শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গণঅভ্যুত্থান বললেন জাবি ভিসি
জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলনজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মুক্ত করাকে ‘গণঅভ্যুত্থান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এজন্য তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা তিন মাস থেকে বিভিন্নভাবে বাধা দিচ্ছে। আমাদের চিন্তা করতে হবে কারা, কেন, কীভাবে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চায়। একটা মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে অসম্মান ও অপদস্থ করা হয়েছে। কিন্তু এটা করা হয়েছে কোনও প্রমাণ ছাড়াই। যদি কোনও প্রমাণ থাকে, যদি প্রমাণ পায়, তাহলে যা বিচার হবে তা মেনে নেব।’
অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, 'আমার সহকর্মী ও ছাত্রলীগ কর্মীদের এ গণ অভ্যুত্থানের জন্য ধন্যবাদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বাভাবিক গতিতে চলবে।'
এর আগে, দুর্নীতির অভিযোগে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ হামলায় ৮ শিক্ষক, ৪ সাংবাদিক সহ অন্তত ৩৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দায়িত্ব পালন করার সময় চার সাংবাদিককেও মারধর করে আহত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে সোমবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছে রেখেছিলেন 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর' ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সকাল সোয়া ১১টায় উপাচার্য সমর্থক শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপাচার্যকে বাসা থেকে বের করে তার কার্যালয়ে নিয়ে যেতে আসেন।
এ সময় উপাচার্য সমর্থক শিক্ষক ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক-বিতণ্ডা চলতে থাকে। এর মধ্যেই পৌনে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনকারীদের এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে।