ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত বুয়েট, থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বুয়েটে টাঙানো হলো ভর্তি পরীক্ষার সিট প্ল্যান, ছবি: সুমন শেখ

বুয়েটে টাঙানো হলো ভর্তি পরীক্ষার সিট প্ল্যান, ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শিথিলের ঘোষণা দেওয়ায় আগামীকাল সোমবার (১৪ অক্টোবর) যথাসময়েই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, বুয়েটের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সকল অনুষদের সকল বিভাগের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা ১৪ অক্টোবর নির্ধারিত সময় সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। যানজট এড়াতে সকল পরীক্ষার্থীকে সকাল ৮টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুয়েট ক্যাম্পাসে দুই শিফটে ১০ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা হবে।

ভর্তি কমিটি সূত্র জানিয়েছে, এ বছর ভর্তির জন্য ১৬ হাজার ২৮৮টি আবেদন পড়েছিল। তার মধ্যে থেকে ১২ হাজার ১৬১ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। আট হাজার ৮৯৬ জন ছাত্র ও তিন হাজার ২৬৫ জন ছাত্রী। আর মেধা অনুযায়ী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন এক হাজার ৬০ জন। এরমধ্যে এক হাজার পাঁচ জন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ও ৫৫ জন আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন। আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তির জন্য দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় ড্রয়িং পরীক্ষা দিতে হবে। আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা ফল প্রকাশিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত বুয়েট, থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা
বুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

গতকাল শনিবার একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে নির্ধারিত সময়েই বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। রাতেই আসন বিন্যাসসহ দাফতরিক নানা কাজ সম্পন্ন করেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটি। আজ দুপুরে ভর্তি পরীক্ষায় নিরাপত্তার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের মূল গেইটের সামনেই ভর্তি পরীক্ষার সিট প্ল্যান বড় ব্যানারে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্থানেই সিট প্ল্যান টাঙানো হয়েছে। ভবনগুলোতেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আর কর্মকর্তা কর্মচারীরাও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এছাড়াও অনেক ভর্তিচ্ছু অভিভাবকের সঙ্গে সিট প্ল্যান দেখে গেছেন।

রামপুরা থেকে সিট প্ল্যান দেখতে আসা ভর্তিচ্ছু সুমনা ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'কাল যেহেতু পরীক্ষা, তাই আজ এসে পরীক্ষার সিট প্ল্যান দেখে গেলাম। যাতে কাল এসে সিট খুঁজতে সময় নষ্ট না হয়। পরীক্ষার জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাব।'

ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত বুয়েট, থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা
ভর্তি পরীক্ষার সিট প্ল্যান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'এত বাধার মধ্যেও আমরা ভর্তি পরীক্ষার যে কাজগুলো ছিল সেগুলো শেষ করতে পেরেছি। আমাদের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল ৫ অক্টোবর। কিন্তু পূজার মধ্যে হওয়ায় ভর্তিচ্ছুদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা পূজার শেষে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা আশা করছি, সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরাও আমাদের সহায়তা করবেন।'

বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'ভর্তি পরীক্ষার জন্য যে কাজগুলো বাকি ছিল গতকাল দুপুর থেকেই সেগুলো আমরা শুরু করেছি। আজ রাতের মধ্যেই সকল কাজ শেষ হবে। প্রশ্ন তৈরিসহ প্রাথমিক কাজ আমরা আগেই শেষ করেছি। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। আগামীকাল পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।'

ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত বুয়েট, থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা
সিট প্ল্যান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

এর আগে গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ায় বুয়েট ক্যাম্পাস ক্যাফেটেরিয়ার সামনে আলোচনা করে আন্দোলন শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা যথা সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। আবরার হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের জন্য যে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছিল ভর্তি পরীক্ষার কারণে সেই আন্দোলন শিথিল করা হলো।

তারা জানান, আন্দোলন চলবে। তবে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আগামী ১৩ ও ১৪ অক্টোবর আন্দোলন শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ভর্তিচ্ছুদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

বুয়েট চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তিথি জানান, সকাল থেকেই ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতার জন্য ক্যাম্পাসে অবস্থান নেবে বুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীরা। এ সময় তাদেরকে খাবার পানি ও স্ন্যাকস দেওয়া হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সহযোগিতার জন্য রোভার স্কাউটের দল উপস্থিত থাকবে।

বুয়েট শিক্ষার্থীরা জানায়, ক্যাম্পাসে একাধিক আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। অঞ্চল ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য হেল্প ডেস্ক বসানো হবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ক্যালকুলেটর আসতে ভুলে যায় এজন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। এর জের ধরে রোববার রাতে শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তার লাশ সিঁড়িতে ফেলে রাখা হয়। এই হত্যার বিচারের দাবিসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

   

ঢাবি অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের কুলখানিতে দোয়ার আয়োজন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের প্রয়াণে পরিবারের পক্ষ থেকে তার কুলখানিতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে মরহুম অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন ঢাবি উপাচার্য ড.এ.এস.এম মাকসুদ কামাল, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) ড.আব্দুস ছামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, প্রক্টর ড. মাকসুদুর রহমান, সাবেক উপাচার্য ড.আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

ঢাবি উপাচার্য ড.এ.এস.এম মাকসুদ কামাল প্রফেসর জিয়া রহমানের স্মৃতিচারণ করেন এবং সকলের নিকট তার জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ড. জিয়া রহমান সকলের সাথে হাসি মুখে কথা বলতেন, সবার সাথে চলাফেরা করতেন। তিনি আমার বন্ধু ছিলেন, খুব ক্লোজ চলাফেরা ছিলো আমাদের। আমরা সকলেই চলে যাবো, কিন্তু কোনো কোনো মৃত্যু একটা বড় ক্ষতি করে যায় আমাদের জন্যে ও প্রতিষ্ঠানের জন্যে। জিয়া রহমানের মৃত্যু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় ক্ষতি। আজকের এই এতো মানুষের ভিড় জিয়ার প্রতি মানুষের ভালোবাসার লক্ষণ। তার জানাযায় ও প্রচুর মানুষের ভিড় হয়েছিল। আমরা সকলেই তার জন্য দোয়া করব ও তার মা-ভাই, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকলেই যেন শোক কাটিয়ে উঠতে পারেন সেই প্রার্থনা করব।

এ সময় ঢাবির সাবেক উপাচার্য ড.আখতারুজ্জামান বলেন, ড.জিয়া রহমান জীবদ্দশায় সব জায়গায়ই সম্মানিত হয়েছেন। তার অনেক অনেক ভালো গুণ ছিল। তিনি যে কোনো অনুষ্ঠানে সবাইকে মাতিয়ে রাখতে পারতেন। তার সকল ভুল ত্রুটি সবাই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তার জন্যে দোয়া করবেন।

;

গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন করতে চায় চবি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিংয়ে আবেদন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিয়ে আসতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টায় উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত হয় এই সভা। এসময় তিনি টাইমস ও কিউ এস র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেতে তাঁর বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

এ সময় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান অনুধাবন করা যায় র‍্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে। দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে আছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোসহ সার্বিক বিষয়ের সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হবে। এরপর বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং এর জন্য আবেদন করলে একটা ফলপ্রসু অবস্থান আশা করা যেতে পারে

এছাড়াও উপাচার্য আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক নিয়োগ, সেন্টার অফ এক্সিলেন্স গঠন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন পদক্ষেপ, ছাত্রদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে পরিকল্পনা, পরিবেশ-বান্ধব ক্যাম্পাস নিয়ে সামনের দিনগুলোতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন। এ লক্ষ্যে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সভায় চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, চবি আইকিইএসির পরিচালক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন, চবি আইসিটি সেলের পরিচালক কম্পিউটার সায়েন্সেস এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, চবি কলেজ পরিদর্শক পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, চবি ফাইন্যান্স বিভাগের প্রফেসর ড. অনুপম দাশগুপ্ত, চবি জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের প্রফেসর ড. আদনান মান্নান ও সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুব হাসান, চবি ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলী, চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ, চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছা, চবি একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস.এম. আকবর হোছাইন ও চবি গ্রন্থাগার দপ্তরের উপ-গ্রন্থাগারিক দিল রুকসানা বসুনীয়া উপস্থিত ছিলেন।

;

এবার দুই পদ থেকে পদত্যাগ করলেন কুবি শিক্ষক



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষক দুইটি পদ থেকে একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক হলেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল হক। তিনি ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিনিধি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া একটি পদত্যাগপত্র তিনি প্রদান করেন।

পদত্যাগপত্রে মোহাম্মদ আইনুল হক উল্লেখ করেন, আমি ২০২২ সালের ০৬ নভেম্বর থেকে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরিকৃত সংকটের কোনো সমাধান না করে উপরন্তু নতুন নতুন সংকট তৈরি, অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র এবং পেশাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আমি উক্ত পদসমূহের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।'

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আইনুল হক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তা সমাধান না করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন মানা হচ্ছে না। এমনকি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের সাথে কর্মকর্তাদের যে অসৌজন্যমূলক আচরণ তার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যার প্রেক্ষিতে আমার মনে হয়েছে এই পদে আমার থাকা অনুচিত। তাই আমি পদত্যাগ করেছি।

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন। এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় 'এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ' দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ চার হলের চার আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছিলেন।

;

৩ বছরেও সমন্বয় হয়নি জবি শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা এখনো সমন্বয় হয়নি বলে অভিযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রসায়ন বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থীর স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

রসায়ন বিভাগ ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিমের স্টুডেন্ট আইডির প্রোফাইলে লগ ইন করে দেখা যায়, প্রতিবছর ১ বার করে সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মেধাবৃত্তি ও অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ফি থেকে এক শিক্ষাবর্ষে ২ বার ৬০০ টাকা মওকুফের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। ফলে বৃত্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ ১ বছরে ২ বার এবং ৩ বছরে ৬ বার ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা থাকলে ৩ বছরে মাত্র ৩ বার ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

২০২১ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৪০০/- (চারশত) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

২০২২ সালে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "বৃত্তি নীতিমালা-২০১৩" অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগ হতে প্রতি শিক্ষাবর্ষে ০৩ (তিন) জন শিক্ষার্থীকে প্রতি মাসে ৬৫০/- (ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা হারে মেধাবৃত্তি এবং এক শিক্ষাবর্ষের জন্য অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পাবে। মেধাবৃত্তি ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে প্রতি শিক্ষাবর্ষে মোট শিক্ষার্থীর ১০% (শতকরা দশজন) অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মারুফা হাকিম বলেন, আমি ২০২১ সালে মেধাবৃত্তি পেয়েছি এবং ২০২২ ও ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। সে হিসেবে আমার প্রতি সেমিস্টারে ৬০০ টাকা করে মওকুফ হবার কথা। অর্থাৎ এক শিক্ষাবর্ষে দুই সেমিস্টারে ৬০০ করে মোট ১২০০ টাকা মওকুফ হবার কথা কিন্তু প্রতিবছর শুধু একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করেছে।

রসায়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন। মেধাবৃত্তির টাকা পেলেও সমন্বয় হয়নি অবৈতনিক অধ্যয়নের টাকা।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ২০২১ ও ২০২২ সালে মেধাবৃত্তি এবং ২০২৩ সালে অবৈতনিক অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছি। বৃত্তির নোটিশ অনুযায়ী আমার প্রতি সেমিস্টার ফি থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ হওয়ার কথা। কিন্তু তা হয় নি। ২০২৩ সালে দুটি সেমিস্টার থেকে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। তবে ২০২১ ও ২০২২ সালে একবার করে ৬০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, আমি যখন ছাত্রকল্যাণের পরিচালক ছিলাম তখন এ বিষয়গুলো আপডেট করা হয়েছে। এমন হওয়ার কথা না। এরপরেও যদি হয়ে থাকে তবে সমস্যা আইসিটি সেলের নাকি অন্য কোথাও সেটা দেখতে হবে।

তিনি বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থীর অনার্স বা মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ায় তার টাকা সমন্বয় করার কোনো উপায় না থাকে তবে সে এপ্লিকেশন করলেই তাকে তার প্রাপ্য টাকা দিয়ে দেয়া হবে। কোনো শিক্ষার্থীই বঞ্চিত হবে না।

সশরীরে উপস্থিত হয়ে সমন্বয় করতে হবে-এমন কথা বৃত্তি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ না থাকলেও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বলেন, যখন শিক্ষার্থীরা দেখলেন যে সমন্বয় হচ্ছে না তখন তাদের উচিত ছিল অভিযোগ জানানো। আমরা নিজেরাও তো ব্যাংকে সরাসরি যোগাযোগ করি যখন কোনো সমস্যা হয়।

এ বিষয়ে আইসিটি সেলের পরিচালক ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা আইসিটি সেলের বিষয় না। রেজিস্ট্রার স্যারের সাথে কথা বললে সঠিক তথ্য পাবেন।

;