মুজিব বর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নবজাগরণ সৃষ্টি হোক: ড. সাজ্জাদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইউজিসি'র সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

ইউজিসি'র সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০-২১ সালে আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করছি। আমরা চাই এই সময়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নবজাগরণ সৃষ্টি হোক। আর এর প্রধান চালিকা শক্তি হবে গবেষণা ও উদ্ভাবন। যা দিয়ে দেশে-বিদেশে মানুষের কল্যাণ সাধিত হবে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (এআইইউবি) মিলনায়তনে আয়োজিত 'ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব কম্পিউটিং অ্যাডভান্সমেন্টস (আইসিসিএ) ২০২০' শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এআইইউবির ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের উদ্যোগে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

১০ জানুয়ারি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কথা উল্লেখ করে অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ পুনর্গঠনের কাজে হাত দেন। তিনি চেয়েছিলেন দেশের মানুষ বিশ্বে মাথা উঁচু করে বাঁচুক। তিনি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

'কিন্তু তিনি তা বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। তার কন্যা শেখ হাসিনা সোনার বাংলা গড়তে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। এলক্ষ্যে তিনি আমাদের ফ্রেমওয়ার্ক করে দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে- ভিশন ২০২১, ২০৩০ ও ২০৪১ এবং ১০০ বছর ব্যাপী ডেল্টা প্ল্যান। এসব ভিশন বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় আমাদের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে।'

তিনি বলেন, আমরা এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছি। এ উপলক্ষে ২০২০-২১ সালকে মুজিব বর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ থেকেই শুরু হচ্ছে জন্ম শতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা।

'এ অবস্থায় আমরা চাই মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও নবজাগরণ সৃষ্টি হোক। আর তা করতে হবে গবেষণা ও উদ্ভাবন দিয়ে। এতে স্থানীয় সমস্যা চিহ্নিতের পাশাপাশি এর সমাধান যেমন বেরিয়ে আসবে, তেমনই আন্তর্জাতিকভাবেও ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশন বাড়াতে হবে। এভাবেই আমাদের জনসম্পদকে কাজে লাগাতে পারলেই গড়ে ওঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।'

তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পাবলিক-প্রাইভেট হিসেবে দেখছি না। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদেরও কোনো রঙ নেই, তারা সবাই জাতির কল্যাণে অবদান রাখে। আমাদের দেশ খুবই ছোট কিন্তু আমাদের রয়েছে ৮০ মিলিয়ন যুবশক্তি, যাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৫-৩৫ বছরের কম। তারাই আমাদের চালিকাশক্তি।

'তাদের যোগ্য করে তুলতে পারলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বাড়াতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্স-সেমিনারের আয়োজন করতে হবে। লোকাল প্রবেলম সলভ করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশন বাড়াতে হবে,' বলেন ড. সাজ্জাদ হোসেন।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের এই গবেষক বলেন, আমি যখন কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ে পড়াশোনা শুরু করি তখন এ বিষয়টি অনেকেই বুঝতেন না। এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বিষয়টি আন্দাজ করতে পারলেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে কী সম্ভব তা অনেকেই ভাবতে পারছেন না। তবে এটাই হচ্ছে বাস্তব যে, ভবিষ্যতে ইন্টারনেট অব থিংসের মতো বিষয়গুলোই সব নিয়ন্ত্রণ করবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় ২০০৭ সালে একটি রাজনৈতিক দল যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায় তখন তা কেউই বুঝতে পারেনি। কিন্তু এটা এখন বাস্তব। আমাদেরও সেভাবেই চিন্তা করতে হবে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিসিএ ২০২০ এর চেয়ারম্যান ও এআইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. তফাজ্জল হোসাইন।

এ সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, এআইইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান নাদিয়া আনোয়ার, ট্রাস্টির সদস্য ড. হাসানুল এ হাসান ও ইসতিয়াক আবেদীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশি-বিদেশি গবেষক ও শিক্ষকেরা কম্পিউটিং অ্যাডভান্সমেন্টসের ওপর বিভিন্ন সেশনে আলোচনা করবেন।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;