প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে ঢাবির উর্দু-ফারসি-সংস্কৃত-পালি বিভাগ



ইমরান হোসাইন, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু, ফারসি, সংস্কৃত ও পালি—এ চারটি বিভাগ রাখার যৌক্তিতা নেই বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ। আরবি বিভাগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক নাসরিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ে এসব বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতা ছিল। বর্তমান সময়ে এগুলো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। এসব বিষয়ের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও বিভাগ হিসেবে থাকার প্রয়োজন একেবারেই নেই।’

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের লেখা উচিত মন্তব্য করে অধ্যাপক নাসরিন বলেন, ‘তোমরা এটা নিয়ে একটু লেখালেখি করো। অবশ্যই এগুলো বিভাগ হিসেবে থাকা উচিৎ না, এগুলো ল্যাংগুয়েজে চলে যাক—এটা হওয়া উচিৎ। যখন পাকিস্তান ছিল তখন উর্দু শিখত, এখন এটা শিখে কী করবে? উর্দু শিখে তারা সেটার অনুবাদও করতে পারছে না। ফারসি শিক্ষার্থীরা নাকি পরীক্ষায় বাংলায় লেখে। পালি; তারাও কিচ্ছু জানে না—সংস্কৃতও কিচ্ছু জানে না।’

অধ্যাপক নাসরিন বলেন, ‘তবে একেবারে থাকা উচিৎ না—সে কথা আমি বলতে পারব না। কারণ, এখানে যেসব শিক্ষক-কর্মচারী আছেন তাদের কথাও আমাকে চিন্তা করতে হবে। তাই এসব বিষয়কে বিভিন্ন ল্যাংগুয়েজের আন্ডারে, যেমন—ওরিয়েন্টাল ল্যাংগুয়েজ… ইত্যাদিতে রেখে দেওয়া উচিৎ।’

শিক্ষার্থীরা অজ্ঞাতবশত এসব বিষয়ে পড়তে আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থী খারাপ রেজাল্ট করার পর হয়তো এখানে শুধু ভর্তির চান্স পেয়েছে। তাকে ওখানটায় দেওয়া হলো—সংস্কৃতি। সে জানেও না সংস্কৃতি নামে একটা ল্যাংগুয়েজ আছে। তারপরেও যখন সে পড়তে আসছে, সে কী পড়ে বের হচ্ছে? আদৌ এসব বিষয়ের অনার্স লেভেলে, মাস্টার্স লেভেলের মানে পড়ানো হচ্ছে কি না। আমরা কি সেই লেভেলে পড়াচ্ছি ওদের? আমাদের শিক্ষকও নেই, আমরা ওদের পড়াচ্ছিও না। তাহলে কেন শুধু শুধু এগুলোকে ওই লেভেলে একটা ডিপার্টমেন্ট করে রাখা হবে। একেবারে এমনটি থাকা উচিৎ না।’

ভাষা শিক্ষার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক নাসরিন বলেন, ল্যাংগুয়েজ কোনো খেলনা না। এটাকে শিখতে পারলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্যকালীন কোর্স ভালো উদ্দেশ্যে শুরু করা হলেও এখন সেটা কিছু ব্যক্তি অর্থের জন্য পরিচালনা করছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রবীণ এই শিক্ষাবিদ।

১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে কয়টি বিভাগ নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য, উর্দু, সংস্কৃত এবং পালি ছিল তার অন্যতম। বর্তমানে এ চারটি বিভাগে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, প্রভাষক, খণ্ডকালীন শিক্ষকসহ প্রায় ৫৬ জন কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া এ চারটি বিভাগে শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ১৭৮৪ জন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অনেকেই বলছেন অনিচ্ছা থাকা সত্বেও তারা এসব বিভাগে ভর্তি হন। উদ্দেশ্য কোনোভাবে গ্রাজুয়েশন শেষ করা।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোতাহার হোসেন বলেন, ‘আমি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পেয়েছি। সেখানে আরও ভালো বিষয় নিয়ে পড়তে পারতাম। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ব বলেই এখানে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু দিন শেষে কী পাচ্ছি বা পাবো সেটা আমার জানা নেই। ভর্তি হওয়ার সময় এসব মাথায়ও ছিল না। শুধু ঢাবি এটাই ছিল মূল ভাবনা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও অধ্যাপকরাও এই চার বিভাগ রাখার পক্ষে না। তারাও মনে করেন, এসব নিয়ে এখন কথা বলার সময় এসেছে। বিভাগগুলো বাতিল কিভাবে করা যায় এবং এসবের জায়গায় নতুন বিভাগ খোলা যায় কিনা সেটাও কর্তৃপক্ষকে ভাবতে হবে।

   

ইবি ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে ২ হাজারের অধিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথম দিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের ডায়না সত্বরে ১০০ গাছ রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তন্মধ্যে দশ দিনে পাঁচ লাখ এবং বছরব্যাপী এক কোটি বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ৭ দিনে ৫০০ গাছ এবং ৬ মাসে ২ হাজার বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবুজায়ন হোক এবং সারা দেশ সবুজে ভরে ওঠুক।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবি শাখা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীর সহযোগিতায় ২ হাজার গাছ রোপণ করতে পারবে বলে আশাবাদী। সেই সাথে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ৫ হাজার গাছ লাগানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।

;

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে সোমবার (২২ এপ্রিল) সাঁতার কাটার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহাদ হকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটে। এই অপমৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর হতে এ তথ্য জানানো হয়।

সোহাদ হকের অপমৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য-সচিব করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।

কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কী না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

;

জব ফেয়ারের আয়োজন করল শেকৃবির এএসভিএম অনুষদ



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য জব ফেয়ারের আয়োজন করল এএসভিএম অনুষদ। সদ্য ইন্টার্নশিপ শেষ করা অনুষদের লেভেল-৫, সেমিস্টার-II (জুলাই -ডিসেম্বর /২০২২)শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ এই উদ্যোগ গ্রহণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অনুষদ।

মূলত অনুষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিনের দ্বি বার্ষিক পরিকল্পনার অংশ এবং অনার্স শেষ করা শিক্ষার্থীদের বেকারত্ব থেকে মুক্ত রাখতে ও দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার তাগিদে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসকে সামনে রেখে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেখ কামাল ভবনস্থ এএসভিএম সেমিনার গ্যালারিতে এই জব ফেয়ারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় নূন্যতম চল্লিশ হাজার (৪০,০০০) বেতনে কমপক্ষে ৮-১০ জন কে নিয়োগের উদ্দেশ্য এই উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড কে বিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, অনুষদের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ হওয়ার মধ্যেই চাকরির ব্যবস্থা করবো এটা ছিল আমার ডিনশীপ গ্রহণের সময়ে নেওয়া দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনার অংশ। এছাড়াও আমার শিক্ষার্থীদেরকে অনার্সের সার্টিফিকেট পাওয়ার সঙ্গে চাকরির ব্যবস্থা করব এটা ছিল ওদের প্রতি ওয়াদা। যদিও সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার সুযোগ আমাদের হাতে নেই, তবে বেসরকারি সেক্টরে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আশা করছি বর্তমান ইন্টার্নি শেষ করা ব্যাচ অতি শীগ্রই রেজাল্ট পাবে এবং ওদের এটা বিশেষ একটা সুযোগ হতে যাচ্ছে। এমন পদক্ষেপে সদ্য অনার্স শেষ করা ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থীদের বেকার থাকতে হবে না একদিনও।তবে একটি জব ফেয়ারেই আমরা সীমাবদ্ধ থাকব এমন নয়, খুব দ্রুতই এর পরেও এরকম জব ফেয়ার হতে চলছে। বিভিন্ন বড় প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ও পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। আশা করছি আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব এই উদ্যোগে সফল হব এবং অনুষদকে ভিন্ন এক অবস্থানে অধিষ্ঠ করতে সমর্থ হবো। 

এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন এবং এমন পদক্ষেপের প্রশংসা ও সফলতা কামনা করেছেন।অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন VASA এর সহ-সভাপতি রাহাত ইসলাম বলেন, এমন একটা উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীদের আনন্দিত করেছে। এই উদ্যোগ আমাদের অনুষদের গুরুত্ব বৃদ্ধি করবে। শিক্ষার্থীরা আরো আগ্রহ নিয়ে পড়াশোনা করবে এবং নিশ্চয়তা পাবে । তবে জব ফেয়ারের এই কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা নিশ্চয়ই সহজ ছিল না।  এর আগে আমাদের অনুষদে এমন উদ্যোগ নিতে দেখি নি। আমাদের বর্তমান ডিন স্যারের পরিশ্রম, পরিকল্পনা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে তার কার্যক্রমই এরকম ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করছে। আশা করছি ভিন্নধর্মী শিক্ষার্থীবান্ধন এমন উদ্যোগ অব্যহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলক কুমার পাল বলেন, এটি একটি ভালো এবং শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ। এএসভিএম অনুষদ এবং তাদের ডিনের এমন উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। আমরা অন্য অনুষদের ডিনদেরকেও আহ্বান করছি এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নেওয়া সকল উদ্যোগই আমাদের জন্য আনন্দের এবং গর্বের।

উল্লেখ্য যে, চাকরি প্রার্থী লেবেল-৫,সেমিস্টার -II ( জুলাই-ডিসেম্বর/২০২২) ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এর মধ্যে ডিন কার্যলায়ে নাম অন্তর্ভুক্তি, পাসপোর্ট সাইজ দুই কপি ছবি, সত্যায়িত সকল সার্টিফিকেট ও ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়।

;

ইউনিসেফ মীনা অ্যাওয়ার্ড পেলেন জবিসাসের সাবেক সভাপতি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মানতা সম্প্রদায় ও নদী ভাঙ্গন কবলিত শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য ১৮তম ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) সাবেক সভাপতি রবিউল আলম। রবিউল প্রিন্ট ও অনলাইন সাংবাদিকতা বিভাগে প্রথম আলোর আহমেদুল হাসান আশিকের সঙ্গে যৌথভাবে বিজয়ী হন। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে ইউনিসেফ এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ড. জাফর ইকবাল, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বিটিভির ডিজি জাহাঙ্গীর আলম, চলচ্চিত্র নির্মাতা শামীম আখতার ও বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।

প্রিন্ট সাংবাদিকতায় এ বছরের ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড জয়ীরা হলেন, ঢাকা পোস্টের রাকিবুল হাসান তামিম, মুসা মল্লিক, নজরুল ইসলাম ও জসীম উদ্দিন। প্রতিদিনের বাংলাদেশের সাধন সরকার, বাংলা ট্রিবিউনের উদিসা ইসলাম ও সিভয়েস ২৪ এর শারমীন রিমা। ফটো সাংবাদিকতায় প্রথম আলোর সাজিদ হোসেন।

বিজয়ী ও মনোনীত প্রতিবেদনগুলোতে উঠে এসেছে সেসব শিশুর কথা, যাদের জোরপূর্বক বিয়ে ও কঠোর পরিশ্রমে বাধ্য করা হয়। সেসব মেয়ের কথা, যাদের বিশুদ্ধ পানির অভাবে ঋতুস্রাব সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার জন্য সংগ্রাম করতে হয়। উঠে এসেছে সেসব ছেলের কথা, যাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল রাস্তা এবং যাদের জীবন জলবায়ু অভিঘাত ও নিপীড়নের কারণে ব্যাহত হয়েছে। রোহিঙ্গা শিশুদের নিয়ে প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে নানা সমস্যা।

ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ এবং বিশ্বের নানা প্রান্তে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র মীনার নামে। মীনা চরিত্রটি ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশে ও এর বাইরে শিশুদের অধিকারের জন্য কথা বলে আসছে। সঙ্গে বড়দের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে এ পুরস্কার প্রদান।

এবারের ইউনিসেফ মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডগুলোর বিচারকমণ্ডলী ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষক আবির আবদুল্লাহ, ফটোগ্রাফার জান্নাতুল মাওয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুন, রয়টার্সের বাংলাদেশের চিফ করেসপন্ডেন্ট রুমা পাল, রয়টার্সের সাবেক মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট রফিকুর রহমান, এএফপির ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম ও রয়টার্সের বাংলাদেশের সাবেক ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির।

রবিউল আলম বলেন, এই অর্জন আমার জন্য অবশ্যই গর্বের। তবে শিশুদের শিক্ষার অধিকার তার মৌলিক অধিকার। এই অধিকার নিশ্চিতে আমার লিখনি যদি কিছুটা হলেও তাদের অধিকার আদায়কে ত্বরান্বিত করে তাহলে নিজেকে কিছুটা হলে সার্থক মনে হবে।

;