জাবিতে 'মানবতার স্পর্শ ফাউন্ডেশনের' ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মানবতার স্পর্শ ফাউন্ডেশন

মানবতার স্পর্শ ফাউন্ডেশন

  • Font increase
  • Font Decrease

হাঁটি হাঁটি পা পা করে তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করল মানবতার স্পর্শ ফাউন্ডেশন। 

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

"হাসি মুখে দুঃখ ভুলে মানবতার মহৎ কাজে" এই স্লোগানকে কেন্দ্র করে এগিয়ে যাচ্ছে মানবতার স্পর্শ ফাউন্ডেশন। বিগত বছরগুলোতে এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ফ্রি ব্লাড ক্যাম্পেইন ও মেডিকেল ক্যাম্পেইন এর আয়োজন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা, গান, নাচ ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে সেচ্ছাসেবী সংগঠনটি।

শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মধ্যে "আমার টাকায় পড়বে আমার সহপাঠী" প্রজেক্ট এর পাশাপাশি অচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য এককালীন সহয়তা প্রদান প্রজেক্ট নিয়েও কাজ চলমান রয়েছে। 

বিগত বছরের কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে সক্রিয় কর্মী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মাহিদ রহমান ও সাদমান তানিম। এ সময় তাঁদের হাতে সম্মানসূচক ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাব্বির আহমেদ, পিএস। তিনি বলেন, মানবিক ও স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে নিজের সদিচ্ছা। এই কাজ কেউ কাউকে জোর করে করাতে পারে না। নিজ থেকে এই কাজের প্রতি আগ্রহ থাকতে হবে। তবেই মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা যাবে। নিঃস্বার্থ ভাবে অন্যের উপকারের যাবে। 

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্যাক্স হিল ওপেন স্কাউট গ্রুপের গ্রুপ সম্পাদক ও উডব্যাজার জনাব মামুন খান, ঢাকা বিভাগীয় সিনিয়র রোভার মেট প্রতিনিধি জনাব এম আবির হাসান, বাঁধন এর কেন্দ্রীয় পরিষদের দপ্তর সম্পাদক জনাব মাহবুবার রহমান ও ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডের এরিয়া অপারেশন ম্যানেজার জনাব আহসান হাবীব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আমাদের ফাউন্ডেশনের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

   

ঢাবির হলগুলোতে জলাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাবির হলগুলোতে জলাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে

ঢাবির হলগুলোতে জলাবদ্ধতা, শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হল গুলোতে। নানা রকম ভোগান্তিতে পড়েছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে টানা বৃষ্টির ফলে ঢাবির বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল, শাহ নেওয়াজ ছাত্র হোস্টেল, ড.মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের নিচ তলায় পানি উঠতে থাকে।

জানা যায়, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের অবস্থা অত্যাধিক শোচনীয়। বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হওয়ায় রাত ১২টা থেকে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় সময় পার করছেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগের দিনেও হল প্রশাসনকে শিক্ষার্থীদের পাশে না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

কুয়েত মৈত্রী হলে বসবাসরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন সময় হল সংস্কারের নামে টাইল্স লাগানো হয় আর কোন সংস্কার আমাদের চোখে পরে নি। রাত থেকেই হলের ভেতরে পানি প্রবেশ শুরু হয়। রাত ১১টায় হলের নিচতলার গণরুমগুলোতে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে ওপরের তলায় বন্ধু বা সিনিয়রদের রুমে অবস্থান নেন। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন থাকায় ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছি না। হল গেটে রিকশা দাঁড়িয়ে আছে এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিং যেতে ২০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এদিকে দুপুর হয়ে গেছে এখন খাওয়ার পানির সংকট দেখা যাচ্ছে।

ওয়াজিহা জাহান জুঁই নামের এক শিক্ষার্থী ফেসবুক পোস্টে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কুয়েত মৈত্রী হলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে নিচতলা ডুবে গেছে। পানি সিঁড়ির নিচ পর্যন্ত চলে এসেছে। গণরুমে পানি ঢুকে গেছে। হলের মুদি দোকানের ফ্রিজে পানি ঢুকে ব্লাস্ট করে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ। এ সময় তিনি গণরুমের শিক্ষার্থীদের তার নিজের রুমে আসার অনুরোধ করেন।

ড.মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম জানান, "এক্সটেনশন ২" ভবনের নিচতলায় বারান্দা ও রুমে পানি উঠেছিলো যার কারণে ছাত্রদের পানি পরিস্কার করে রুমে থাকতে হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনেক এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। ভিসি চত্বর থেকে নীলক্ষেত রোড, শাহনেওয়াজ হোস্টেল, নিউমার্কেট এলাকায় কোমর পর্যন্ত পানি লক্ষ্য করা গেছে।

সার্বিক পরিস্থিতি জানতে হলের প্রাধ্যক্ষ ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের ফোন দেওয়া হলে তারা ফোন ধরেন নি।

;

বিনামূল্যে আহসান মঞ্জিল প্রবেশের সুবিধা পাবে জবি শিক্ষার্থীরা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আহসান মঞ্জিল

আহসান মঞ্জিল

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান আহসান মঞ্জিলে বিনামূল্যে পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে এক্ষেত্রে মানতে হবে বেশকিছু নিয়মনীতি। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আহসান মঞ্জিল জাদুঘর সংরক্ষক ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক সাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়। 

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, আহসান মঞ্জিল জাদুঘরটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার উৎসাহ প্রদানের জন্য জাদুঘর কতৃপক্ষ বিশেষ কিছু নিয়ম অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যাবস্থা রেখেছেন। 

বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাম করে দলে দলে শিক্ষার্থী এসে কোনো প্রকারে পরিচয় বা সুপারিশ পত্র ছাড়াই জোর করে প্রবেশ করতে চান। এতে জাদুঘরের নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা দিলে তাদের সাথে অশোভন আচরণ করেন। এতে করে জাদুঘর ও ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। 

 

বিনামূল্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র হিসেবে সাথে রাখতে হবে নিজ প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড। ক্ষেত্র বিশেষ যে প্রতিষ্ঠানে/বিভাগে অধ্যায়ন করেন তার লেটারহেড প্যাডে আহসান মঞ্জিল জাদুঘর সংরক্ষক বরাবর বিনামূল্যে প্রবেশের জন্য অনুরোধ পত্র পাঠাতে হবে। অনুরোধ পত্রে শিক্ষার্থীর সংখ্যা, তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকা প্রয়োজন। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি ব্যাতীত অনুরোধপত্র সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীরা আহসান মঞ্জিল বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। 

সর্বশেষে জাদুঘর সংরক্ষক ড. বিজয় কৃষ্ণ বণিক বলেন, যেকো্নো ধরণের আপত্তিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য উপরে উল্লেখিত নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে আহসান মঞ্জিল প্রবেশের সুবিধা গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হলো।

;

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক' পেলেন প্রয়াত বেবি মওদুদ



ঢাবি করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির' উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর শান্তি ও মুক্তির দর্শনে অসামান্য অবদানের জন্য প্রথমবারের মতো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়েছে। এবার এ পদকটি পেয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক এবং রাজনীতিবিদ প্রয়াত বেবী মওদুদ। 

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ পদক দেয়া হয়।

পদকটি গ্রহণ করেন বেবি মওদুদের জ্যেষ্ঠ পুত্র রবিউল হাসান অভী। পদক গ্রহণ করার পর তিনি বলেন, মা আজকে বেঁচে থাকলে হয়তো সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। তিনি যেখানেই আছেন আমার ধারণা এ পুরস্কার পেয়ে তিনি নিশ্চয়ই খুশি হয়েছেন। এ পদকটি দেওয়ার জন্য মাননীয় উপাচার্য ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বেবি আপা (বেবি মওদুদ) সারা জীবন শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা ও সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সেই শান্তির চেতনার মূল্যবোধই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লালন করে। যারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদেরকে এ পদকের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। প্রথমবারের মত এ পদক দেয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এমন একজন মানুষকে তাঁরা মনোনিত করেছেন যিনি সারাজীবন নীরবেই এমনভাবে কাজ করেছেন যা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রকাশ পায়।

তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ৬ বছর পর প্রবাস থেকে পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য দেশে আসেন তখন তাঁর পাশে ছায়ার মত ছিলেন বেবি আপা। বঙ্গবন্ধুর লেখাগুলো যে আমরা পেয়েছি তার মধ্যে বেবি আপার অবদান অসামান্য। বঙ্গবন্ধু কন্যার লেখক হয়ে উঠার পেছনেও বেবি আপার অবদান রয়েছে। কারণ তাঁর ভাবনাগুলো যখনই তিনি বেবি আপাকে বলতেন তিনি বলতেন লিখে ছাপানোর কথা। এজন্যই হয়তো আজ আমরা লেখক হিসেবেও শেখ হাসিনাকে পেয়েছি।

আয়োজক কমিটির কাছে অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, মরণোত্তর পুরস্কার দু’বছর পর দেয়া আর পাঁচ বছর পর দেয়া একই কথা। তাই যাঁরা বেঁচে আছেন তাদেরকে হয়তো এ বছর পদক না দিলে আগামী বছর মরণোত্তর পদক দিতে হবে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টা বিবেচনায় রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি (বেবি মওদুদ) যে অসামান্য কাজ করেছেন সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ১৯৭৫ সালেই এ পদকটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালে এসে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

তিনি পদকের ব্যাপারে বলেন, এ পদক দেয়ার বিবেচনায় যে মৌলিক উপাদানগুলোতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা হলো তাঁর অসামান্য অবদান। বঙ্গবন্ধুর মুক্তি ও শান্তির ব্যাপারটা বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এজন্যই আমরা তাঁকে পদক দেওয়ার জন্য বিবেচনা করেছি এবং সিলেকশন কমিটি তাঁকে পদক দিয়েছেন। এজন্য সিলেকশন কমিটিকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

;

বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ভবন থেকে পড়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কাজী ফিরোজ

কাজী ফিরোজ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে কাজী ফিরোজ (২২) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে বিজয় বিজয় একাত্তর হলের যমুনা ভবনে এই ঘটনা ঘটে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, রাত আনুমানিক ১টায় হলের যমুনা ব্লকের পশ্চিম দিকে কিছু একটা পড়ার শব্দ শুনলে তারা ছুটে যান। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে রিকশায় করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রথমে বিজয় একাত্তর হলের কোন শিক্ষার্থী তাকে শনাক্ত করতে পারেনি। পরে জিয়া হল থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। হলের ৬ তলা অথবা ১০ তলা থেকে তিনি পড়ে গেছেন বলে ধারণা করছেন।

কাজী ফিরোজ কিভাবে পড়ে গেলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইনিজ ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ। এই হল শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন তিনি।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, কাজী ফিরোজ নামের এক ছাত্রকে মেডিকেলে আনার কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়। ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন বলে জেনেছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, ঘটনাটি শুনেই আমি হাসপাতালে এসেছি। নিহতের বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা আসলে হাসপাতালের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পাদন করবো।

;