নিয়ন্ত্রণে শেকৃবি'র আগুন, উৎস নিয়ে ধোঁয়াশা

  • শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়ন্ত্রণে শেকৃবি'র আগুন

নিয়ন্ত্রণে শেকৃবি'র আগুন

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার বিভাগে আগুন লাগার প্রায় দেড় ঘণ্টার পর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার বিভাগ সংলগ্ন একটি রুমে আগুন লাগে। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টায় ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিজ্ঞাপন

ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্রই উপস্থিত হয়ে দেখি আগুন সূত্রপাতের রুম থেকে পাশের রুমে ছড়িয়েছে। আমাদের ২টি ইউনিট এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনে। এখানে মূলত কাঠের আসবাবপত্র থাকায় আগুনের মাত্রা তীব্র হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) মুনির আহমেদ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ফার্নিচারগুলো ডটস নামক কোম্পানি থেকে নেওয়া হয়েছে। তারা এখানে একটা রুমে ফার্নিচার এনে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে পৌঁছে দেন। গত ৩ মাস যাবৎ তারা এখানে আছেন।

বিজ্ঞাপন

কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটর মো মাহবুব বলেন, আমি একটা প্রজেক্টে এখানে কোম্পানির সামগ্রী ডিস্ট্রিবিউট করছি। তবে প্রজেক্ট সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য তিনি দিতে ব্যর্থ হন। এছাড়াও কোম্পানির দায়িত্বশীল কারো ফোন নম্বর চাইলে তিনি নম্বর দিলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তবে আগুনের উৎস নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা। আসবাবপত্রের রুমের ডটস কোম্পানির দায়িত্বশীল মো ইয়ানুর বলেন, রাত ৯টার সময় তিনি খেতে যান। তখন ঘটনাস্থালে কেউ ছিলো না। তবে এর কিছুক্ষণ আগে লাইট জ্বালানো নিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তিনজনের। কয়েল বা সিগারেটের আগুন কি না প্রশ্নে তিনি জানান, আমি ধুমপান করি না এবং কোম্পানি থেকে এই রুমে কয়েল জ্বালানো নিষেধ। তবে আজ তার এক সহকর্মী ডেঙ্গু আক্রান্তের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সহকর্মীর ডেঙ্গু আশঙ্কায় ইয়ানুর কয়েল জ্বালিয়ে বাইরে চলে গেছেন বলেও ধারণা করছেন অনকে।

এ ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা এসে দেখি আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। এটা যেহেতু সরকারি সম্পত্তি, এ বিষয়ে দ্রুতই তদন্ত কমিটি গঠন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

আগুনে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের স্নাতক শ্রেণির একটি প্র‍্যাকটিকাল ক্লাসরুমও পুড়ে যায়।