জবি শিক্ষার্থীদের বাসে কমিটি গঠন ও সিট দখলে নতুন আইন



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের বাসে কমিটি গঠন ও সিট দখলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীরা কে কোথায় বসবে তার জন্য নির্দিষ্ট আসনও ঘোষণা করা হয়েছে।

রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. সিদ্ধার্থ ভৌমিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী বহনকারী নিজস্ব সিলভার (রুপালী) রং-এর সকল একতলা বাসের সামনের দ্বিতীয় সারি হতে পঞ্চম সারি পর্যন্ত দুই পাশের সকল আসন ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। অন্যান্য সকল আসন ছাত্রদের জন্য। বিআরটিসি হতে ভাড়াকৃত লাল রং-এর দ্বিতল বাসের নিচের তলায় ছাত্রীরা অবস্থান করবে ও উপর তলায় ছাত্ররা অবস্থান করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বই, খাতা, ব্যাগ বা রুমাল রেখে কনো আসন দখল করা যাবে না। আগে আসলে আগে বসা সাপেক্ষে বাসে কো্নো সিনিয়র-জুনিয়র ব্যবধানে বসা বা দাঁড়ানো যাবে না। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বাসে কোনো কমিটি গঠন করা যাবে না।

এ বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, এই সিদ্ধান্তটি আসলেই প্রয়োজন ছিল। আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো ধরণের র‍্যাগ না থাকলেও বাসে এ সমস্যা কিছুটা দেখা যায়। বিশেষ করে নবাগত জুনিয়ররা এর সম্মুখীন হতো। আসা করি এখন ক্যাম্পাসের সাথে সাথে বাসও শতভাগ র‍্যাগমুক্ত হবে।

   

চবিতে ছাত্রলীগের তুমুল সংঘর্ষ থামার পর হলে তল্লাশি, আটক ৫



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চবিতে ছাত্রলীগের তুমুল সংঘর্ষ থামার পর হলে তল্লাশি, আটক ৫

চবিতে ছাত্রলীগের তুমুল সংঘর্ষ থামার পর হলে তল্লাশি, আটক ৫

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের কয়েকটি উপপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে দুটি উপপক্ষের সংঘর্ষে ছয় ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছিলেন। এর রেশ ধরে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতেও সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুটি। এর মধ্যে নতুন করে আরও দুটি উপপক্ষ সংঘর্ষ জড়ালে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। দুই দফায় হওয়া এই সংঘর্ষ থামার পর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দুটি হলে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচজনকে আটকসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে প্রক্টরিয়াল বডি।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭ টায় চারটি উপপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত চুজ ফ্রেন্ড উয়িথ কেয়ার (সিএফসি) একাংশ ও যুগ্ম সম্পাদক মো. ইলিয়াসের অনুসারী বিজয় গ্রুপ। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে রেজাউলকে মারধর করে দৌড়ানি দেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

অন্যদিকে শাহ জালাল হলের সামনে বৃহস্পতিবারের ঘটনার রেশ ধরে সংঘর্ষে জড়ায় সহসভাপতি সাদাফ খানের অনুসারী সিএফসির একাংশ ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারী সিক্সটি নাইন গ্রুপ। দুটি পক্ষ শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের চারজন আহত হন।

সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষগুলোর মধ্যে সিএফসি ও বিজয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্যদিকে সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা-কর্মীরা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীনের পেছনে রাজনীতি করেন।

এদিকে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসার পর রাত ১০টায় প্রক্টরিয়াল বডির নেতৃত্বে শাহ জালাল ও শাহ আমানত হলে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ঘণ্টাব্যাপী দুটি হলে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় শাহ আমানত হল থেকে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা সবাই বহিরাগত বলে জানা গেছে।

অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে দুটি হলে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার। তিনি বলেন, দুটি হল থেকে বেশকিছু লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্টাম্প ও দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। আবার যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

;

ঢাবির হলগুলোতে জলাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাবির হলগুলোতে জলাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে

ঢাবির হলগুলোতে জলাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল গুলোতে। নানা রকম ভোগান্তিতে পড়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে টানা বৃষ্টির ফলে ঢাবির বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল, শাহ নেওয়াজ ছাত্র হোস্টেল, ড.মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের নিচ তলায় পানি উঠতে থাকে।

জানা যায়, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের অবস্থা অত্যাধিক শোচনীয়। বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হওয়ায় রাত ১২টা থেকে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় সময় পার করছেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগের দিনেও হল প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কুয়েত মৈত্রী হলে বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন সময় হল সংস্কারের নামে টাইল্স লাগানো হয় আর কোন সংস্কার আমাদের চোখে পরে নি। রাত থেকেই হলের ভেতরে পানি প্রবেশ শুরু হয়। রাত ১১টায় হলের নিচতলার গণরুমগুলোতে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে ওপরের তলায় বন্ধু বা সিনিয়রদের রুমে অবস্থান নেন। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছি না। হল গেটে রিকশা দাঁড়িয়ে আছে এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিং যেতে ২০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এদিকে দুপুর হয়ে গেছে এখন খাওয়ার পানির সংকট দেখা যাচ্ছে।

ওয়াজিহা জাহান জুঁই নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্টে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কুয়েত মৈত্রী হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে নিচতলা ডুবে গেছে। পানি সিঁড়ির নিচ পর্যন্ত চলে এসেছে। গণরুমে পানি ঢুকে গেছে। হলের মুদি দোকানের ফ্রিজে পানি ঢুকে ব্লাস্ট করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ। এ সময় তিনি গণরুমের শিক্ষার্থীদের তার নিজের রুমে আসার অনুরোধ করেন।

ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম জানান, "এক্সটেনশন ২" ভবনের নিচতলায় বারান্দা ও রুমে পানি উঠেছিলো যার কারণে ছাত্রদের পানি পরিস্কার করে রুমে থাকতে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনেক এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত রোড, শাহনেওয়াজ হোস্টেল, নিউমার্কেট এলাকায় কোমর পর্যন্ত পানি লক্ষ্য করা গেছে।

সার্বিক পরিস্থিতি জানতে হলের প্রাধ্যক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের ফোন দেওয়া হলে তারা ফোন ধরেন নি।

;

বিনামূল্যে আহসান মঞ্জিল প্রবেশের সুবিধা পাবে জবি শিক্ষার্থীরা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আহসান মঞ্জিল

আহসান মঞ্জিল

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান আহসান মঞ্জিলে বিনামূল্যে পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে এক্ষেত্রে মানতে হবে বেশকিছু নিয়মনীতি। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আহসান মঞ্জিল জাদুঘর সংরক্ষক ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক সাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়। 

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, আহসান মঞ্জিল জাদুঘরটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার উৎসাহ প্রদানের জন্য জাদুঘর কতৃপক্ষ বিশেষ কিছু নিয়ম অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যাবস্থা রেখেছেন। 

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাম করে দলে দলে শিক্ষার্থী এসে কোনো প্রকারে পরিচয় বা সুপারিশ পত্র ছাড়াই জোর করে প্রবেশ করতে চান। এতে জাদুঘরের নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দিলে তাদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। এতে করে জাদুঘর ও ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। 

 

বিনামূল্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র হিসেবে সাথে রাখতে হবে নিজ প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড। ক্ষেত্র বিশেষ যে প্রতিষ্ঠানে/বিভাগে অধ্যায়ন করেন তার লেটারহেড প্যাডে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর সংরক্ষক বরাবর বিনামূল্যে প্রবেশের জন্য অনুরোধ পত্র পাঠাতে হবে। অনুরোধ পত্রে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ব্যাতীত অনুরোধপত্র সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীরা আহসান মঞ্জিল বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। 

সর্বশেষে জাদুঘর সংরক্ষক ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক বলেন, যেকো্নো ধরণের আপত্তিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য উপরে উল্লেখিত নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে আহসান মঞ্জিল প্রবেশের সুবিধা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হলো।

;

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক' পেলেন প্রয়াত বেবি মওদুদ



ঢাবি করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির' উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর শান্তি ও মুক্তির দর্শনে অসামান্য অবদানের জন্য প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়েছে। এবার এ পদকটি পেয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক এবং রাজনীতিবিদ প্রয়াত বেবী মওদুদ। 

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ পদক দেয়া হয়।

পদকটি গ্রহণ করেন বেবি মওদুদের জ্যেষ্ঠ পুত্র রবিউল হাসান অভী। পদক গ্রহণ করার পর তিনি বলেন, মা আজকে বেঁচে থাকলে হয়তো সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। তিনি যেখানেই আছেন আমার ধারণা এ পুরস্কার পেয়ে তিনি নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন। এ পদকটি দেওয়ার জন্য মাননীয় উপাচার্য ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বেবি আপা (বেবি মওদুদ) সারা জীবন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সেই শান্তির চেতনার মূল্যবোধই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লালন করে। যারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদেরকে এ পদকের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। প্রথমবারের মত এ পদক দেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এমন একজন মানুষকে তাঁরা মনোনিত করেছেন যিনি সারাজীবন নীরবেই এমনভাবে কাজ করেছেন যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রকাশ পায়।

তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ৬ বছর পর প্রবাস থেকে পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য দেশে আসেন তখন তাঁর পাশে ছায়ার মত ছিলেন বেবি আপা। বঙ্গবন্ধুর লেখাগুলো যে আমরা পেয়েছি তার মধ্যে বেবি আপার অবদান অসামান্য। বঙ্গবন্ধু কন্যার লেখক হয়ে উঠার পেছনেও বেবি আপার অবদান রয়েছে। কারণ তাঁর ভাবনাগুলো যখনই তিনি বেবি আপাকে বলতেন তিনি বলতেন লিখে ছাপানোর কথা। এজন্যই হয়তো আজ আমরা লেখক হিসেবেও শেখ হাসিনাকে পেয়েছি।

আয়োজক কমিটির কাছে অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, মরণোত্তর পুরস্কার দু’বছর পর দেয়া আর পাঁচ বছর পর দেয়া একই কথা। তাই যাঁরা বেঁচে আছেন তাদেরকে হয়তো এ বছর পদক না দিলে আগামী বছর মরণোত্তর পদক দিতে হবে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টা বিবেচনায় রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি (বেবি মওদুদ) যে অসামান্য কাজ করেছেন সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ১৯৭৫ সালেই এ পদকটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে এসে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

তিনি পদকের ব্যাপারে বলেন, এ পদক দেয়ার বিবেচনায় যে মৌলিক উপাদানগুলোতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা হলো তাঁর অসামান্য অবদান। বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও শান্তির ব্যাপারটা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এজন্যই আমরা তাঁকে পদক দেওয়ার জন্য বিবেচনা করেছি এবং সিলেকশন কমিটি তাঁকে পদক দিয়েছেন। এজন্য সিলেকশন কমিটিকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

;