জবি সমাবর্তন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন রোববার (১১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় ১৯ হাজার গ্র্যাজুয়েট অংশগ্রহণ করবেন সমাবর্তনে। আর সমাবর্তন ঘিরে নেওয়া হবে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমাবর্তনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ প্রবেশে বিভিন্ন নিয়মাবলীর কথা জানানো হয়।
নিরাপত্তার স্বার্থে মোবাইল ফোন, হ্যান্ডব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ছাতা ও পানির বোতল বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবে না বলে সংবাদ বিজ্ঞপিতে জানানো হয়।
সমাবর্তনের ভেন্যুতে প্রবেশে যেসব নিয়মাবলী অনুসরণ করতে হবে গ্র্যাজুয়েটদের-
সমাবর্তন স্থলে আগতদের আমন্ত্রণপত্রটি সঙ্গে আনতে হবে। প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র আনতে হবে।
গ্র্যাজুয়েট ও আমন্ত্রিত অতিথিরা ১ নম্বর গেট দিয়ে সমাবর্তন স্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল ১০টায় গেইট খোলা হবে এবং তারা সকাল ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। চ্যালেন্সর শোভাযাত্রা প্যান্ডেলে প্রবেশের সময় থেকে মঞ্চে আসন গ্রহণ না করা পর্যন্ত অতিথি এবং সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী সকলে অনুগ্রহপূর্বক নিজ আসনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন। চ্যান্সেলর কর্তৃক সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণার পর সমাবর্তনস্থল ত্যাগ না করা পর্যন্ত সবাই অনুগ্রহপূর্বক নিজ আসনে অবস্থান করবেন।
সমাবর্তন ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও বিএনসিসি, রোভার স্কাউটদের প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় ১১ জানুয়ারি পুরান ঢাকায় থাকবে বাড়তি লোকারণ্য। বাড়তি চাপ সামলাতে পুরান ঢাকা এলাকায় ভারি যান চলাচল বন্ধ করতে পারে ট্রাফিক পুলিশ। এদিকে সমাবর্তন স্থলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের চাপ সামলাতে সকাল ৮টা থেকেই ভেন্যুতে প্রবেশ করতে পারবে আগত গ্র্যাজুয়েটরা। বেলা ১১টা ৫৫মিনিটে রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হবে।
এদিকে সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রুপে সাজানো হয়েছে। প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনের রঙের কাজ করা হচ্ছে। সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছে ফুলের গাছ। আর সমাবর্তনের স্থান (ধূপখোলার মাঠ) প্রস্তুত হচ্ছে ইতিহাস গড়ার জন্য। যেখানে প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমবেত হবেন ১১ জানুয়ারি। প্রথম সমাবর্তনকে সামনে রেখে আগ্রহের কমতি নেই বর্তমান শিক্ষার্থীদেরও। তারাও সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পরিচয় ও আনন্দ ভাগাভাগি করতে অধীর অপেক্ষায় আছেন। সমাবর্তনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সঙ্গে কন্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার মঞ্চ মাতাবেন।