কংক্রিটের আস্তরণে শেকৃবির সবুজের সমারোহ ম্রিয়মাণ



সিফাতুল্লাহ আমিন, শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ৮৭ একরের নির্মল সুন্দর একটি ক্যাম্পাস শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকে ঢাকার মধ্যে অবস্থিত সবুজ গ্রাম বলতেও পছন্দ করেন। তবে সবুজের সেই সমারোহ ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা হারিয়ে যাওয়ার পথে। সভ্যতার পালাবদলে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সৌন্দর্য বর্ধন করতে গিয়ে সবুজের গ্রামীণ নির্মল পরিবেশ আজ অট্টালিকা দালান আর রৌদ্রের তীব্রতায় যেন অনেকটায় ম্রিয়মাণ।

সভ্যতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে পরিবর্তন অনিবার্য। আর সেই পরিবর্তন ও সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্য নিয়েই পুরোনো গাছ কেটে নতুন গাছ লাগানো, পুরোনো ভবন ভেঙ্গে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। কিন্তু সবুজ নির্মল একটা ক্যাম্পাসে যখন হঠাৎ রৌদ্রের তীব্রতায় পথ চলা অসহায় হয়ে যায়, মনে হয় মরুভূমির মধ্যে একে বেকে চলা কোনো রাস্তা তখন কিছুটা হলেও বিরক্তবোধ জেগে ওঠে ক্যাম্পাসের মানুষদের। 

সৌন্দর্য বর্ধনের প্রকল্প নিয়ে বার্তা২৪ এর সঙ্গে কথা বলেছেন শেকৃবি ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থী।

কৃষি অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,'আমাদের সবুজ শেকৃবি আজ সবুজ বিহীন। যখন ক্যাম্পাসে প্রথম এসেছিলাম তখন এই ক্যাম্পাসের গাছপালা আর প্রকৃতি সব থেকে বেশি আকর্ষণ করেছিল। দিন পরিবর্তন হয়েছে। ক্যাম্পাস হয়েছে অনেক সুন্দর। রাস্তা গুলো পাকা হয়েছে, নতুন সব ভবন হয়েছে।সুন্দর শহীদ মিনার, ভিন্ন ডিজাইনের ভাস্কর্য আর বিশাল টিএসসি সবই আমাদের পরিবর্তনের সুস্পষ্ট প্রমাণ। আর এই পরিবর্তনের সব থেকে বড় প্রমাণ ক্যাম্পাসের বড় গাছগুলো দিনে দিনে কমে যাওয়া। রৌদ্রের তীব্রতায় এখন ক্যাম্পাসে হেঁটে চলা আর মরুভূমির রাজ্য ঘুরে বেড়ানো একই অনুভূতি। কংক্রিটের টবে ক্যাম্পাস জুড়ে গাছ লাগানো প্রশংসিত হলেও এই সৌন্দর্য রাতের ক্যাম্পাসকেই সুন্দর করে তুলে। দিনের বেলা এখন শুধু আকাশে সূর্য আর আশেপাশে পাশে দালানের সমারোহই চোখে বাধে। ক্যাম্পাসের কিছু অংশে অবশিষ্ট কিছু গাছের বিসর্জনের মাধ্যমেই হয়তো আমাদের ক্যাম্পাস সৌন্দর্যে পরিপূর্ণতা লাভ করবে।'

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি জানি না আমরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরেও সবুজকে সংরক্ষণের বিষয়ে ও ক্যাম্পাসকে সবুজ করার বিষয়ে কতটা দায়িত্ববান। অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, ক্যাম্পাসকে সুন্দর করার জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু পনেরো বছর বিশ বছর বয়সী গাছ গুলোকে রেখে কি এই পরিকল্পনা করা যেত না। আজকের রোপণ করা গাছগুলো আগের গাছ গুলোর অবস্থানে যেতে কত বছর লাগবে একটু ভেবে দেখুন।ক্যাম্পাসে রোদ উঠলে হাটতে বের হওয়া যায় না।ক্যাম্পাসের উন্নতিকরণ করা হোক। আমরা সবাই ক্যাম্পাসকে সুন্দর অবস্থানে দেখতে চাই, কিন্তু সবুজ এই প্রকৃতিকে ধ্বংস করে যেন সেই তথাকথিত সৌন্দর্য বর্ধন যেন না করা হয়।


অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শেখ কামাল অনুষদে ক্লাস করতে যাওয়া শিক্ষার্থীরা অনুভব করতে পারে রাস্তার দু’ধারে থাকা গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা। সৌন্দর্য বর্ধন করতে নাকি এই গাছ গুলো অনেক আগেই কাটা হয়েছিল। সৌন্দর্য কতটুকু প্রকাশিত হয়েছে তা বুঝতে ব্যর্থ হলেও প্রচন্ড রোধের তীব্রতায় গাছ গুলোর প্রয়োজনীয়তা সকল শিক্ষার্থীরা অনুভব করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন,আমাদের ক্যাম্পাসে ইন্জিনিয়ারিং বিভাগ সঠিক পরিকল্পনা করতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়। আর সঠিক পরিকল্পনার অভাবে সুন্দর সব কাজগুলোও অসুন্দর হয়ে যায়।

সৌন্দর্য বর্ধন কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বেশ কিছু গাছ কাটা হয়েছিল করোনা কালীন সময়ের আগে। শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়েছিল। এখন কিন্তু কোনো গাছ কাটা হচ্ছে না বা হবেও না। তবে তখনকার সেই গাছগুলো কাটার পেছনে কারণ ছিল। অপরিকল্পিতভাবে সারি সারি দেবদারু গাছ ক্যাম্পাসে লাগানো হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক কাজ করা হয় নি বলেই আমাদেরকে গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।ক্যাম্পাসে এখন প্রচুর গাছ লাগানো হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিভিন্ন জায়গা উন্মুক্তকরণ, কংক্রিটের টবে গাছ লাগানোসহ বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পরবর্তীতে আর গাছ কাটা হবে কিনা এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসের আর একটা গাছও এখন কাটা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ক্যাম্পাসে গাছ কাটার প্রচলন শুরু হয়েছে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার আগে। তবে অনিয়মিত ও অপরিকল্পিতভাবে লাগানো গাছ গুলোই কাটা হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নিয়মতান্ত্রিক ও পরিকল্পিত পদ্ধতিতে গাছ লাগানোর প্রয়োজন ছিল যা এর আগে হয়নি বলেই গাছগুলো কাটতে হয়েছিল।তবে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পরে ঝুকিপূর্ণ কয়েকটি গাছ যেগুলো ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল এবং জায়গা উন্মুক্তকরণে কিছু গাছ কাটা হয়েছে।এগুলো ব্যতীত আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়া অবস্থায় গাছ কাটা হয়নি। একজন উপাচার্য ব্যতীত ক্যাম্পাসের একজন হিসেবে প্রিয় এ ক্যাম্পাসকে আমিও সবুজ দেখতে চাই। সবুজের নির্মলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আমরা কিন্তু নতুন করে গাছ লাগিয়েছি এক হাজারেও বেশি।

   

ছাত্র ফ্রন্টের সমাবেশ ও নতুন কমিটি পরিচিতি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার অধিকার আদায়ের সংগ্রাম ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার দাবিতে ছাত্র ফ্রন্টের ছাত্র সমাবেশ-মিছিল ও কমিটি পরিচিতি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা পাদদেশে শিক্ষা দিবসের ছাত্র সমাবেশ-মিছিল ও কমিটি পরিচিতি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ। আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবু সাঈদ খান, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও এই রাষ্ট্র তার ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সবার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার বদলে টাকা যার শিক্ষা-স্বাস্থ্য তার এই নীতিতে পরিচালিত হয়েছে দেশ। শিক্ষার সংকট বহুগুণে বেড়েছে। তাই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে আইয়ুব সরকারের যে শিক্ষা সংকোচন নীতি এদেশের ছাত্রসমাজ প্রতিহত করেছিল, তারই ‘প্রেতাত্মা’ সওয়ার হয়েছে স্বাধীন দেশের শাসকশ্রেণির উপর। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনের চেতনাকে পদদলিত করা হয়েছে। শরীফ কমিশন প্রণীত শিক্ষানীতি আর স্বাধীনতাত্তোর দেশে প্রণীত সবকটি শিক্ষানীতির অন্তর্গত মৌলচরিত্র এক ও অভিন্ন। নতুন মোড়কে হাজির করা হয়েছে শিক্ষার বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি। সর্বজনীন বিজ্ঞানভিত্তিক সেক্যুলার বৈষম্যহীন একই ধারার গণতান্ত্রিক শিক্ষার দাবি উপেক্ষিত। শিক্ষার প্রধান ধারাই এখন বেসরকারি ধারা। বর্তমানে দেশের মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯৫ ভাগই বেসরকারি। শিক্ষার মর্মবস্তুকে ধ্বংস করে সিলেবাসে যুক্ত করা হয়েছে সাম্প্রদায়িক ধ্যান-ধারনা। জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ কমছে প্রতিবছর। এ বছর শিক্ষাখাতে মোট বাজেটের মাত্র ১১.৫৭ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন। শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে নানান পরীক্ষা-নীরিক্ষা। সম্প্রতি ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২০’ এর প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কারিকুলামে বিজ্ঞান শিক্ষাকে সংকুচিত করা হয়েছে, শিক্ষাকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে কারিগরিকরণের দিকে। পাঠদান ও পরীক্ষাপদ্ধতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তা চমকপ্রদ হলেও অবকাঠামোসহ শিক্ষাব্যবস্থার খোলনলচে বদল ব্যতীত এটির প্রয়োগ নতুন করে শুধু জটিলতাই তৈরি করবে। নতুন পদ্ধতির সাপেক্ষে দক্ষ শিক্ষক গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। বছরের শুরুতে ভুলে ভরা নিম্ন মানের পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে। এ যেন শিক্ষা আর শিক্ষার্থীদের প্রতি শাসকশ্রেণির নির্মম পরিহাস। প্রতিটি শিক্ষা উপকরণের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তার সাথে যুক্ত আছে বর্ধিত বেতন ফি। এই ক্রমবর্ধমান শিক্ষা ব্যয়ের ফলে সৃষ্ট আর্থিক সংকটে ঝরে পড়ছে দেশের বিশাল অংশের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকারের অনুগামী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকার আয়োজন চলছে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলিতে বজায় আছে সরকারি ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব। শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচিতে নেয়া হচ্ছে। কেউ ভিন্ন মত পোষণ করলে গেস্টরুমে নির্যাতন, মারধোর, হল থেকে বের করে দেয়া সারাদেশের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তার সাথে যুক্ত আছে প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র। ন্যূনতম গণতান্ত্রিক চর্চা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন আর পরিলক্ষিত হয় না। দীর্ঘদিন ধরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন হয় না। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ, শিক্ষা সংকোচন, ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টকরণসহ শিক্ষার উপর শাসকশ্রেণির সর্বগ্রাসী আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।

ছাত্র সমাবেশ শেষে আগামীর ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী হিসাবে মুক্তা বাড়ৈকে সভাপতি ও রায়হান উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৮ সদস্যের ২০তম নতুন কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ।

নতুন কমিটির তালিকা, সভাপতি-মুক্তা বাড়ৈ, সহ-সভাপতি-সুস্মিতা মরিয়ম, সাধারণ সম্পাদক-রায়হান উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক-সুহাইল আহমেদ শুভ, দপ্তর সম্পাদক-অনিক কুমার দাস, অর্থ সম্পাদক-সুলতানা আক্তার, প্রচার ও প্রকাশনাসম্পাদক-হারুনু-অর-রশিদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক-রিনা মুর্মু, স্কুল সম্পাদক-বিশ্বজিৎ নন্দী।

সদস্য-যুগেশ ত্রিপুরা, ধনঞ্জয় বর্মণ, লাবনী সুলতানা, আনারুল ইসলাম, বিজয় শিকদার, ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ, রিদম শাহরিয়ার, খালেদা আক্তার, মিরাজ উদ্দিন। 

উল্লেখ্য, নতুন কমিটি ছাত্র সমাবেশে আগামী দিনের শিক্ষার অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে পাশাপাশি সমাজ পরিবর্তনের পরিপূরক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

 

;

জবি থেকে সহকারী জজ পদে ১১ শিক্ষার্থী



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম ঢাকা
জবি থেকে সহকারী জজ পদে ১১ শিক্ষার্থী

জবি থেকে সহকারী জজ পদে ১১ শিক্ষার্থী

  • Font increase
  • Font Decrease

সহকারী জজ পদে ধারাবাহিক সফলতা ধরে রেখেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ষোড়শ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় (বিজেএস) সহকারী জজ পদে মনোনীত হয়েছেন আইন বিভাগের ১১ শিক্ষার্থী।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ এম রেজা জাকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে ফলাফল জানা যায়। প্রকাশিত ফলাফলে মোট ১০৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে জবির আইন বিভাগের ১১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ ও মনোনীত হয়েছেন।

উত্তীর্ণরা হলেন, ২০১১-১২ সেশনের রাকেশ হোসেন সুজন, অমল কুমার দাস, সোহেল আহমেদ ও এডভোকেট সুমন হোসেন, ২০১২-১৩ সেশনের জ্যৌতি মুস্তারি, ২০১৫-১৬ সেশনের মোহাম্মদ হোসেন জেমি, আমিনুল ইসলাম খান, ২০১৬-১৭ সেশনের ফাতেমা জামান চৈতি, ২০১৭-১৮ সেশনের সাজ্জাতুল সবুজ, মিনারা জাহান ও আবির ঘোষ হৃদয়।

আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের এমন ধারাবাহিক সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ জুড়ে খুশির আমেজ বিরাজ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সরকার আলী আককাস বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে পড়াশোনা করছে৷ সে হিসেবে এই সাফল্য নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থা হলে তারা আরও ভালো করবে। কারণ তখন তারা আরও সুযোগ-সুবিধা পাবে৷ শিক্ষার্থীদের সফলতার মাত্রা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সুযোগ সুবিধা না পাওয়া স্বত্তেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এমন অর্জন অবশ্যই গর্বের বিষয়। এক্ষেত্রে আইন বিভাগের শিক্ষকদেরও সমান অবদান রয়েছে৷ শিক্ষকরা যত্ন নিয়েছেন বলেই শিক্ষার্থীরা সফল।’

;

কুবির শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গুজব বিষয়ক সচেতনতা সেমিনার



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে পার্শ্ববর্তী সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে গুজব বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ও সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সিসিএন ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। । 

এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম। রিসোর্স পার্সন হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন রিউমার স্ক্যানারের সিনিয়র ফ্যাক্টচেকার রিদওয়ানুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে রিদওয়ানুল ইসলাম মিথ্যা সংবাদ, গুজবের ধরণ, গুজব কীভাবে ছড়ায় এবং তা কীভাবে শনাক্ত করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করেন। পাশাপাশি সহজে কিছু টুলস ব্যবহার করে কীভাবে কোনো তথ্য, ছবি বা ভিডিও ক্রসচেক করা যায় সে সম্পর্কেও ধারণা দেন তিনি।

সেমিনারের প্রধান বক্তা কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, আমরা যে যেই বিষয়েই পড়াশোনা করি না কেন, আমাদের জীবনে তথ্যের গুরুত্ব অনেক বেশি৷ আমরা বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করেই চলি। এই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে কোনো তথ্য আমাদের সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই যেকোনো তথ্যকেই আমাদের অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে দেখতে হবে। তাহলেই সত্য তথ্য আমরা জেনে নিতে পারব।

সেমিনারের শেষ পর্যায়ে প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমিও কয়েকদিন আগে একটা ভিডিওতে দেখেছিলাম নদীতে সারি সারি মানুষের লাশ ভেসে যাচ্ছে৷ মানুষ হায় হায় করছে কমেন্টে৷ পরে আবার দেখা গেল সেগুলো আসলে পলিথিন ছিল। অথচ অনেকেই বিষয়টা সেভাবে দেখে না। আমি কুবির এই শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই এমন একটা ক্যাম্পেইন আমাদের প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করার জন্য। ভবিষ্যতে আরো সেমিনার বা ক্যাম্পেইন করতে চাইলে আমরা সাদরে অভ্যর্থনা জানাব।

প্রসঙ্গত, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা 'পাবলিক রিলেশনস' কোর্সের অংশ হিসেবে 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন' পরিচালনা করছেন৷ ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে কুমিল্লা জেলার কোটবাড়িতে অবস্থিত 'সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়' এবং 'সিসিএন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট' এর শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি সেমিনার পরিচালনা করেন তারা।

;

ঢাবিতে 'বুদ্ধ ভাবাদর্শের মূর্ত প্রকাশ স্বামী বিবেকানন্দ' শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তআ২৪.কম

ছবি: বার্তআ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট হেরিটেজ এন্ড কালচারের উদ্যোগে 'বুদ্ধ ভাবাদর্শের মূর্ত প্রকাশ স্বামী বিবেকানন্দ' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

সেন্টার ফর বুদ্ধিস্ট হেরিটেজ এন্ড কালচারের পরিচালক অধ্যাপক ড. বিমান চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মিল্টন কুমার দেব। এসময় সেমিনারে আয়োজিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চাঁদপুরের রামকৃষ্ণ আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী স্থিরাত্মানন্দ মহারাজ ও পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া।

প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তা গৌতম বুদ্ধ এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারক স্বামী বিবেকানন্দ দুটি ভিন্ন সময়ে জন্মগ্রহণ করলেও তাঁদের মানবতাবাদী কাজের ধরণ ছিল একই। তাঁরা দুজনই মানব সেবার জয়গান করেছেন। 

এসময় এধরণের সেমিনারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মূল্যবোধকে দৃঢ় করবে এবং তাদের মধ্যে মানবপ্রেমকে জাগ্রত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

;