ঢাবি-বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহ প্রদিক্ষণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা স্বৈরাচার হয়ে উঠছে। দলবাজি করে ক্ষমতা গ্রহণের পর ক্ষমতায় টিকে থাকতে সন্ত্রাসী পথ বেছে নিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: বশেমুরবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলা, আহত ২০
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আদিব আরিফের সঞ্চালনায় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সদস্য রাকিবুল রনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জের শিক্ষার্থীরা যখন দুর্নীতিবাজ, চরিত্রহীন ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে তখন স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করছে ভিসি। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্যে করছি ঢাবি, জাবিসহ বশেমুরবিপ্রবি’র ভিসি সবগুলো আজ দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে এরা সবাই একই সুতায় বাঁধা।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সন্ত্রাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। ছাত্রদের আন্দোলনকে দমাতে এই সন্ত্রাসী ভিসিরা তাদের সব অস্ত্র ব্যবহার করা শুরু করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। সঙ্গে সঙ্গে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করছি।’
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান বলেন, ‘এদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো হামলা শিক্ষার্থীরা মেনে নেবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসব অন্যায়কে প্রতিহত করবে। অপরাধ, জুলুম করে কেউ টিকে থাকতে পারেনি আর ভবিষ্যতে টিকতেও পারবে না। দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসী ভিসিদের শাস্তি পেতে হবে।’
আরও পড়ুন: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলা
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, ‘বাংলাদেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা স্বৈরাচারী অবস্থান গ্রহণ করছেন। এর কারণ হলো দলবাজি করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য তারা স্বৈরাচারী আচরণ করা শুরু করছে।’
দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত জাবি উপাচার্যকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তার জবাবদিহিতা তাকে করতে হবে। বিচারের মুখোমুখি তাকে হতে হবে। যারা টাকা পেয়েছে তারা স্বীকার করার পরেও উপাচার্য বলছে তোমরা প্রমাণ দাও। দুর্নীতির অভিযোগে আমরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। এছাড়া পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছি এই সময়ের মধ্যে যদি তিনি পদত্যাগ না করেন তবে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’