ঢাবিতে ১১তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) 'করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা' স্লোগানকে ধারণ করে দু'দিনব্যাপী ১১তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি (ডিইউডিএস) এবং পরিবেশ অধিদফতর যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাবেদ হোসেন, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, ডিইউডিএস-এর মডারেটর অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা, শহীদুল্লাহ হল ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমল হোসেন ভূঁইয়া এবং পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ডিইউডিএস-এর সভাপতি অর্পিতা গোলদার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, দেশে জনসংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের বাসযোগ্য ভূমি কমে যাচ্ছে। এর ফলে মানুষ বাধ্য হচ্ছে বনাঞ্চল উজাড় করতে ও গাছপালা কেটে ফেলতে। এ চিত্র শুধু বাংলাদেশে নয়, পুরো বিশ্ব জুড়েই দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে উন্নয়নের লক্ষে দেশে দ্রুত শিল্পায়ন ঘটছে। এসব কারণে পরিবেশ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে পরিবেশ বান্ধব প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে পরিবেশ বান্ধব ও একটি সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব। এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা পরিবেশ সংরক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এবং নীতিনির্ধারকসহ সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ ও এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পরিবেশ, জলবায়ু, তাপপ্রবাহ, দুর্যোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে দেশের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে।