মিথ্যা আশ্বাসে ঢাবি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থামাবে না: নুর

  কুর্মিটোলায় ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ
  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বক্তব্য দিচ্ছেন ডাকসু ভিপি নুর, ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য দিচ্ছেন ডাকসু ভিপি নুর, ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারের মিথ্যা ফাঁপা আশ্বাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থামাবে না বলে জানিয়েছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় বিচার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

নুরুল হক নুর বলেন, এখন দেশে দুর্বৃত্তায়ন চলছে, বিচারহীনতা চলছে, সে কারণে এমন ঘটনা বার বার ঘটছে। ক্ষমতাসীন দল আইন-আদালত, পুলিশ প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে অপরাধকে ধামা চাপা দিতে চায় বলেই কিন্তু ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সুতরাং আমরা যদি না জাগি, দুদিন পর আমার মা-বোন এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি বলেন, আপনারা দেখেছেন যে বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কারণে নোয়াখালীতে চার সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কুমিল্লায় তনু হত্যার ঘটনায় সারাদেশ উত্তাল হলে সরকারের পক্ষ থেকে মিথ্যা ফাঁপা আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু সে ঘটনার বিচার আজও নিশ্চিত হয়নি। ঠিক একইভাবে যখন ডাকসু ভবনে হামলা হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা হার্ড লাইনে আছে। অথচ হামলার মূল কারিগর মামলায় আসামি হননি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, ফাঁপা আশ্বাস না দিয়ে যারা প্রকৃত অপরাধী, যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। মিথ্যা আশ্বাসে আর ঢাবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থামাবে না।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষককে খুঁজে বিচারের আওতায় আনতে হবে। শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছে, তা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। পরিবেশ এমন করতে হবে যেন নারীরা নিশ্চিন্তে ঘর থেকে বের হতে পারে এবং নিরাপত্তাহীনতায় না ভোগে।

এর আগে রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে ধর্ষণের শিকার হন ঢাবির এক ছাত্রী।

জানা যায়, তিনি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়া যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে সেখান থেকে অটোরিকশায় করে বাসায় ফেরেন। এরপর রাত ১২টার দিকে মামাসহ অন্যান্য স্বজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। পরে তাকে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।