জাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর সহকারী প্রক্টরের হামলার অভিযোগ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অপসারণ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়ের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আন্দোলনকারীদের পূর্ব ঘোষিত সর্বাত্মক ধর্মঘট পালনের সময় এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মহিবুর রৌফ শৈবালের 'নেতৃত্বে' এ হামলা হয়েছে বলে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানিয়েছেন হামলার শিকার নজির আমিন চৌধুরী জয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, সকাল থেকেই সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল ও তার কর্মচারীদেরকে নিয়ে বিভিন্ন অনুষদে আন্দোলনকারীদের মারা তালা অপসারণ করতে যান। এসময় পুরাতন কলা অনুষদে তালা অপসারণ করতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে নিজের বিভাগের জুনিয়র শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করেন মহিবুর। যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে, হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর ব্যানারে সকাল সাড়ে এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ভবন থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি বিভিন্ন অনুষদ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ করে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে 'উপাচার্য অপসারণ মঞ্চে' গিয়ে শেষ হয়।

তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, 'তাদের ওপরে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। উল্টো আন্দোলনকারীরা আমার ওপর হামলা করেছে।'

মহিবুর রৌফ শৈবালের বরাতে সহকারী প্রক্টর মওদুদ আহমেদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'আন্দোলনকারীদের হামলায় শৈবাল অনেক বেশি অসুস্থ। আমাদের মেডিকেলে চিকিৎসা হয়নি উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।'

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলার ব্যাপারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বার্তাটোয়েন্টিফোর. কমকে বলেন,'একজন সহকারী প্রক্টরের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার একটা ভিডিও দেখে আমরা অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি একজন শিক্ষক তার ছাত্রের ওপর কিভাবে হামলা করতে পারে। একজন মাস্তান শিক্ষক আমরা চাই না। একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপরে হামলা হতে পারে এটা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক ঘটনা। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।'

   

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এমনকি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকার কথাও বলা হয়েছে। তবে শিক্ষক সমিতির এই কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষার দিন শিথিল থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরে উপাচার্য বরাবর প্রেরিত এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৩ মার্চ উপাচার্য বরাবর প্রেরিত শিক্ষক সমিতির ৭টি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বারবার মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করলেও উপাচার্য দাবিসমূহ সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। উপরন্তু গত ২২ এপ্রিল তারিখে দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবৈধভাবে পদায়িত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ফৌজদারি মামলার আসামি সদস্য সহযোগে একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবিসমূহ সমাধানে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত এ উদ্যোগ অত্যন্ত হাস্যকর হিসেবে শিক্ষকরা মতামত দেন এবং উক্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মাননীয় উপাচার্য শিক্ষকদের অবজ্ঞা করে সমস্যা সমাধানে মোটেও আগ্রহী নন। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (২৪ এপ্রিলের মধ্যে) সমাধানের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে চরমপত্র (আল্টিমেটাম) প্রদান করা হলো। অন্যথায় আগামী ২৫ এপ্রিল হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, আপনার সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির দোসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশ সংরক্ষিত থাকবে। ঘোষিত কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দিন শিথিল থাকবে।’

এব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘গত ১২ মার্চ শিক্ষক সমিতি থেকে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি উপস্থাপন করা হয়। উপাচার্য দাবিগুলো পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের শিক্ষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বারবার উপাচার্যের কাছে যৌক্তিক দাবিগুলো মৌখিক ও লিখিত দুইভাবেই উপস্থাপন করা হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। গতকাল দাবি বাস্তবায়নের যে কমিটি দিয়েছে এটা বিতর্কিত কমিটি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি হলো আইন লঙ্ঘন করে যাদেরকে বিভাগীয় প্রধান এবং ডিন নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরকে প্রত্যাহার করা। প্রক্টরের উপস্থিতি শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়েছে প্রক্টর দায় এড়াতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তার মূলে রয়েছে কোষাধ্যক্ষ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেয় তাহলে আমরা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব।’

এ ব্যাপারে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি সব সময় শিক্ষকদের স্বার্থে কাজ করে থাকেন। শিক্ষক সমিতির দাবির সাথে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয় কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা আমি জানি না। শিক্ষক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত আমি মনে করছি রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি কেন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে বিষয়টা বুঝতে পারছি না। শিক্ষক সমিতির দাবির ব্যাপারে কথা বলার জন্য কাল একটি মিটিং হবে কমিটির সাথে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমাদের নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগকে কেউ অবাঞ্ছিত করতে পারে কিনা সেটা তাদের বিষয়। কেউ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কথা বলতেই পারে। তবে সেটা কতটা আইনসিদ্ধ সেটা একটা প্রশ্ন।’

;

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এমনকি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকার কথাও বলা হয়েছে। তবে শিক্ষক সমিতির এই কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষার দিন শিথিল থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরে উপাচার্য বরাবর প্রেরিত এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৩ মার্চ উপাচার্য বরাবর প্রেরিত শিক্ষক সমিতির ৭টি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বারবার মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করলেও উপাচার্য দাবিসমূহ সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। উপরন্তু গত ২২ এপ্রিল তারিখে দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবৈধভাবে পদায়িত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ফৌজদারি মামলার আসামি সদস্য সহযোগে একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবিসমূহ সমাধানে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত এ উদ্যোগ অত্যন্ত হাস্যকর হিসেবে শিক্ষকরা মতামত দেন এবং উক্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মাননীয় উপাচার্য শিক্ষকদের অবজ্ঞা করে সমস্যা সমাধানে মোটেও আগ্রহী নন। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (২৪ এপ্রিলের মধ্যে) সমাধানের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে চরমপত্র (আল্টিমেটাম) প্রদান করা হলো। অন্যথায় আগামী ২৫ এপ্রিল হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, আপনার সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির দোসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশ সংরক্ষিত থাকবে। ঘোষিত কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দিন শিথিল থাকবে।’

এব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘গত ১২ মার্চ শিক্ষক সমিতি থেকে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি উপস্থাপন করা হয়। উপাচার্য দাবিগুলো পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের শিক্ষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বারবার উপাচার্যের কাছে যৌক্তিক দাবিগুলো মৌখিক ও লিখিত দুইভাবেই উপস্থাপন করা হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। গতকাল দাবি বাস্তবায়নের যে কমিটি দিয়েছে এটা বিতর্কিত কমিটি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি হলো আইন লঙ্ঘন করে যাদেরকে বিভাগীয় প্রধান এবং ডিন নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরকে প্রত্যাহার করা। প্রক্টরের উপস্থিতি শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়েছে প্রক্টর দায় এড়াতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তার মূলে রয়েছে কোষাধ্যক্ষ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেয় তাহলে আমরা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব।’

এ ব্যাপারে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি সব সময় শিক্ষকদের স্বার্থে কাজ করে থাকেন। শিক্ষক সমিতির দাবির সাথে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয় কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা আমি জানি না। শিক্ষক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত আমি মনে করছি রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি কেন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে বিষয়টা বুঝতে পারছি না। শিক্ষক সমিতির দাবির ব্যাপারে কথা বলার জন্য কাল একটি মিটিং হবে কমিটির সাথে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমাদের নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগকে কেউ অবাঞ্ছিত করতে পারে কিনা সেটা তাদের বিষয়। কেউ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কথা বলতেই পারে। তবে সেটা কতটা আইনসিদ্ধ সেটা একটা প্রশ্ন।’

;

চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টর নিয়োগ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টরের নিয়োগ

চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টরের নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার একদিন পরেই এবার একযোগে পাঁচজন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে.এম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত সহকারী প্রক্টরবৃন্দরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক লিটন মিত্র, ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এনামুল হক, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রন্টু দাশ, ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত রহমান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সবাইকে যথারীতি প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ যোগদানের তারিখ হতে এক (১) বছরের জন্য সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো।

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করব। হলগুলোতে দীর্ঘদিন যাবৎ সিট বরাদ্দ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সিট বরাদ্দের বিষয়টা নিয়ে কাজ করব এবং যাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা আন্তর্জাতিক মানের র‍্যাংকে নিয়ে আসা যায় সেদিকেও নজর দিব।

;

ইবি ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে ২ হাজারের অধিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথম দিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের ডায়না সত্বরে ১০০ গাছ রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তন্মধ্যে দশ দিনে পাঁচ লাখ এবং বছরব্যাপী এক কোটি বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ৭ দিনে ৫০০ গাছ এবং ৬ মাসে ২ হাজার বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবুজায়ন হোক এবং সারা দেশ সবুজে ভরে ওঠুক।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবি শাখা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীর সহযোগিতায় ২ হাজার গাছ রোপণ করতে পারবে বলে আশাবাদী। সেই সাথে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ৫ হাজার গাছ লাগানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।

;