ব্যর্থতা নাকি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা ডাকসুর!



ইমরান হোসাইন, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ১১ মার্চ দীর্ঘ ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। আজ এক বছর পূর্ণ হলো ডাকসুর। আগামী ২২ মার্চ শেষ হবে চলতি সংসদের মেয়াদ। বাংলাদেশের মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত এই ডাকসু ঐতিহাসিক বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অনবদ্য অবদান রেখেছে।

এক বছরে পেরিয়ে-ডাকসুর সফলতা কতটুকু সেটা নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোচনা-সমালোচনা। শুধু কি ব্যর্থতার নামই ডাকসু? নাকি ক্যাম্পাসে এর মধ্য দিয়ে ইতিবাচক নানা পরিবর্তন সূচিত হয়েছে সেটাই শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের আলোচনার বিষয়।

ডাকসুর সাথে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা বলছেন, নানা বিতর্ক থাকলেও ক্যাম্পাসের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছে ডাকসু। ডাকসুকে শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার আদায়ের একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করতে পারছে। জবাবদিহিতার জায়গা থেকে প্রতিনিধিরাও ছিল অনেকটা নমনীয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বড় বড় জনপ্রতিনিধিরাও অনেক ইশতেহার দিয়ে থাকেন। তবে কেউ সেটা পূরণ করতে পারে না। ডাকসুকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা অনেক বেশি সেটা যেমন সত্য, তেমনি ডাকসুর কারণে ক্যাম্পাসের অনেক ইতিবাচক পরিবর্তনও হয়েছে। এটাও কোনো অংশে কম না। তাই ঢালাওভাবে ডাকসুকে ব্যর্থ বলতে নারাজ তারা।

সংশ্লিষ্টদের দাবি ক্যাম্পাসে জো বাইক সেবা চালু, হলগুলোতে গেস্টরুম নির্যাতন অনেকাংশে বন্ধ, পরিবহন ট্রিপ বাড়ানো, লাইব্রেরীর সময় বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা, ক্যান্টিনে খাবারের মান উন্নয়ন, গণরুমে বাঙ্ক বেডের ব্যবস্থা, বিভিন্ন সভা সেমিনারের আয়োজন, পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি, বিভিন্ন বিভাগে উন্নয়ন ফি কমানো, জালিয়াতকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি, সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধে একাট্টা, রিকশা ভাড়া নির্ধারণ, ফটো কপির দাম নির্ধারণ, হলগুলোতে সুপেয় পানির ফিল্টার স্থাপন, ভেন্ডিং মেশিনে ন্যাপকিন, ইজি বাইক চালুর উদ্যোগ, গণ পরিবহন নিয়ন্ত্রণ ছিল ডাকসুর উল্লেখযোগ্য এবং ইতিবাচক পরিবর্তনেরই ফল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, এক বছর আগের ক্যাম্পাস আর আজকের ক্যাম্পাসে অনেক পার্থক্য দেখা যায়। ডাকসুর কারণেই ক্যাম্পাসে এক ধরণের সহাবস্থান দেখা যাচ্ছে। অবকাঠামোগত কোনো পরিবর্তন না করতে পারলেও ডাকসু সবকিছুতে রিচ করার চেষ্টা করছে। এটা অবশ্যই ইতিবাচকই বলতে হবে।

মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাফায়াত রহমান বলেন, আমার মনে হয় ডাকসুকে কোনো শিক্ষার্থী ব্যর্থ বলবে না। কারণ ডাকসুর সেই ক্ষমতা নাই যে তারা সবকিছু করে ফেলবে। তাদের কাজ প্রশাসনকে কাজ দেখিয়ে দেওয়া। সেটা ডাকসু অনেকটা করেছে, করার চেষ্টাও করছে।

তবে ডাকসুতে প্রতিনিধিদের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন অনেকে। তাদের অভিযোগ ডাকসু একটি পার্লামেন্ট হলেও বছরব্যাপী পরিচালিত হয়েছে পৃথক মন্ত্রণালয়ের মতোই। যেটা ডাকসুর ব্যর্থতারই ফসল। সবাই নিজ নিজ উদ্যোগেই বেশি কাজ করেছেন। একে অপরকে দোষারপ করা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধিতেই ডাকসু নেতাদের বেশি মনোযোগ দিতে দেখা গেছে। এসব কাটিয়ে উঠতে পারলে শিক্ষার্থীরা তাদের সত্যিকারের ডাকসু ফিরে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারা।

ডাকসুর সফলতা নিয়ে সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন বার্তা২৪.কম বলেন, বিগত একবছরে ডাকসুর সবচেয়ে বড় সফলতা হচ্ছে এটির মাধ্যমে আমরা গণতান্ত্রিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করতে পেরেছি। এখানে সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান আছে। সবাই যে যার মতো করে কর্মসূচি পালন করতে পারছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, গত তিন দশকের মধ্যে (নব্বই পরবর্তী সময়ের পরে)  সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক সময় আমরা গত বছরে কাটিয়েছি।

সাদ্দাম বলেন, ডাকসু শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন ফি, পরিবহন সমস্যা সমাধান, জো বাইক, লাইব্রেরীতে সময় বৃদ্ধি, স্যানিটারি ন্যাপকিন, খাবারের মান উন্নয়নসহ অনেক ইতিবাচক কাজ করেছে।

ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ডাকসুর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বেশকিছু কাজ করা হয়েছে। বিভিন্ন সম্পাদকরা অনেক ধরণের ভালো কাজ করেছে। তবে মোটাদাগে শিক্ষার্থীদের যে মৌলিক চাহিদা রয়েছে যেমন আবাসন সংকট, অছাত্র বহিরাগতদের বিতাড়িত করা, গণরুম, গেস্টরুম প্রথার উচ্ছেদ এক্ষেত্রে আমাদের সফলতা জিরো। এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের অসহযোগিতাকে দায়ী করেছে নুর। তবে ডাকসুর কারণে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে পারছে, এটা শিক্ষার্থীদের কথা বলার মাধ্যম হিসাবে কাজ করছে উল্লেখ করে এটাকে অনেক বড় পরিবর্তন বলে দাবি করেন তিনি।

ডাকসুর কার্যক্রমে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, 'ডাকসু বিভিন্নভাবে অনেক কর্মসূচি করছে এবং সেগুলোতে প্রচুর শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততাও দেখা গেছে। এগুলো দেখে খুব ভালো লাগছে। এত অল্প সময়ে তারা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা খুবই আশাব্যঞ্জক।'

ডাকসুর কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষার্থীরাই ভালো মতামত দিতে পারবেন বলেও মনে করেন উপাচার্য। তবে ডাকসুর আগাম নির্বাচন নিয়ে মুখ খোলেননি উপাচার্য আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, অগ্রিম কোনো কিছু বলতে পারবো না। তবে সবকিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;