জবিতে সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস সরিয়ে মেডিকেল সেন্টারের পরিকল্পনা



জবি করেসপেন্ডন্ট, বার্তা২৪.কম
জবিতে সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস সরিয়ে মেডিকেল সেন্টারের পরিকল্পনা

জবিতে সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস সরিয়ে মেডিকেল সেন্টারের পরিকল্পনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সংগঠনগুলো। আর মোলিক চাহিদা স্বাস্থ্য সেবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের গুরুত্বও অন্যতম। কিন্তু স্বাস্থ্য সেবার দিকে গুরুত্ব দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের অফিস বন্ধ করে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এক অনলাইনসভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের ফলে শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া সংকট নিরসন ও চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ৫ দফা দাবির পরেই এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য সেবার মেডিকেল সেন্টারটি অনেক ছোট তাই মেডিকেল সেন্টারটি সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের ২য় ও ৩য় তলার সামাজিক ও ক্রিয়াশীল সংগঠন সমূহের অফিস কক্ষ সরিয়ে এখানে মেডিকেল সেন্টারটি সম্প্রসারিত করা হবে।

এখানে মেডিকেল সেন্টার করা হলে, ক্রিয়াশীল সংগঠন সমূহের অফিস কক্ষ কোথায় যাবে এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এখন যেহেতু ক্যাম্পাস বন্ধ সংগঠনসমুহের কার্যক্রম নাই তাই এখানে মেডিকেল সেন্টার করা হবে। আর সংগঠনসমুহের অফিস কক্ষ কোথায় হবে এটা নিয়ে উপাচার্য স্যারের একটা পরিকল্পনা আছে উনি ভাল বলতে পারবেন।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনকৃত ক্রিয়াশীল ১৯টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের ২য় তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার ইউনিট,বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টাস ইউনিটি এর অফিস কক্ষ, ৩য় তলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস), ডিবেটিং সোসাইটি, বিএনসিসি, চলচিত্র সমিতি, ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ৪র্থ তলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ, উদিচী ও প্রেসক্লাবের অফিস কক্ষ রয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে রেজিস্ট্রেশনকৃত আইটি সোসাইটি, মাইম সোসাইটি, সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি, রঙ্গভূমি ও মুক্তমঞ্চ পরিষদের কোন অফিস কক্ষ নেই। যাদের অফিসকক্ষ আছে সেগুলোর আয়তন ছোট হওয়ায় সেখানে অনেক সংগঠনের কার্যক্রম করার জায়গা থাকে না। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সিদ্ধান্তে ২০১৯ সালে অবকাশ ভবনের ৪র্থ তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অফিস কক্ষ ভাগ করে সেখানে কিছু অনলাইন সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেসক্লাবকে জায়গা দেয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিরোধিতা করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটি আমলে নেয়নি।

একই বছর স্ব ঘোষিত সাংবাদিকদের ভুঁইফোর সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোটার্স ইউনিটিকে রেঞ্জার ইউনিটির কক্ষ ভাগ করে সেখানে তাদের জায়গা করে দেয়। জানা যায়, ভুঁইফোর এ সংগঠনটির স্বঘোষিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোন জাতীয় পত্রিকা বা অনলাইনের প্রতিনিধি না হলেও শুধুমাত্র উপাচার্য ও তার সহধর্মিনীর ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করার কারণে কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনকৃত ক্রিয়াশীল অন্যান্য সংগঠন কক্ষ বরাদ্দ চাইলেও তাদের দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েল উপাচার্যের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, উপাচার্য মীজানুর রহমান সম্প্রতি সাংবাদিকদের কাছে শিক্ষার্থীদের ফকির, মিসকিন নামে বেফাঁস মন্তব্যের পর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন সাংবাদিকদের অনেকের মোবাইল নম্বর ব্লক লিস্টে রেখেছেন ও অনেকের ফোন না ধরে কেটে দেন।

   

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এক লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৭২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তিনি রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১হাজার ৭৭৫টি, মানবিক শাখা থেকে ৫১টি, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;

ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন জন পাস করেছেন। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট আসন ২ হাজার ৯৩৪টি। তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১ হাজার ৭০৭টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৪৪টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮৩ আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে। মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এছাড়া টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;

২৪ দিন বন্ধ থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইস্টার সানডে, পবিত্র শবে কদর ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৪ দিন ছুটি থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। আগামী ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল ২২ দিন সব ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে উপলক্ষে একদিন এবং ৭-১৮ এপ্রিল ১২ দিন পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকবে। ১৮ এপ্রিলের পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় এবারের ইদের ছুটিতে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা ২৪ দিন ছুটি পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছুটি কার্যকর হওয়ার কথা জানান।

হল প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চলাকালীন হল বন্ধ থাকবে, এ সময় কোনো শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবেন না। তবে বিশেষ কারণে যদি কেউ হলে থাকে সেক্ষেত্রে তাকে ২ এপ্রিলের মধ্যে হল অফিসে রক্ষিত রেজিস্টারে উপযুক্ত কারণসহ পরিচয় এন্ট্রি করতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে থাকতে হবে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা চাইবো ছুটিতে হলে কেউ না থাকুক।’

;

স্বাধীনতা দিবসে টোকেন কিনেও খাবার পায়নি ইবি অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাবারের টোকেন থাকার পরেও খাবার প্যাকেট ও কোমল পানীয় পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী। মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আটটি হলের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ করা হলে কিছু শিক্ষার্থী টোকেন থাকা স্বত্বেও খাবার না পেয়ে ফিরে যান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আছরের নামাজের পড়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ৫০ টাকার টোকেনের বিনিময়ে উন্নতমানের বিশেষ খাবার দেওয়ার কথা ছিল। তবে, নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে টোকেন সংগ্রহ করলেও খাবার নিতে এসে খাবার না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন বঙ্গবন্ধু হলের একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী।

তবে খাবার বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া ছিল বলে হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

টোকেন থাকার পরেও খাবার না পাওয়া একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অনাবাসিকদের জন্য বরাদ্দকৃত টোকেনে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে যে বাদ আসর আসতে হবে। তারা সে অনুযায়ী আসরের নামাজ শেষে খাবার আনতে হলে গিয়ে প্রভোস্ট অফিস এবং ডায়নিং উভয়ই বন্ধ পান৷ এরপর হলে টানানো নোটিশে দেখতে পান যে খাবার সংগ্রহ করার সময় বিকেল ৩টা থেকে ৪টা। উপায় না শিক্ষার্থীরা হলের প্রভোস্টকে ফোন দিলে প্রথমে কর্মকর্তা ফারুকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং পরবর্তীতে তিনি দেরি করে আসার শিক্ষার্থীদেরই উল্টো দোষারোপ করেন। কিন্তু খাবার নেওয়ার সময় পরিবর্তনের নোটিশটি এমন সময় দেওয়া হয়েছে যখন অনাবাসিক অনেকেরই টোকেন নেওয়া শেষ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তারা ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকি৷ ক্লাস বন্ধ থাকায় রোজা থেকে প্রতিদিন তো প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসে আসা হয়না। কাজেই দুইদিন আগে নোটিশ জানার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া আমাদের তো জানার কথা না যে টোকেন দেওয়ার পরেও উনারা পরবর্তীতে খাবার নেয়ার সময় পরিবর্তন করবেন। প্রভোস্ট স্যার আমাদের অফিস থেকে ৫০ টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলেছেন কিন্তু আমাদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ ছিল সেটা তো অবশ্যই ৫০ টাকা সমমূল্যের খাবার না।

এবিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন বলেন, ২৪ তারিখেই নোটিশ করে খাবার বিতরণের সময়ের ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ নোটিশ না দেখলে তার দায়ভার তো আমাদের না। বিকাল ৪ টার পরেই ১ ঘন্টা আমরা খাবার দিয়েছি। আমাদেরও তো ইফতার করতে হবে, আমরা তো কারো জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকবো না।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ৫০ টাকা মূল্যে টোকেন বিক্রি করে বিশেষ খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

;