রাবিতে নবান্ন উৎসব উদযাপন
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) ১ অগ্রহায়ণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবন চত্বরে এই উৎসবের আয়োজন করে এগ্রোনমি এন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগ।
এদিন সকাল সাড়ে ৯ টায় বেলুন-ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন রাবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম।
উদ্বোধনকালে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বাঙালির ইতিহাস ও গ্রামীণ ঐতিহ্যের সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে আমাদের কৃষি অনুষদ কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের এ নবান্ন উৎসব। আমাদের দায়িত্ব হলো ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। যদি আমরা তাতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে গ্রাম-বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পকে জানা থেকে বঞ্চিত করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ওবায়দুর রহমান প্রামাণিক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, কৃষি অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক আব্দুল আলিম, বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। উদ্বোধন শেষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ক্যাম্পাাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর পিঠা উৎসব, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কারের আয়োজন করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা, পিঠা খাওয়া, নাচ-গান-আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে চলে এ উৎসব। এবারের উৎসবে ১২টি পিঠার স্টল নিয়ে বসেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ১০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে পিঠা।
দুধপুলি, চন্দ্র পুলি, নারকেল পুলি, খোলা চিতই, তেল পিঠা, নকশী পিঠা, মালাই বিহার, সুজির বড়া, জামাই পিঠা, পাটি সাপটা, গোলাপ ফুল, ডাবের পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, শামুক পিঠা, রুপালি পিঠা, বুটের বরফি, মোহন ভোগ, ডিম সুন্দরী, মাছের পিঠা, গাজরের হালুয়া ডিমপুরি, গোলাপ, আরশি নগর, ঝাল-মিষ্টি, হৃদয়হরণ পিঠা, সূর্যমুখী, পাকোয়ান পিঠা, শামুক পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসে ভরা সবজি পিঠা, রস মলাই খিরপুলিসহ প্রায় দেড় শতাধিক পদের পিঠা শোভা পাচ্ছে স্টলগুলোতে। বাহারি নামের এসব পিঠা খেতে শিক্ষার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
আয়োজনের বিষয়ে এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা কৃষির ছাত্র। গ্রাম বাংলা নিয়েই আমাদের পড়াশোনা। নবান্ন উৎসবের মাধ্যমে আমরা সবাইকে জানান দিতে চাই যে, আমাদের গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য আছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ নবান্ন উৎসবের আয়োজন।