রাবির ভর্তিযুদ্ধ শুরু সোমবার



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী সোমবার থেকে অনুষ্ঠিত হবে। এ, বি ও সি এই তিন ইউনিটে আয়োজিত এই ভর্তি পরীক্ষা চলবে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার (২৭ মে) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ভর্তি পরীক্ষার নিয়মাবলী, কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা, প্রক্সি জালিয়াতি রোধে নিরাপত্তাসহ শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের আবাসন ব্যবস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নানা উদ্যোগের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য।

থাকছে কোটাসহ ৪ হাজার ৪৬৭ টি আসন

এবারে কোটাসহ ৪ হাজার ৪৬৭ টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় বসবে মোট ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫৯১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পুরুষ আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৩৮ টি এবং নারী আবেদনকারীর সংখ্যা ৭৭ হাজার ৭৫৩ টি। এবার একক আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮১৬ টি। পরীক্ষার জন্য ‘এ’ ইউনিটে ৭২ হাজার ৬৫ জন, ‘বি’ ইউনিটে ৩০ হাজার ৬৭৫ জন এবং ‘সি’ ইউনিটে ৭৫ হাজার ৮৫১ টি চূড়ান্ত আবেদন সম্পন্ন করেছে। যার মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদভুক্ত ২৭ টি বিভাগসহ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ‘বি’ ইউনিটে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদভুক্ত ৬ টি বিভাগ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট এবং ‘সি’ ইউনিটে বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল , জীববিজ্ঞান ও ভূ - বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ২৬ টি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত আছে ।

পরীক্ষার ১ ঘণ্টা আগে খুলে দেয়া হবে ভবনের গেট

এবারে পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা ভবনের গেট ও ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষের প্রবেশগেট খুলে দেয়া হবে। ৮০ টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ১০০ নম্বরের এই ভর্তি পরীক্ষা এক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে। এতে চারটি ভুল উত্তরের জন্য ১ নম্বর কাটা হবে। পরীক্ষা চলাকালে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কক্ষের বাইরে যেতে পারবে না এবং পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ও ক্যালকুলেটরসহ মেমোরিযুক্ত অন্য কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না।

জালিয়াতি রোধে থাকবে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা

ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি রোধে অসাধুচক্রের সদস্যদের তাৎক্ষণিক শাস্তি বিধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ও শান্তি - শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাবি উপাচার্য বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বচ্ছ। এখানে কোনো ধরনের জালিয়াতি বা কারসাজির সুযোগ নেই। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইন- শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সজাগ আছে। এ বিষয়ে ভর্তি-পরীক্ষা কমিটি ও উপ-কমিটিসমূহ, ইউনিটভিত্তিক কমিটিসমূহ, পুলিশ প্রশাসন নিয়ন্ত্রিত আইন-শৃংঙ্খলা বিষয়ক কমিটিসমূহ, র‌্যাব ও সকল গোয়েন্দা সংস্থা, প্রক্টর দপ্তর, ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর, জনসংযোগ দপ্তর, আইসিটি সেন্টার, পরিবহণ দপ্তর এবং হল প্রশাসন নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে চলেছে ।

ভর্তির সামগ্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে অনলাইনে

ভর্তি সামগ্রিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক নিবন্ধন থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ, বিষয় ও হল নির্বাচন, মাইগ্রেশনসহ সামগ্রিক প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হবে। এতে করে দ্রুত, স্বচ্ছ ও নির্ভুল ফল প্রকাশ করা এবং সর্বোপরি জাল-জালিয়াতি ও কারসাজি রোধ করা সম্ভব হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিশেষজ্ঞগণ সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।

থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন প্রক্টর কর্তৃক ক্যাম্পাসে ও সংলগ্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু থাকবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করে আহ্বানপত্র প্রচার করা হয়েছে। প্রক্টর অফিস মেস-মালিক সংগঠনের সাথে আলোচনা করেছে। তারা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছে। ইতোমধ্যে রাসিক মেয়রের নেতৃত্বে রাজশাহীর সুধীজন, সাংস্কৃতিক কর্মী, শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, মেস মালিক, পরিবহণ মালিক সমিতি এবং অটোরিক্সা মালিক-শ্রমিক সমিতির সাথেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মতবিনিময় করেছে।

চিকিৎসা সহায়তায় থাকবে ছয় অ্যাম্বুলেন্স

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ভর্তি-পরীক্ষা চলাকালে রাবি চিকিৎসাকেন্দ্র পরিচালিত একটি মেডিকেল টিম কাজ করবে এবং সার্বক্ষণিকভাবে ৪ টি অ্যাম্বুলেন্সও থাকবে। এছাড়াও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পরিচালিত ২ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম এবং ২ টি অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়াও বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জারগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ১১টি হেল্পডেস্কের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহযোগিতা প্রদান করবে। এসব হেল্পডেস্কে পানির ব্যবস্থাও থাকবে।

থাকবে ১১ টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্ট

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ১১ টি ওয়াটারপ্রুফ টেন্টসহ শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ( টিএসসিসি ) অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি টেন্টে অভিভাবকদের বসার জন্য ২০০ টি করে চেয়ার থাকবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণভাবে ব্যবহারের জন্য ১২ টি স্থানে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা থাকবে।

ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখতে কাজ করবে ১৩০ স্বেচ্ছাসেবী

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসের পরিস্কার-পরিছন্ন রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিছন্নতাকর্মী এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ১৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সকল ধরনের প্রচারণামূলক লিফলেট বিতরণ নিষিদ্ধ থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কোনো প্রকার বুথ স্থাপন করা যাবে না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলে বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত ডাস্টবিনে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্রের কয়েক কপি আনার নির্দেশ

শনিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্রের কয়েকটি করে কপি সঙ্গে আনতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি নিজ দায়িত্বে রাখতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য ক্লাব, সমিতি ও সংগঠনগুলো পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করবে বলে জানানো হয়েছে।

থাকবে শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের থাকার ব্যবস্থা

এদিকের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষ্যে পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন আবাসিক হলে সীমিত আকারে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নারী অভিভাবকদের অবস্থানের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম ৯০ নম্বর বাসায় সীমিত ব্যবস্থা করা হয়েছে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

ক্যাম্পাসে যান চলাচলে মানতে হবে কয়েক নির্দেশনা

সংবাদ সম্মেলনে যান চলাচল নিয়ে উপাচার্য বলেন, ২৯ থেকে ৩১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো শহরের নির্ধারিত স্থান থেকে সকাল সোয়া ৭টায় ক্যাম্পাস অভিমুখে ছেড়ে আসবে এবং ২৯ ও ৩০ মে ক্যাম্পাস থেকে বিলে সোয়া ৫টায় এবং ৩১ মে বেলা পৌনে ৩টায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাবে। সকাল ৮ টার পর ক্যাম্পাসে কোনো প্রকার ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন কাজলা ও বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করে মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। কৃষি ও চারুকলা অনুষদে যাওয়ার ক্ষেত্রে মন্নুজান হল -বেগম খালেদা জিয়া হল - স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন - তুঁত বাগান সংলগ্ন রাস্তাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে, শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা সকল রাস্তা ব্যবহার করতে পারবে।

এছাড়াও, সকাল ৮ টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনমুখী সংযোগ সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল এবং অটোরিক্সাসহ কোনো প্রকার যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। তবে পরীক্ষা সংক্রান্ত ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত গাড়িসমূহ এই নির্দেশের আওতামুক্ত থাকবে। ২৯ থেকে ৩১ মে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ তাদের ব্যক্তিগত গাড়িসমূহ সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে সাবাস বাংলাদেশ মাঠে পার্কি করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমপাড়া আবাসিক এলাকায় বসবাসরতদের ভর্তি পরীক্ষার দিনগুলোতে সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবাসিক এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কাজলা গেট ব্যবহার করবেন এবং বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্যারিস রোড হয়ে মেইন গেট এবং রোকেয়া হলের পেছনের রাস্তা (ফ্লাইওভার সংলগ্ন) ব্যবহার করতে পারবেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডেসহ তিন ইউনিটের সমন্বয়ক, অন্যান্য অনুষদ অধিকর্তাবৃন্দ, ছাত্র-উপদেষ্টা, প্রক্টর, পরিবহণ প্রশাসক, হল প্রাধ্যক্ষ, ভর্তি উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ববির প্রশ্নে ‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’



ববি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নকে ঘিরে এই সমালোচনা শুরু হয়। তবে প্রশ্নকারী শিক্ষক দাবি করছেন, প্রশ্নের প্রসঙ্গ না বুঝে অনেকেই সমালোচনা করছেন।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সে প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ‌‘শয়তান দেহ পাবি, মন পাবি না’ এবং ‘শয়তান দেহ পাবি, চিন্তা পাবি না’ ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ব্রিটিশ হেজিমনি’র আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করতে বলা হয়।

তারা বলছেন, ‘হেজিমনি’ বোঝানোর জন্য সিনেমার এই ডায়ালগ বেছে নেওয়াটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই শব্দগুলো সাধারণত মানুষ নেতিবাচক আলোচনায় তুলে আনে। অন্য অনেক উদাহরণ ছিল যা দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করা যেত।

প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষক, ববির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান সোহাগ বলেন, এই প্রশ্নে আমি কোনো সমস্যা দেখছি না। এখানে নেতিবাচক কিছু নেই। এটি কোড, আনকোড। যাদের পড়িয়েছি আমি, সেখানে টেক্সট-ডকুমেন্ট দেওয়া আছে। যারা ‘‘হেজিমনি’ পড়েছে তারা কোনো সমালোচনা করবে না। হয়তো বা যারা জানেন না তারা সমালোচনা করছেন। বিট্রিশ রাজরা কীভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে ‘হেজিমনি’কে প্রতিষ্ঠা করেছে তার সঙ্গে এই লাইনটি যথার্থ উদাহরণ এবং এখনো প্রত্যেক জায়গায় ‘হেজিমনি’ রয়েছে। এমনকি প্রশ্নপত্র নিয়ে যেটি হচ্ছে সেটিও ‘হেজিমনি’র বর্হিপ্রকাশ।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের বিভাগীয় প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, কেন এমন শব্দ প্রশ্নপত্রে ব্যবহার করা হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা যিনি প্রশ্নটি করেছেন তিনি বলতে পারবেন। আমি আশা করি তার সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে। তারপরও এমন শব্দ ব্যবহারে আমি নিজেও বিব্রতবোধ করছি।

;

রাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রাবাস থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তানভীর ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার স্টুডেন্ট পয়েন্ট ছাত্রাবাস থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত তানভীর ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নীলফামারী জেলার সদর থানার কাঞ্চন পাড়ার আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে কক্ষে দরজা বন্ধ করে অবস্থান করছিলেন তানভীর। রাতে বাড়ি থেকে যোগাযোগ করতে না পেরে তার বাবা মেস মালিককে খোঁজ নিতে বলেন। তখন দরজায় কড়া নেড়ে কোন সাড়া পাননি তিনি। পরে জানালা দিয়ে তাকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পান তিনি। মৃত্যুর আগে একটা চিরকুটও রেখে গেছেন এই শিক্ষার্থী। চিরকুটে লেখা অনুযায়ী তিনি মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলাও হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, ডাক্তারী ও পুলিশি প্রক্রিয়া শেষে আজ (শুক্রবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে মরদেহটি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশ দাফনের উদ্দেশ্য তার কিছু সহপাঠীও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে নীলফামারীতে গেছে।

;

কংক্রিটের আস্তরণে শেকৃবির সবুজের সমারোহ ম্রিয়মাণ



সিফাতুল্লাহ আমিন, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ৮৭ একরের নির্মল সুন্দর একটি ক্যাম্পাস শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকে ঢাকার মধ্যে অবস্থিত সবুজ গ্রাম বলতেও পছন্দ করেন। তবে সবুজের সেই সমারোহ ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার পথে। সভ্যতার পালাবদলে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করতে গিয়ে সবুজের গ্রামীণ নির্মল পরিবেশ আজ অট্টালিকা দালান আর রৌদ্রের তীব্রতায় যেন অনেকটায় ম্রিয়মাণ।

সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে পরিবর্তন অনিবার্য। আর সেই পরিবর্তন ও সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্য নিয়েই পুরোনো গাছ কেটে নতুন গাছ লাগানো, পুরোনো ভবন ভেঙ্গে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু সবুজ নির্মল একটা ক্যাম্পাসে যখন হঠাৎ রৌদ্রের তীব্রতায় পথ চলা অসহায় হয়ে যায়, মনে হয় মরুভূমির মধ্যে একে বেকে চলা কোনো রাস্তা তখন কিছুটা হলেও বিরক্তবোধ জেগে ওঠে ক্যাম্পাসের মানুষদের। 

সৌন্দর্য বর্ধনের প্রকল্প নিয়ে বার্তা২৪ এর সঙ্গে কথা বলেছেন শেকৃবি ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,'আমাদের সবুজ শেকৃবি আজ সবুজ বিহীন। যখন ক্যাম্পাসে প্রথম এসেছিলাম তখন এই ক্যাম্পাসের গাছপালা আর প্রকৃতি সব থেকে বেশি আকর্ষণ করেছিল। দিন পরিবর্তন হয়েছে। ক্যাম্পাস হয়েছে অনেক সুন্দর। রাস্তা গুলো পাকা হয়েছে, নতুন সব ভবন হয়েছে।সুন্দর শহীদ মিনার, ভিন্ন ডিজাইনের ভাস্কর্য আর বিশাল টিএসসি সবই আমাদের পরিবর্তনের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আর এই পরিবর্তনের সব থেকে বড় প্রমাণ ক্যাম্পাসের বড় গাছগুলো দিনে দিনে কমে যাওয়া। রৌদ্রের তীব্রতায় এখন ক্যাম্পাসে হেঁটে চলা আর মরুভূমির রাজ্য ঘুরে বেড়ানো একই অনুভূতি। কংক্রিটের টবে ক্যাম্পাস জুড়ে গাছ লাগানো প্রশংসিত হলেও এই সৌন্দর্য রাতের ক্যাম্পাসকেই সুন্দর করে তুলে। দিনের বেলা এখন শুধু আকাশে সূর্য আর আশেপাশে পাশে দালানের সমারোহই চোখে বাধে। ক্যাম্পাসের কিছু অংশে অবশিষ্ট কিছু গাছের বিসর্জনের মাধ্যমেই হয়তো আমাদের ক্যাম্পাস সৌন্দর্যে পরিপূর্ণতা লাভ করবে।'

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি জানি না আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরেও সবুজকে সংরক্ষণের বিষয়ে ও ক্যাম্পাসকে সবুজ করার বিষয়ে কতটা দায়িত্ববান। অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, ক্যাম্পাসকে সুন্দর করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু পনেরো বছর বিশ বছর বয়সী গাছ গুলোকে রেখে কি এই পরিকল্পনা করা যেত না। আজকের রোপণ করা গাছগুলো আগের গাছ গুলোর অবস্থানে যেতে কত বছর লাগবে একটু ভেবে দেখুন।ক্যাম্পাসে রোদ উঠলে হাটতে বের হওয়া যায় না।ক্যাম্পাসের উন্নতিকরণ করা হোক। আমরা সবাই ক্যাম্পাসকে সুন্দর অবস্থানে দেখতে চাই, কিন্তু সবুজ এই প্রকৃতিকে ধ্বংস করে যেন সেই তথাকথিত সৌন্দর্য বর্ধন যেন না করা হয়।


অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শেখ কামাল অনুষদে ক্লাস করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা অনুভব করতে পারে রাস্তার দু’ধারে থাকা গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা। সৌন্দর্য বর্ধন করতে নাকি এই গাছ গুলো অনেক আগেই কাটা হয়েছিল। সৌন্দর্য কতটুকু প্রকাশিত হয়েছে তা বুঝতে ব্যর্থ হলেও প্রচন্ড রোধের তীব্রতায় গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা সকল শিক্ষার্থীরা অনুভব করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন,আমাদের ক্যাম্পাসে ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ সঠিক পরিকল্পনা করতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সুন্দর সব কাজগুলোও অসুন্দর হয়ে যায়।

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিল করোনা কালীন সময়ের আগে। শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। এখন কিন্তু কোনো গাছ কাটা হচ্ছে না বা হবেও না। তবে তখনকার সেই গাছগুলো কাটার পেছনে কারণ ছিল। অপরিকল্পিতভাবে সারি সারি দেবদারু গাছ ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক কাজ করা হয় নি বলেই আমাদেরকে গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।ক্যাম্পাসে এখন প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন জায়গা উন্মুক্তকরণ, কংক্রিটের টবে গাছ লাগানোসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পরবর্তীতে আর গাছ কাটা হবে কিনা এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসের আর একটা গাছও এখন কাটা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ক্যাম্পাসে গাছ কাটার প্রচলন শুরু হয়েছে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার আগে। তবে অনিয়মিত ও অপরিকল্পিতভাবে লাগানো গাছ গুলোই কাটা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও পরিকল্পিত পদ্ধতিতে গাছ লাগানোর প্রয়োজন ছিল যা এর আগে হয়নি বলেই গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।তবে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ঝুকিপূর্ণ কয়েকটি গাছ যেগুলো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল এবং জায়গা উন্মুক্তকরণে কিছু গাছ কাটা হয়েছে।এগুলো ব্যতীত আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়া অবস্থায় গাছ কাটা হয়নি। একজন উপাচার্য ব্যতীত ক্যাম্পাসের একজন হিসেবে প্রিয় এ ক্যাম্পাসকে আমিও সবুজ দেখতে চাই। সবুজের নির্মলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা কিন্তু নতুন করে গাছ লাগিয়েছি এক হাজারেও বেশি।

;

প্রথমবারের মতো জাবিতে ডিনস অ্যাওয়ার্ড চালু, পাচ্ছেন ৫ শিক্ষার্থী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিষ্ঠার অর্ধশত বছর পর প্রথমবারের মতো ৫ টি অনুষদের অধীন ২০১৫ -১৬ সেশনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের (৪৫ ব্যাচ) স্নাতক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ফলাফল (সিজিপিএ) ধারীদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবনে অবস্থিত কলা ও মানবিকী অনুষদের ডীনের কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন ও ডিনস কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক।

ডিনস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ প্রাপ্তরা হলেন - কলা ও মানবিকী অনুষদ থেকে চারুকলা বিভাগের রুবাইয়াত ইবনে নবী (সিজিপিএ ৩.৯৮), সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে অর্থনীতি বিভাগের ফারাহ নাসরিন (সিজিপিএ ৩.৯৮), জীববিজ্ঞান অনুষদ থেকে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অনুজ ভৌমিক পিয়াস (৩.৯৮), বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) মো. আতা-ই-রাব্বি (সিজিপিএ ৩.৯৫) , গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ থেকে পরিসংখ্যান বিভাগের মোছা. নিলুফার ইয়াসমিন (সিজিপিএ ৩.৯৪)।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক  ড. মো. মোজাম্মেল হক আরও  বলেন, 'শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ডীনস অ্যাওয়ার্ড চালু করা। অনেকদিন পর হলেও আমরা ডীনস অ্যাওয়ার্ড চালু করতে পেরেছি৷ আমাদের ডীনস কমিটির দীর্ঘ আট মাসের আলোচনা-পর্যালোচনার পর আমরা  ২০১৫-১৬ সেশনের চূড়ান্ত ফলাফলের উপর অ্যাওয়ার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল দেয়া হবে৷'

আগামী ৭ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের  সেমিনার কক্ষে অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের মেডেল প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।  এতে অ্যাওয়ার্ড বক্তা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ট্রাস্টি ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন উপস্থিত থাকবেন।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মো. নুহু আলম, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা।

প্রসঙ্গত, ডিনস অ্যাওয়ার্ডের নীতিমালা অনুযায়ী ৩.৭৫ এর কম সিজিধারী কেও  অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হবেন না। তাই এ বছর  আইন অনুষদের কোন শিক্ষার্থীর সিজিপিএ নীতিমালায় অনুযায়ী সমান বা উর্ধ্বে না থাকায় আইন অনুষদ থেকে ডিনস অ্যাওয়ার্ডের জন্য কাউকে মনোনীত করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে আইন অনুষদের ডিনের সাথে আলোচনা করে আগামী বছর থেকে নতুন নীতিমালা আসতে পারে বলে জানান ডিন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক  ড. মো. মোজাম্মেল হক।

;