মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা হারিয়েছে শেকৃবি ছাত্রলীগ

ছবি: সংগৃহীত
কাগজে কলমে অর্ধ সহস্রাধিক পদধারী নেতা-কর্মী থাকলেও প্রোগ্রামে তাদের পাচ্ছে না শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান। আগস্টে কোনো শোকসভা বা আলোচনা সভার আয়োজনও করতে পারেনি তারা।
২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর ১৪ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যে সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদে থাকা অনেক নেতাই চাকরিতে যুক্ত হয়ে গেছেন। ২০১৭ সালে ঘোষিত ১৪ সদস্যের কমিটির ৮ জনই চাকরিজীবি।
নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে একই কমিটি থাকায় নেতা-কর্মীরা হতাশ, ক্ষুব্ধ পদ প্রত্যাশীরা। ফলে পদ প্রত্যাশী কয়েকজন সক্রিয় থাকলেও বেশিরভাগই এড়িয়ে চলেন ক্যাম্পাস ভিত্তিক বা জাতীয় প্রোগ্রামগুলো। ক্ষুব্ধ কর্মীদের বেশিরভাগ প্রোগ্রামে জোরপূর্বক নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে রয়েছে দুই শত বাইশ জন। এছাড়াও কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল কমিটিতে ১০১ জন, নবাব সিরাজউদ্দৌলা হল কমিটিতে ৮১ জন, শেরেবাংলা হল কমিটিতে ৮৫ জন, কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা হল কমিটিতে ৫৩ জন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল কমিটিতে ৪৮ জন নেতা-কর্মী রয়েছে। শাখাটির কেন্দ্রীয় ও হল কমিটিতে মোট ৫৯০ জন নেতা-কর্মী থাকলেও প্রোগ্রামগুলোতে একশ থেকে দেড়শ নেতাকর্মী দেখা মেলে না। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পদপ্রত্যাশীদের অনুসারী বলে জানা যায়।
পদপ্রত্যাশী এক উপ সম্পাদক বলেন, আগস্ট মাস গেল, তারা কোনো শোকসভা বা আলোচনা সভা আয়োজন করতে পারল না। ক্যাম্পাসের ও জাতীয় প্রোগ্রামগুলো তারা কর্মীদের উপস্থিত করতে পারছে না। প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারির ডাকে বড়জোর ৫০ থেকে ৬০ জন বের হয়। বেশিরভাগ লোক তো নতুন কমিটির প্রার্থীদের।
নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কমে যাওয়ার বিষয়ে একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, একই কমিটি প্রায় ছয় বছর ধরে আছে। ছয় বছর আগে এক ছেলে যে পদে ছিল সে একই পদে আছে। তার কোনো পদোন্নতি হয়নি। সাংগঠনিক গতিশীলতা না থাকলে কর্মীরা হতাশ হয়। তারা সংগঠন বিমুখ হবে এটাই স্বাভাবিক।
শেকৃবি ছাত্রলীগের আরেক নেতা বলেন, নেতৃত্বের পরিবর্তন দরকার। সাংগঠনিক গতিশীলতা দরকার। তিনি ১ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, ওই প্রোগ্রামে মিঠু-মিজান দেড় হাজার নেতাকর্মী নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিল। কিন্তু তিনশোর বেশি কর্মী মনে হয় ছিল না। এসব নেতৃত্বের দুর্বলতা। নতুন নেতৃত্ব আসলে কাউকে জোর করে প্রোগ্রামে নিয়ে যেতে হবে না। কৌশলী নেতৃত্বে এমনিতেই উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অতিশীঘ্রই সব জায়গায় নতুন করে কমিটি দেয়া হবে।