উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ইবির চার বছর



রাশেদ রহমান, ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ইবির চার বছর

উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ইবির চার বছর

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা কারণে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। প্রতিষ্ঠালাভের পর অনেক উপাচার্যই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার হাল ধরলেও দৃশ্যমান তেমন উন্নয়ন সাধিত হয়নি।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এর অন্যতম একটি এজেন্ডা ছিল, এটিকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা। যাতে করে দেশীয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এখানে পড়ালেখা ও গবেষণার সুযোগ পান। কিন্তু প্রশাসনিক দক্ষতা ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের অভাবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

তবে অতীতের তুলনায় বর্তমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র অনেকটা ভিন্ন। ২০১৬ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিকীকরণের প্রত্যয়ে ১২তম উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী দায়িত্বগ্রহণ করেন। এরপর থেকে একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রমে অগ্রগতি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রেই আমুল পরিবর্তন সাধিত হয়, যা আজ দৃশ্যমান।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর ৪র্থ সমাবর্তন আয়োজন, ৫৯টি বিভাগ সম্বলিত অর্গানোগ্রাম পাশ, এশিয়া ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর, অবকাঠামোগত উন্নয়নে একনেক সভাকর্তৃক ৫৩৭ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প পাশ (যেটি চলমান), গোটা ক্যাম্পাসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

একনজরে বিগত চারবছরের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নের চিত্র:

একাডেমিক উন্নয়ন:

দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০১৮ সালের ৭ জানুয়ারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সর্ববৃহৎ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। নতুন তিনটি অনুষদ ও নয়টি বিভাগ খোলায় একাডেমিক কলেবর উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিটি বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু। অনলাইনে ফলাফল প্রস্তুত পদ্ধতি প্রচলন। দীর্ঘদিনের সেশনজট নিরসন। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ডিজিটালাইজেশান করা। শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘ভাইস চ্যান্সেলর’স গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন।

উপাচার্যের উদ্যোগে বৈদেশিক অর্থায়নে ‘কেন্দ্রীয় গবেষণাগার’ প্রতিষ্ঠা। সকলের জন্য ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানসহ সর্বক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করা। নিয়মিতভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন ও বিশ্ববিদ্যালয় জার্নাল প্রকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিকীকরণের লক্ষ্যে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বৃদ্ধি। এছাড়া একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একাডেমিক বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চ শিক্ষার নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করা।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন:

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর যোগ্য নেতৃত্ব ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ৫৩৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার মেগা প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদন। ই-টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে স্বচ্ছতার সঙ্গে মেগা প্রকল্পভুক্ত ১৮টি ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের নতুন ব্লক নির্মাণ, শেখ রাসেল নামে নতুন হল, রবীন্দ্র-নজরুল কলাভবন, প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদের জন্য পাঁচ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য পাঁচ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্চের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এর জন্য ২টি ৫০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপন ও যাতায়াতের জন্য অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। পরিবহন সঙ্কট দূরীকরণে পরিবহন-পুলে যুক্ত হয়েছে ৬টি এসি কোস্টার এবং অত্যাধুনিক ২টি হিনো বাসসহ ১৫টি যানবাহন। সুস্থ বিনোদনের লক্ষ্যে নান্দনিক ফোয়ারা, দৃষ্টিনন্দন লেক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন নির্মাণ করা হয়েছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাঙালি সংস্কৃতি উজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদার মুখে স্থাপন করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে নান্দনিক ম্যুরাল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’। চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ‘ডেন্টাল ইউনিট’ চালু ও নতুন এ্যাম্বুলেন্স কেনা হয়েছে। এছাড়া উপাচার্যের পৃষ্ঠপোষকতায় বিশ্ববিদ্যালয় জিমনিশিয়ামে (ব্যামাগার) নতুন নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট সরবরাহ করা হয়েছে। এর ফলে ক্রীড়াবিদরা শুধু স্বীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই নয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন।

প্রশাসনিক মানোন্নয়ন:

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিসসমূহে ‘চেইন অব কমান্ড’ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ও কর্মপরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মঘণ্টা ৮টা থেকে ২টার পরিবর্তে ৯টা থেকে সাড়ে ৪ টা নির্ধারণ করা হয়েছে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যক্তিপছন্দের পরিবর্তে মেধা, সততা ও যোগ্যতা প্রাধান্য পাওয়ায় অফিসসমূহ ফিরে পেয়েছে কর্মচাঞ্চল্য। উপাচার্যের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পূর্বের প্রশাসন থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ১২৩ জনবলকে রাজস্ব বাজেটে অন্তভূর্ক্তি করা হয়েছে।

ইতিপূর্বে উত্থাপিত সকল অডিট আপত্তি বর্তমান প্রশাসন দক্ষতার সাথে নিরসন করেছে। এছাড়া সকলক্ষেত্রে সততা ও স্বচ্ছ জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বাজেট ঘাটতি কমেছে। সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের মাধ্যমে শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস তৈরি হয়েছে। একাডেমিক ও আর্থিক দূর্নীতির ক্ষেত্রে মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের নেতিবাচক ভাবমূর্তি ফিরে এসেছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড যখন দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছিল, ঠিক তখনই আঘাত হানে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস। ক্রমশ বেড়েই চলেছে এই ভাইরাসের প্রকোপ। তবে বর্তমান এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা পুষিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনায় অনলাইন ক্লাস শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। যা সেশনজট নিরসনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান মেগা প্রকল্পভূক্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।

বর্তমান পরিস্থিতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘করোনাকালের এই চার মাস বাদ দিলেও গত তিন বছর ১১ মাসের দায়িত্বকালে আমি একটি সুন্দর টিম ওয়ার্কের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন একটি অভূতপূর্ব অবস্থায় নিয়ে আসতে পেরেছি। এর জন্য আমি মহামান্য চ্যান্সেলর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, ইউজিসির চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ 

   

ঢাবির বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এক লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৭২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৫৮২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাশের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তিনি রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১হাজার ৭৭৫টি, মানবিক শাখা থেকে ৫১টি, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

আর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৩০টি মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৫টি বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;

ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন জন পাস করেছেন। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট আসন ২ হাজার ৯৩৪টি। তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১ হাজার ৭০৭টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৪৪টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮৩ আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে। মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এছাড়া টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;

২৪ দিন বন্ধ থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইস্টার সানডে, পবিত্র শবে কদর ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৪ দিন ছুটি থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। আগামী ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল ২২ দিন সব ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে উপলক্ষে একদিন এবং ৭-১৮ এপ্রিল ১২ দিন পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকবে। ১৮ এপ্রিলের পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় এবারের ইদের ছুটিতে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা ২৪ দিন ছুটি পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছুটি কার্যকর হওয়ার কথা জানান।

হল প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চলাকালীন হল বন্ধ থাকবে, এ সময় কোনো শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবেন না। তবে বিশেষ কারণে যদি কেউ হলে থাকে সেক্ষেত্রে তাকে ২ এপ্রিলের মধ্যে হল অফিসে রক্ষিত রেজিস্টারে উপযুক্ত কারণসহ পরিচয় এন্ট্রি করতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে থাকতে হবে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা চাইবো ছুটিতে হলে কেউ না থাকুক।’

;

স্বাধীনতা দিবসে টোকেন কিনেও খাবার পায়নি ইবি অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাবারের টোকেন থাকার পরেও খাবার প্যাকেট ও কোমল পানীয় পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী। মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আটটি হলের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ করা হলে কিছু শিক্ষার্থী টোকেন থাকা স্বত্বেও খাবার না পেয়ে ফিরে যান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আছরের নামাজের পড়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ৫০ টাকার টোকেনের বিনিময়ে উন্নতমানের বিশেষ খাবার দেওয়ার কথা ছিল। তবে, নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে টোকেন সংগ্রহ করলেও খাবার নিতে এসে খাবার না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন বঙ্গবন্ধু হলের একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী।

তবে খাবার বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া ছিল বলে হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

টোকেন থাকার পরেও খাবার না পাওয়া একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অনাবাসিকদের জন্য বরাদ্দকৃত টোকেনে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে যে বাদ আসর আসতে হবে। তারা সে অনুযায়ী আসরের নামাজ শেষে খাবার আনতে হলে গিয়ে প্রভোস্ট অফিস এবং ডায়নিং উভয়ই বন্ধ পান৷ এরপর হলে টানানো নোটিশে দেখতে পান যে খাবার সংগ্রহ করার সময় বিকেল ৩টা থেকে ৪টা। উপায় না শিক্ষার্থীরা হলের প্রভোস্টকে ফোন দিলে প্রথমে কর্মকর্তা ফারুকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং পরবর্তীতে তিনি দেরি করে আসার শিক্ষার্থীদেরই উল্টো দোষারোপ করেন। কিন্তু খাবার নেওয়ার সময় পরিবর্তনের নোটিশটি এমন সময় দেওয়া হয়েছে যখন অনাবাসিক অনেকেরই টোকেন নেওয়া শেষ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তারা ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকি৷ ক্লাস বন্ধ থাকায় রোজা থেকে প্রতিদিন তো প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসে আসা হয়না। কাজেই দুইদিন আগে নোটিশ জানার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া আমাদের তো জানার কথা না যে টোকেন দেওয়ার পরেও উনারা পরবর্তীতে খাবার নেয়ার সময় পরিবর্তন করবেন। প্রভোস্ট স্যার আমাদের অফিস থেকে ৫০ টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলেছেন কিন্তু আমাদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ ছিল সেটা তো অবশ্যই ৫০ টাকা সমমূল্যের খাবার না।

এবিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন বলেন, ২৪ তারিখেই নোটিশ করে খাবার বিতরণের সময়ের ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ নোটিশ না দেখলে তার দায়ভার তো আমাদের না। বিকাল ৪ টার পরেই ১ ঘন্টা আমরা খাবার দিয়েছি। আমাদেরও তো ইফতার করতে হবে, আমরা তো কারো জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকবো না।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ৫০ টাকা মূল্যে টোকেন বিক্রি করে বিশেষ খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

;