অবরুদ্ধ খুবি উপাচার্য মুক্ত, নতুন কর্মসূচী কাল
বর্ধিত বেতন ফি কমানো, আবাসন সংকট নিরসন, পরীক্ষার খাতায় কোডিং পদ্ধতি চালুসহ কয়েকটি দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে লাগানো তালা খুলে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) রাত ৮ টায় খুবি’র সকল ডিন ও দু’শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেন। এ সময় উপাচার্য অফিস থেকে বের হয়ে বাসভবন অভিমুখে রওনা হলে সকল শিক্ষকরা তার সঙ্গে যান। বাসভবনের সামনে পৌঁছে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, এটা প্রকৃত অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি তাদের কমিটমেন্ট এবং ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে সবাই মিলে আমরা যে অবস্থান ও সুনামের জায়গায় নিয়ে এসেছি তা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে এবং ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পায়।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিতে চাই। তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য। তাদের কোনো সমস্যা হোক বা থাকুক এটা আমাদের কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের সকল প্রচেষ্টা তাদেরকে ঘিরেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ তারাই। অভিভাবক হিসেবে আমরা পর্যায়ক্রমে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। তিনি আশা করেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বোধোদয় হবে এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ধারা ও সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ রক্ষায় অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: খুবির প্রশাসনিক ভবনে তালা, শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এর আগে দুপুরে খুবির শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়ে দিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ শতাধিক কর্মকর্তা কর্মচারী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে একটি গেটের তালা খুললেও উপাচার্যের বহির্গমন পথের কলাপসিবল গেট তখনও বন্ধ ছিলো। এ অবস্থায় বিকালে ডিনবৃন্দ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে উপাচার্যের অফিসের বহির্গমন পথের কলাপসিবল গেটের তালা খুলে দেওয়ার জন্য আহবান জানান। এরপরই রাতে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দেন।
তবে আগামীকাল সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে প্রদীপ প্রজ্বলন করবেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে নতুন কর্মসূচি নেয়া হবে।