কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে ৪৫তম ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি
ক্যাম্পাস
কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২৫-এ ৪৫তম স্থান দখল করেছে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত এই র্যাংকিংয়ে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি এশিয়ার ২৫টি দেশের ৯৮৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই গৌরব অর্জন করে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৯ম। গতবছর প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির অবস্থান ছিল যথাক্রমে ৬১তম ও ১৪তম।
বিজ্ঞাপন
ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর দাতুক ড. সিতি হামিসাহ বিনতি তাপসি এক বার্তায় বলেন, এই অবিস্মরণীয় ফল আমাদের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির টানা অষ্টম বছর। এই সাফল্যে অবদান রাখা ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি পরিবারের সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ প্রকাশিত কিউএস বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির অবস্থান ২৬৫তম।
বিজ্ঞাপন
মালয়েশিয়াতে ৩টি ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসের পাশাপাশি বাংলাদেশে ২৬, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকাতেও বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রম চলমান আছে।
জাপানের নাগাও ন্যাচারাল এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এনইএফ) পক্ষ থেকে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ২০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষার্থীদের এনইএফ বৃত্তির চেক ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আগামী তিন বছর বার্ষিক ৩৬,০০০ টাকা (আনুমানিক) হারে বৃত্তি পাবে। বিভিন্ন লেভেল এর মোট ২০জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল লতিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো: বেলাল হোসেন ও ট্রেজারার অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ ডিন অধ্যাপক ড. এম. সালাউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী।
নাগাও ন্যাচারাল এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশন (এনইএফ) জাপানের একটি বেসরকারি সংস্থা। উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিবেশ সুরক্ষার জন্য নাগাও ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত করেন। সংস্থাটি থেকে কৃষিতে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে এই বৃত্তির আওতাভুক্ত করা হয়েছে। অপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
দুই মাসের মধ্যে বেদখলে থাকা হল উদ্ধার অথবা ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসন ব্যবস্থা করাসহ এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে অন্তত ৩-৪টি হল নির্মাণের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তারা।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সুজন মোল্লা এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর রেজাউল করিমের নিকট স্মারকলিপি দেন তারা। সংগঠনটির পক্ষ থেকে ২১ দফা দাবি রাখা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে দুটি প্রো-ভিসি পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের তালিকা আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত সবার তালিকা ১০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করে তাদের নিয়োগ বাতিল এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
দ্রুততম সময়ে ক্যাফেটেরিয়ার কাজ শেষ করা এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ফুড কোর্ট স্থাপন, ক্যাম্পাস ও ছাত্রী হলের ইন্টারনেট স্পিড বৃদ্ধি, সমবায় ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে আধুনিক টিএসসি নির্মাণ এবং ক্যাম্পাসে ব্রান্ডিংয়ে রায় সাহেব বাজার, বাংলাবাজার ও পাটুয়াটুলিতে তিনটি গেট স্থাপনের দাবি জানানো হয়।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে জানানো অন্য দাবিগুলো হলো ই-লাইব্রেরির আধুনিকায়ন ও একাডেমিক ওয়েবসাইট নির্মাণ, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবরেশন, ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান ও শিক্ষার্থী কাউন্সিল গঠন, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি ও রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগের দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু বরাদ্দ বৃদ্ধি, গণঅভ্যুত্থানে নিহত, আহত ও গুম হওয়া শিক্ষার্থীদের স্মৃতি রক্ষায় স্মৃতিফলক নির্মাণ, প্রধান ফটকের ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা, দূরত্ব ও মেধার ভিত্তিতে ছাত্রী হলের সিট বরাদ্দ, মেডিক্যাল সেন্টারের উন্নয়ন, মশা নিধন ও ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার নিশ্চয়তা প্রদানের দাবি জানানো হয়।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান হিমেল, সহসভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠুসহ অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে শহীদ ওয়াসিম, শ্রাবণ গাজী এবং আলিফের গ্রাফিতি অঙ্কন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পূর্ব পাশের দেয়ালে শাখা ছাত্রদলের সৌজন্যে গ্রাফিতিটি অঙ্কন করা হয়।
এসময় জাবি ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, শহীদ ওয়াসিম, শ্রাবণ গাজী আলিফের আত্মাত্যাগ আমাদের শোষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা জোগায়, তাদের আত্মাত্যাগ আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে, শহীদ ওয়াসিম, শ্রাবণ গাজীর আলিফদের আত্মত্যাগকে স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে৷
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ রফিক-জব্বার হলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম রোমান, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান, মেহেদী ইমন, জামিল হোসন আদনান, সৌরভ মৃধা , মির্জা জহিরুল, তানিম হাসান , কাজী রাইসুল, ইমাম হোসেন , আলিফ, বাবু, হিমেল, মুহিবুল্লাহ প্রমুখ।
কোথাও গ্রিল নেই, কোথাও নেই দেয়ালের অর্ধেক। আবার কোথাও ধ্বসে পড়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রাচীর। দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন আর অবহেলার ফলাফল এই জরা-জীর্ণ অবস্থা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৭৫ একরের সীমানা প্রাচীর জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে আছে বহুদিন ধরেই। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য হুমকিস্বরূপ মনে করছেন এখানকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও নিরাপত্তাকর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের পার্শ্ববর্তী প্রাচীরের গ্রিল নেই অনেকাংশেই এবং অধিকাংশ দেয়ালই ভেঙে পড়েছে। ফলে আশেপাশের স্থানীয় লোকজন প্রাচীরের ভাঙা অংশ দিয়ে অবাধে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করছেন হরহামেশা।
এছাড়াও রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পাশে দেয়াল বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ভাঙা জায়গা। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হলের পকেট গেটের একপাশে প্রাচীরের একটা বড় অংশ ধসে পড়ে রয়েছে। তা দিয়ে যে কেউ চাইলেই প্রবেশদ্বার ব্যবহার না করে নির্বিঘ্নে বিচরণ করতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরের আশেপাশে যেসব কৃষি জমি রয়েছে সেখানে স্থানীয় লোকেরা ইবি লেক সংলগ্ন প্রাচীরের ভাঙা অংশ দিয়ে কোনো প্রকার বাঁধা ছাড়াই নিয়মিত চলাফেরা করছেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই এসকল এলাকাকে নিজেদের জন্য অনিরাপদ বলে অভিযোগ করেছেন। বিশেষত নারী শিক্ষার্থীরা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের বেহাল অবস্থার কারণে এর আগেও বেশ কয়েকবার শিক্ষকদের আবাসস্থল ডরমেটরিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে। বিভিন্ন সময় ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের পাশের ভাঙা অংশ দিয়ে চোর অনুপ্রবেশ করে শিক্ষকদের আবাসিক ভবনে চুরি করার ঘটনাও সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। তাছাড়া বন্ধের মাঝে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে চুরির ঘটনাও নতুন কিছু নয়।
বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। তারা জানান, এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময় চুরির ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়াও অবাধে বহিরাগতরা চলাফেরা করে, যা আমাদের নিজেদের কাছে বিরক্তিকর লাগে। তাই প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে যেন এসবের দ্রুত সমাধান দেয় এবং ক্যাম্পাস জুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করে।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্য জানান, আমরা গেটে প্রবেশের বিষয়টি দেখতে পারি। তবে প্রাচীরের ভাঙা অংশ দিয়ে কখন কীভাবে কে প্রবেশ করে সেটা আমাদের সবসময় নজর রাখতে কষ্ট হয়ে যায়। আমরা চাই প্রশাসন এ বিষয়ে নজর দিয়ে যেন দ্রুত এর সমাধান দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ভিজিট করতে গিয়ে ভাইস চ্যান্সেলর স্যারসহ সবাই বিষয়গুলো দেখেছি। উপাচার্য স্যার নির্দেশনা দিয়েছেন দ্রুত এখানে আর গ্রিল নয়, ওয়াল করতে হবে। যেহেতু ওয়াল ভাঙা তাই ওখানে নিরাপত্তার স্বার্থে আনসার সদস্য বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লেক এবং হলের পাশের ওয়াল ধসে পড়ে যাওয়ার বিষয়টি আমি অবগত নই। আমি এখনই ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে কথা বলে বিষয়টি দেখছি এবং যত দ্রুত সম্ভব এর সমাধান করা হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের প্রাচীরগুলো আরো উঁচু করা হবে এবং নিরাপত্তার জন্য ওয়ালের ঘেঁষে রাস্তা করা হবে যেন সর্বক্ষণ টহল দেয়া যায়।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) এ.কে.এম শরীফ উদ্দীন জানান, আমরা প্রাচীরের বিষয়ে অবগত হয়েছি এবং একটা বাজেট চেয়েছি প্রশাসনের কাছে। অ্যাপ্রুভাল পেয়ে গেলে আমরা ইট দিয়ে গেঁথে দিবো। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু হলের পাশে ওয়াল ধসে পড়েছে, সেখানে মাটি ভরাট করে আবার ওয়াল তৈরি করা হবে।