‘জাহাঙ্গীরনগরে দুর্নীতি আর সন্ত্রাস একসঙ্গে চলছে’
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগের কোনো সুরাহা দেখতে পাচ্ছি না। এখানে দুর্নীতি আর সন্ত্রাস একসঙ্গে চলছে। এই দুইয়ের মধ্যে একটা যোগসূত্র রয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে লড়াইটা অব্যাহত রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন আয়োজিত ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
আনু মুহাম্মদ বলেন, দুর্নীতি আর সন্ত্রাস জমজ ভাইয়ের মতোই। দুটোই একসঙ্গে চলে, কোনো জায়গায় যদি দুর্নীতি থাকে সেখানে সন্ত্রাস থাকতেই হবে। দুর্নীতি মানে হলো পাবলিকের সম্পদ ব্যক্তির হাতে নেওয়া। আর সেটা করতে গেলে সর্বজনের অধিকার খর্ব করতে হয় আর সর্বজনের অধিকার খর্ব করতে গেলে সন্ত্রাসী বাহিনীর দরকার হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকদিন ধরে আন্দোলন হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতির আর অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে। কিন্তু আমরা সরকারের দিক থেকে ইতিবাচক কোন ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি না। বরং সরকারের দিক থেকে দুর্নীতির পক্ষেই অবস্থান দেখতে পাচ্ছি।
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে ছাত্র ইউনিয়নের সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশে যুক্ত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল ও পরবর্তী সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার পাশাপাশি তার অপসারণের দাবি জানান।
সমাবেশে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা বলেন, গত ৫ নভেম্বরের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক করতালি দিয়ে হামলাকারীদের উৎসাহ দিয়েছেন। আমরা শুধু একটি দুর্নীতির তদন্ত চেয়েছিলাম। সেখানে উপাচার্যের সরে গিয়ে তদন্তের সুযোগ করে দেওয়া উচিত ছিল। অথচ আমাদের অহিংস আন্দোলনে হামলা করা হয়েছে। বল প্রয়োগ করে এ আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সদস্য রকিবুল হক রনির সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তারেক রেজা, ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য মিখা পীরেগু, ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে, ছাত্রফ্রন্টের সহ-সভাপতি সম্পদ অয়ন মারান্ডি, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু, ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য খালিদ মাহমুদ তন্ময় প্রমুখ।