ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্র রাবি

  • রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্র রাবি

ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্র রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ চলছে। শনিবার (১১ মে) রাত ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্ট রুমে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী হতাহতের পাশাপাশি দুটি বাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৯টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্ট রুমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর ওই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হল সহ-সভাপতি আতিকুর রহমানসহ প্রায় ৩০ জন অনুসারী বসে সাংগঠনিক আলোচনা করছিলেন। এমন সময় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ তার কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে এসে অন্যদের কয়েক মিনিটের জন্য গেস্ট রুম ত্যাগ করতে বলেন। এ বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মাঝে বাকবিতন্ডা তৈরি হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীগণ লাঠি, রড, রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে অংশ নেয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ছোঁড়ার পাশাপাশি প্রায় ৬টির মতো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। আনুমানিক রাত ২টায় নিয়াজ মোর্শেদের অনুসারীরা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা হলের বাইরে অবস্থান নিয়েছেন। এতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলসহ তার আশপাশের এলাকাজুড়ে আতংক বিরাজ করছে। হলের সাধারণ আবাসিক শিক্ষার্থীরা আতংকের মাঝে দরজা জানালা লাগিয়ে হলে অবস্থান করছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম (প্রশাসন) এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর (শিক্ষা)। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, 'ঘটনার সূত্রপাত অনেক আগে হলেও, আমাদের নলেজে এসেছে কিছুক্ষণ আগে। আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের নজরে হয়ত কমবেশি ছিল। তবে তারা আমাদের কিছুক্ষণ আগে জানিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যেভাবে দ্রুত সমাধান করা যায় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় আমরা সেটার চেষ্টা করছি।'