ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল/ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল/ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ মুরাদ চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক শাকিল উজ্জামান বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও আমাদের মা বোনদেরকে ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে। এর কারণ হলো বিচারহীনতার সংস্কৃতি। কোন অন্যায় হলে রাজপথে না নামলে তার বিচার হয় না। যেখানে রাষ্ট্রের দায়িত্ব তার জনগণের নিরাপত্তা দেওয়া সেখানে আমরা দেখছি রাষ্ট্র আজ ব্যর্থ। দেশের জনগণ প্রতিবাদ না জানালে কোন অন্যায়ের বিচার হয় না। তাহলে প্রশ্ন রাখতে চাই রাষ্ট্রীয় অন্যান্য দায়িত্বশীলের ভূমিকা কি?

ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সুস্মিতা মরিয়ম বলেন, কুর্মিটোলায় যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে আমরা ধর্ষিতার কাছ থেকে জানতে পেরেছি ধর্ষক নাকি খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিল! আমরা জানতে চাই ধর্ষক এই আত্মবিশ্বাস কোথা থেকে পায়। গত কয়েক বছরে হাজারো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিচার পেয়েছে হাতেগোনা কয়েকজন। আমাদের রাষ্ট্র বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি করেছে। রাষ্ট্র শুধু উন্নয়নের গীত পরিবেশন করছে কিন্তু কখনো ফেলানী হত্যার বিচার করতে উদ্যোগী হয় না। ধর্ষকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য আমরা ছাত্রলীগকে সাধুবাদ জানাই।

বিজ্ঞাপন

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মানিক ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিলো। আজ আমরা ছাত্রলীগকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মিছিল করতে দেখলাম। কিন্তু আমরা আসলেই জানি না ওই মিছিলের মধ্যে কোন ধর্ষকামী ছিলেন কি না। সুবর্ণচরে নির্বাচনের সময় যে মা ধর্ষণের শিকার হয়েছিলো তার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ কোন কর্মসূচি দেয়নি। কারণ তারা মনে করেছিলো এইটা বৈধ। রাজনৈতিক কারণে যেসব ধর্ষণ হচ্ছে আমরা তার বৈধতা দিচ্ছি। আমরা আহ্বান জানাবো ছাত্রলীগ আজকে যে কর্মসূচি শুরু করেছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সদস্য অমর্ত্য রায় প্রমুখ।

বক্তরা এ ধর্ষণের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এসময় তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল পুনর্গঠন করার দাবি জানান।

এর আগে দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

উল্লেখ্য, রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন।