়া মারা গেছে এটাই সত্য। তোমাদের দাবিগুলো শুনেছি। আমি তোমাদের দাবির সাথে একমত। আমরাও বুজতে পেরেছি আমাদের মধ্যেও অনেক গলদ ছিল, আছে। আমি তোমাদের দাবিগুলো উপাচার্যের কাছে বলব। আর পরীক্ষার হলে তোমরা না আসলে আমরা পরীক্ষা নেব না।

পরবর্তীতে সন্ধ্যার পরে শিক্ষার্থীরা আবার একত্রিত হয় এবং স্বাধীনতা চত্বরের সামনে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন।