‘ক্যাম্পাসকে রাজনীতির মাঠ হিসেবে ব্যবহারের প্রচেষ্টা চলছে’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে রাজনীতির মাঠ হিসেবে ব্যবহারের হীন প্রচেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শনিবার (৯ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যদি কারো সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ থাকে, সেই অভিযোগ জমা দেন। তবে অভিযোগ জমা না দিয়ে ক্যাম্পাসকে রাজনীতির মাঠ হিসেবে ব্যবহার করার হীন প্রচেষ্টা চলছে। ক্যাম্পাসকে রাজনীতির মাঠে হিসেবে যারা ব্যবহার করতে চান, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আমাদের দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের রাজস্বের অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়। এখানে কারো নৈতিক অধিকার নেই, সাংবিধানিক অধিকার নেই পরিবেশ নষ্ট করার, শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপচার্যের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন করা হচ্ছে। এই বিষয়টা আমরা আশা করি না। শুধুমাত্র উপাচার্যের পদত্যাগ স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে না। এসব আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নষ্ট হচ্ছে, সেশনজট তৈরি হচ্ছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, যারা সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে চেয়েছে। তারা অনেকেই ব্যর্থ হয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে। নানান ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
জাবির আন্দোলন প্রসঙ্গে নওফেল বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসার্ট করা, তালা ভাঙা, তালা দেওয়ার নামে অরাজকতা চলছে। আমার কথা হচ্ছে, আন্দোলনকারীদের হাতে সত্যিকার অর্থে যদি কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ থেকে তাহলে সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অভিযোগ আনতে তাদের দেরি হয়েছে, তাতে আমাদের মনে হয়েছে দুরভিসন্ধিমূলক উদ্দেশ্য আছে। তদন্ত কমিটি করে দুই পক্ষের শুনানি নেওয়া হবে, এরপর প্রতিবেদন দেওয়া হবে। কিন্তু, ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করার পরও কী উদ্দেশ্যে সেখানে সারারাত থাকা হচ্ছে, অরাজকতা চালানো হচ্ছে সে প্রশ্ন রাখতে চাই।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ তুলে ধরে শিক্ষাউপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যারা শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করবে, মিথ্যা অভিযোগ দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।