ফের সংঘর্ষে চবি ছাত্রলীগ

  • চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুইটি উপগ্রুপ ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে। উপগ্রুপ দুইটি হলো শাহজালাল হলের সিক্সটি নাইন ও শাহ আমানত হলের সিএফসি।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত আটটার দিকে শাহজালাল হল ও শাহ আমানত হলের মধ্যবর্তী স্থানে শুরু হয় এ সংঘর্ষ। এ সময় উভয় পক্ষকে নিজ নিজ হলের সামনে অবস্থান করে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া ও পরস্পরের দিকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

সিএফসির কর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও সিক্সটি নাইন পক্ষের কর্মীরা সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের 'কালাম স্টেশনের' সামনে সিএফসির কর্মী ফাহিমকে সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে মারধর করে সিক্সটি নাইনের কয়েকজন কর্মী। এরই জের ধরে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের উপ-গ্রুপ দুটি।

বিজ্ঞাপন

খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হলেও সংঘর্ষে জড়িতদের নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সিএফসির নেতা সাদাফ খান বলেন, সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারীরা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ লাগানোর জন্য আমাদের এক জুনিয়রকে মারধর করেছে। সেটা থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।

জানতে চাইলে সিক্সটি নাইন পক্ষের নেতা ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, সিএফসির জুনিয়ররা আমাদের ২০১৮-১৯ সেশনের একজনের সঙ্গে বেয়াদবি করার জেরে এ ঘটনা শুরু হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী হলের সাথে আমাদের ঝামেলা শেষ না হতেই এ ঘটনা ঘটছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, আমরা ঘটনাস্থলেই আছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। এছাড়াও আমরা ঊর্ধ্বতন নেতাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।

এর আগে, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও বিজয়ের (সোহরাওয়ার্দী হল) কর্মীদের মধ্যে। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।