ঢাবিতে ‘টর্চার সেল’, হল সংসদের অস্বীকার!



ইমরান হোসাইন, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের গণরুম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের গণরুম

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে গেস্টরুম, গণরুমের নামে টর্চার সেলের অস্তিত্ব রয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। যার সত্যতা মিলেছে ভুক্তভোগীরদের বক্তব্যে। এর প্রতিক্রিয়া হলে কোনো ধরনের ‘টর্চার সেল’ নেই বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয় হল সংসদগুলো।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, টর্চার সেল নামে বিশেষ কক্ষ না থাকলেও হলে হলে বিভিন্ন নামে টর্চার সেল রয়েছে। বিভিন্ন কায়দায় সেখানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

টর্চার সেল নিয়ে হল সংসদের বক্তব্য
ঢাবিতে কোন ধরনের টর্চার সেল নেই বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল সংসদগুলো। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান ও মাস্টারদা সূর্যসেন হল সংসদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও সোশ্যাল মিডিয়ার বরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে টর্চার সেল নামক যে বিশেষ কক্ষের উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে তাতে গভীর বিস্ময় প্রকাশ করছি।’

বিজয় একাত্তর ও কবি জসীম উদ্‌দীন হল সংসদের বক্তব্য


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য
‘টর্চার সেলের অস্তিত্ব নেই’ হল সংসদের এমন ঘোষণা মানতে নারাজ ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ টর্চার সেলের কোনো অস্তিত্ব নাই এটা একধরণের মিথ্যাচার এবং বিভ্রান্তি। তাদের দাবি, টর্চার সেল নামে কোনো বিশেষ কক্ষ নেই, এটা সত্য। কিন্তু শিক্ষার্থীদের যেসব রুমে নির্যাতন করা হয় সেসব রুমতো টর্চার সেলই।

সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালমার ফারজিব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আভিধানিক অর্থে ‘টর্চার সেল’ বলতে যা বোঝায় সেরকম কিছু নেই। এটা যেমন সত্য তেমনি গেস্টরুমের নামে সিনিয়ররা জুনিয়রদের ওপরে নিয়মিত মানসিক নির্যাতন করেন, কখনো কখনো তা শারীরিক নির্যাতনে রূপ নেয়, এটাও সত্য। ঢাবির গেস্টরুমে ছেলেদের পিটিয়ে মারে না, গেস্টরুমে মানসিক নির্যাতন করে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নগুলোকে মেরে ফেলে। যদি ব্যক্তির স্বপ্নই মরে যায় তাহলে আর থাকলোটা কী?

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী মাস্টারদা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, টর্চার সেল মানে সেখানে টর্চার সেল লেখা থাকে না। সেই কক্ষগুলোর আড়ালে লুকিয়ে থাকে গেস্টরুম, মিনি গেস্টরুম, সিংগেল মিনি গেস্টরুম, মোস্ট পলিটিক্যাল ভাইদের রুম ইত্যাদি।


টর্চার সেলের বীভৎস বর্ণনা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, সময়টা ছিল ৯ এপ্রিল ২০১৮ সালের ভোর ৫টা। শামসুন্নাহার হলের বিপরীত দিকের দেয়াল টপকিয়ে টিএসসির ভেতর থেকে বের হলাম, সাথে আরো কয়েকটা ছেলে ছিল। বের হওয়ার সাথে সাথে বর্তমানে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতারকৃত হলের ছোট ভাই, তুষার আমাকে দেখে ফেললো। তুষারের ফোন পেয়ে মনে হয় ছোট ভাই জ্যোতিও চলে আসলো। এরা আমাকে বললো, ‘সানী ভাই আপনাকে যেতে বলছে’ (মেহেদী হাসান সানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মুহসীন হল ছাত্রলীগ)। আমাকে বাইকে করে নিয়ে যাওয়া হলো, কিছু সময় পরই সানী আসলো। আমাকে দেখেই বার বার তেড়ে আসছিলো এবং গালিগালাজ করতে লাগলো তবে গায়ে হাত দেয়নি। মুহসীন হলের ৩৩৩ নম্বর রুমে আনা হলো আমাকে, এক ঘণ্টা পর্যন্ত কি যে মানসিক টর্চার! সেটা শুধু আমিই জানি। বার বার ডাকার পরেও কেউ রুম খুলল না, বাধ্য হই পানির বোতলে প্রস্রাব করতে! সময়টা চোখের সামনে ভেসে উঠলে চোখে পানি চলে আসে।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এর অনুসন্ধান
কয়েকটি হলের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গেস্টরুম, শয়নকক্ষ, গেমস রুম, গণরুম ইত্যাদি নামে বিভিন্ন হলে টর্চার সেলের অস্তিত্ব রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে গত ১৪ জুলাই ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ২৪ জন শিক্ষার্থীকে রড-স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধরের ঘটনা ঘটে। হল সংসদের এজিএস আব্দুল্লাহ মুমিন আবিরের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মুনিরুল ইসলামকে দেড় ঘণ্টা আটক রাখেন ছাত্রলীগ নেতারা। হলের ২০৬ নং কক্ষে তাদের আটক রেখে মারধর করা হয়।

এ ঘটনার কথা স্বীকার করেছে হল প্রশাসন। হল প্রভোস্ট জিয়া উদ্দীন দোষীদের বিচারের আশ্বাসও দেন। পরে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও তার অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি।


মাস্টারদা সূর্যসেন হলে চারটি গ্রুপ সক্রিয়। ছাত্র সংসদের ভিপি, জিএস নিয়ন্ত্রিত গ্রুপের বিরুদ্ধে গত কয়েকমাসে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ না থাকলেও অন্য দুই গ্রুপের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর অনুসারীদের ফেব্রুয়ারির মাসের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। অডিও ক্লিপে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলের ৬২৬ (ক) নং কক্ষে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া যায়। তৃতীয় বর্ষের বড় ভাইয়ের সঙ্গে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীর 'যোগাযোগ থাকায়' তাকে নানাভাবে হেনস্তা ও জেরা করা হয়। একপর্যায়ে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে চড় দেওয়ার শব্দও শোনা যায় অডিও ক্লিপে। অভিযোগের সত্যতাও মেলে শিক্ষার্থীদের বক্তব্যেও।

ডাকসু নেতা ও প্রশাসনের বক্তব্য
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, প্রশাসন হলগুলোকে ছাত্রলীগের কাছে অলিখিতভাবে ইজারা দিয়েছে। তাই তারা যাচ্ছেতাই করে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে গেলে শিবির ব্লেইম দিয়ে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

ভিপি নুর বলেন, যদি হলগুলোতে টর্চার সেলই না থাকত তাহলে হাফিজুরদের মৃত্যুবরণ করতে হতো না। সামান্য একটি ক্যালকুলেটরকে কেন্দ্র করে এহসানের চোখ নষ্ট করা হতো না।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘গণরুম হবে বন্ধুরুম, এটা অন্যান্য রুমের মতই হবে।’ গেস্টরুম সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের হলগুলোতে গেস্টরুম রয়েছে। সেখানে অতিথিরা আসেন, তাদের বিশ্রামের জন্য তা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে নির্যাতন হয় কিনা তা আমার জানা নেই।’

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;